রবিবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৫২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাবিতে ঐতিহাসিক ৭ নভেম্বর জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবস পালন করেছে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম। সোমবার (৭ নভেম্বর) সকাল ১০টায় এ উপলক্ষে জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম এর উদ্যোগে ডীনস কমপ্লেক্সের কনফারেন্স রুমে এক আলোচনা সভা ও দোয়া অনুষ্ঠিত হয়। জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরাম, রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি প্রফেসর ড. এফ. নজরুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে এবং সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মোঃ মাসুদুল হাসান খান (মুক্তা) এর সঞ্চালনায় “জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের” এই আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন বিএনপির চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা, সাবেক এমপি ও মেয়র, জনাব মিজানুর রহমান মিনু। অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিশিষ্ট সমাজ বিজ্ঞানী প্রফেসর ড. আব্দুর রহমান সিদ্দিকী (অবঃ)। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন এ্যাড. শাহিন শওকত, সহ-সাংগঠনিক সম্পাদক (রাজশাহী বিভাগ), জাতীয় নির্বাহী কমিটি, বিএনপি, এবং এ্যাড. শফিকুল হক মিলন, ত্রান ও পুনর্বাসন বিষয়ক সহ-সম্পাদক, জাতীয় নির্বাহী কমিটি, সাবেক সাধারণ সম্পাদক, রাজশাহী মহানগর বিএনপি। আলোচনা সভায় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. সায়েদুর রহমান পান্নু, কলা অনুষদের ডীন ও ফোরামের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. ফজলুল হক, ফোরামের সাবেক সভাপতি প্রফেসর ড. হাবিবুর রহমান, সাবেক সাধারণ সম্পাদক প্রফেসর ড. মামুনুর রশীদ, জিও সায়েন্স অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. খোন্দকার ইমামুল হক সানজিদ, প্রফেসর ড. জি এম শফি। এ সময় বক্তারা বলেন, ১৯৭৫ সালের ৭ই নভেম্বর সিপাহী এবং জনতার এক মিলিত বিপ্লবের মাধ্যমে দেশ বিরোধী প্রতিক্রিয়াশীল কুচক্রীদের বন্দিদশা থেকে মুক্তি পেয়েছিলেন আমাদের প্রিয় নেতা তৎকালীন সেনা প্রধান জিয়াউর রহমান। সিপাহী জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে সেদিন রক্ষা করা সম্ভব হয়েছিল বাংলাদেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব ও বহুদলীয় গণতন্ত্র। দেশের মানুষ আজ মোটেও ভাল নেই। ২০১৪ সালের ভোটারবিহীন প্রহসনের নির্বাচন এবং ২০১৮ সালের মধ্যরাতের নির্বাচনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক ধারা ধারাবাহিক ভাবে ক্ষুন্ন করা হয়েছে এবং জনবিচ্ছিন্ন একটি লুটেরা গোষ্ঠী দেশ ও জনগনের কাঁধের উপর সিন্দাবাদের ভূতের মত চেপে বসে আছে। প্রশাসন, বিচার বিভাগ, আইন-শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী সহ সর্বত্র নির্লজ্জ দলীয় করণের ফলে দেশজুড়ে আজ অদক্ষতা, অচলাবস্থা ও চরম নৈরাজ্য সৃষ্টি হয়েছে। সামগ্রীকভাবে বাংলাদেশকে একটা অকার্য্যকর রাষ্ট্রে পরিণত করার ষড়যন্ত্র চালাচ্ছে এই দেশ বিরোধী অবৈধ সরকার। বাংলাদেশের মানুষের অনেক সংগ্রামের মধ্য দিয়ে অর্জিত গণতান্ত্রিক অধিকার, ভোটের অধিকার কেড়ে নিয়ে সংকীর্ন দলীয় স্বার্থে একদলীয় নির্বাচনের মাধ্যমে ক্ষমতাকে প্রলম্বিত করে চিরস্থায়ী করার ষড়যন্ত্রে লিপ্ত হয়েছে তারা। বক্তারা আরও বলেন, আজকে যখন ৭ই নভেম্বরের জাতীয় বিপ্লব ও সংহতি দিবসের আলোচনা করছি আমাদের প্রিয় নেত্রী দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়া কারাবন্দি। মিথ্যা মামলায় বিরোধী দলমতকে স্তব্ধ করার জন্য তাকে কারাগারে প্রেরণ করা হয় এর কঠোর সমালোচনা করে এবং তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানায় বক্তারা পাশাপাশি অবিলম্বে আটককৃত সকল নেতাকর্মীর নিঃশর্ত মুক্তি দাবী করেন বক্তারা। এছাড়াও উক্ত আলোচনা সভায় বিজ্ঞান অনুষদের ডীন ও ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. শাহেদ জামান, ফোরমের উপদেষ্টা প্রফেসর ড. মতিয়ার রহমান, প্রফেসর ড. জাহাঙ্গীর আলম, প্রফেসর ড. তোফাজ্জল হোসেন, প্রফেসর ড. আমিনুল হক, প্রফেসর ড. নুরুল হক মোল্লা, বাণিজ্য অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. ফরিদুল ইসলাম, কৃষি অনুষদের ডীন প্রফেসর ড. আব্দুল আলীম, প্রফেসর ড. রেজাউল করিম, অধ্যাপক মুহাম্মদ সাজ্জাদুর রহিম সাজিদ, প্রফেসর ড. পারভেজ আজাহারুল হক প্রিন্স, প্রফেসর ড. সাবিরুজ্জামান সুজা, প্রফেসর ড. আনিসুর রহমান, প্রফেসর ড. মোস্তাফিজুর রহমান, প্রফেসর ড. মো. আতিকুল ইসলাম, প্রফেসর ড. আমিরুল ইসলাম, প্রফেসর ড. সারোয়ার জাহান লিটন, প্রফেসর ড. জি.এম সফি, প্রফেসর ড. কামরুজ্জামান, প্রফেসর ড. আরিফুল ইসলামসহ জাতীয়তাবাদী শিক্ষক ফোরামের আরো অনেক সদস্যগণ উপস্থিত ছিলেন। আরও উপস্থিত ছিলেন, সাপ্তাহিক বাংলার বিবেক এর সম্পাদক ও রাজশাহী রিপোর্টার্স ইউনিটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ আবু হেনা মোস্তফা জামান, দৈনিক সময়ের কাগজ এর স্টাফ রিপোর্টার মোঃ ইব্রাহীম হোসেন সম্রাট, দৈনিক উত্তর কোণ এর স্টাফ রিপোর্টার রাতুল সরকার সহ অন্যান্য সাংবাদিকবৃন্দ।