বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৪৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নয়ন দাস,কুড়িগ্রাম :
ভারত হঠাৎ ডালিয়া ব্যারাজ খুলে দেয়ায় সৃষ্ট বন্যায় তিস্তা নদীর বন্যা এবং ভাঙ্গন কবলিত এলাকা পরিদর্শন করেন দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান। শুক্রবার সকালে কুড়িগ্রামের রাজারহাটের ঘড়িয়াল ডাঙ্গা ইউনিয়নের গতিয়াশাম এলাকায় তিস্তা নদীর ভাঙন কবলিত এলাকাপরিদর্শন করেন তিনি।
দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী ডা. এনামুর রহমান ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে বলেন, প্রকল্পের ডিজাইন ও প্রজেক্ট প্রোফাইল কমপ্লিট করা হয়েছে। আপনারা তো জানেন এটা অনেক বড় প্রজেক্ট। এই অঞ্চলে তিস্তা পারের মানুষজনের জীবনমানের উন্নতি হবে। এটার জন্য মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কাজ করে যাচ্ছেন। এখন পর্যন্ত চুড়ান্তভাবে কাজ শুরুর সিদ্ধান্ত হয় নাই।
তিনি আরও বলেন, কুড়িগ্রামসহ চারটি জেলায় আকস্মিক বন্যা পরিস্থিতির সৃষ্টি হয়েছে। সরকার বন্যার্ত ও ভাঙন কবলিতদের দুর্দশা লাঘবে কাজ করছে। এই চার জেলার প্রতিটিতে ৫০ মে. টন চাল, নগদ ৫ লাখ টাকা, চার হাজার প্যাকেট শুকনো খাবার, পশু খাদ্যের জন্য আরো ২লাখ টাকা এবং একশ বান্ডিল করে ঢেউটিন বরাদ্দ করা হয়েছে। পরবর্তীতে বন্যার্ত ও নদী ভাঙনের শিকার প্রতিটি পরিবারের পুণর্বাসনের ব্যবস্থা নেয়া হবে। এ সময় ত্রাণমন্ত্রী স্থানীয় সরিষাবাড়ি প্রাথমিক বিদ্যালয় মাঠে ক্ষতিগ্রস্থ পরিবারের মাঝে চাল, ডাল, তেলসহ ত্রাণ সামগ্রী বিতরণ করেন। ভাঙন কবলিত এলাকা পরিদর্শনকালে ত্রাণ প্রতিমন্ত্রীর সাথে ছিলেন, কুড়িগ্রাম-২ আসনের সংসদ সদস্য পনির উদ্দিন আহমেদ, দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রনালয়ের সচিব মো: মহসীন, জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ রেজাউল করিম, পুলিশ সুপার সৈয়দা জান্নাত আরা, জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাফর আলী, রাজারহাট উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান জাহিদ সোহরাওয়ার্দী বাপ্পি, উপজেলা নির্বাহী অফিসার নূরে তাসনীম এবং ঘড়িয়াল ডাঙা ইউপি চেয়ারম্যান রবীন্দ্রনাথ কর্মকার প্রমুখ।