সোমবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৯:৪০ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

রাবিতে শীতকালীন পিঠা খেতে শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের ভিড়

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) টিএসসির সামনে জমে উঠেছে পিঠা আড্ডা। ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলোতে শীতকালীন হরেকরকম পিঠা খেতে ভিড় জমাচ্ছেন বিশ্ববিদ্যালয়ের বিভিন্ন বিভাগের শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা। পিঠার স্বাদ নিতে ভিড় জমাচ্ছেন দর্শনার্থীরাও।
বিশ্ববিদ্যালয়ের শেখ রাসেল স্কুলমাঠ, মেয়েদের হলের পাশে ও পরিবহন মার্কেটে পিঠার দোকান বসলেও সবচেয়ে বেশি জমে উঠেছে টিএসসির সামনে ভ্রাম্যমাণ দোকানগুলো। বিকেল হতেই পিঠার দোকানের আশপাশে বসে ছোট ছোট আড্ডার আসর।
সরেজমিন দেখা যায়, অনেকগুলো চুলায় একসঙ্গে পিঠা তৈরি হচ্ছে। আতপ চালের আটা দিয়ে তৈরি করা হচ্ছে চিতই পিঠা আর সেদ্ধ চাল দিয়ে ভাপা পিঠা। এছাড়া পাটিসাপটা, তেল পিঠা, লুচি ও ভাপা স্পেশাল পিঠাও পাওয়া যাচ্ছে সেখানে। গরম গরম পিঠা শিক্ষার্থীদের আড্ডার আসরে পৌঁছে দিচ্ছেন দোকানের কর্মচারীরা। সাত রকমের ভর্তা তৈরি করে প্লেট সাজিয়ে দিচ্ছেন তারা। ভর্তাগুলো হচ্ছে সরিষা ও মাছের শুঁটকি, বেগুন, কাঁচা মরিচ, ধনিয়া পাতা ও কালজিরা ভর্তা। প্রতি পিস স্পেশাল ভাপা ২০ টাকা, নরমাল ভাপা ১০, চিতই পিঠা ১০, পুলি পিঠা ৬, বিভিন্ন ধরনের তেলের পিঠা ১৫ ও পাটিসাপটা ১৫ টাকা করে বিক্রি করা হচ্ছে। সঙ্গে সাত রকমের ভর্তার বিনিময়ে নেওয়া হচ্ছে আরও ১০ টাকা। ক্যাম্পাসের টিএসসিসিতে পিঠার দোকান পরিচালনা করেন মাসুম আলী। তার দোকানে প্রতিদিন ১৩টি চুলায় ব্যস্ত সময় পার করছেন ১৮-২০ জন কর্মচারী। এদের বেশিরভাগই নারী। দিনে মাসুম আলীর আয় হয় ১৭-১৮ হাজার টাকা। বিকেল ৪টা থেকে শুরু করে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা থাকে তার দোকান।
বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে আসেন শামীম আক্তার। তিনি বলেন, ‘ক্যাম্পাসের ছোট্ট পিঠার দোকানে বন্ধুরা মিলে যখন একসঙ্গে পিঠা খাওয়া হয়, তখন মনে পড়ে যায় গ্রামের বাড়িতে চুলার ধারে বসে মায়ের হাতের পিঠা খাওয়ার কথা। তাইতো পরিবার-পরিজন থেকে শত শত মাইল দূরে ক্যাম্পাস যেন আরেকটা পরিবার।’ পিঠা খেতে আসা ম্যানেজমেন্ট স্টাডিজ বিভাগের শিক্ষার্থী আফসানা আঁখি বলেন, ‘এখানকার পিঠা খেতে অসাধারণ। তাইতো বন্ধুদের সঙ্গে পিঠা খেতে এসেছি। পিঠা খাওয়ার ফাঁকে আড্ডাও চলছে।’ পিঠা বিক্রেতা মাসুম আলী বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ে সাত বছর বছর ধরে পিঠা বিক্রি করছি। শুধু শিক্ষার্থীরাই নয়, বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকরাও পিঠা খেতে আসেন। ক্যাম্পাসের বাইরে থেকেও অনেকে আসেন পিঠা খেতে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com