admin
- ৬ এপ্রিল, ২০২৩ / ১০০ Time View
Reading Time: < 1 minute
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ি পার্বত্য জেলার রামগড় উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের মধুপুর এলাকার সেলিম আজাদ(৪৫)কে হত্যা চেষ্টাকারীরা জামিনে মুক্তি পেয়ে বেপরোয়া হয়ে উঠেছে। মামলা তুলে না নিলে ফের খুন-জখমের হুমকি দিচ্ছে বলে জানা গেছে।
মামলার বাদী সেলিম আজাদ জানান, এজাহারনামীয়
আসামিদের নামে ইতিপূর্বে চাঁদাবাজির মামলাসহ বিভিন্ন মামলা রয়েছে। ৭জন আসামিদের মধ্যে ১নং আসামি আব্দুল্লাহ আল মামুন(২৪) পিতা – আব্দুল মজিদ, ২নং আসামি ওমর ফারুক(২৩) পিতা -মৃত জাফর আহমদ, ৩নং আসামি এনায়েত উল্লাহ(২৪) পিতা- ইলিয়াছ মিয়া, ৪ নং
আরিফ হোসেন বয়স(২২) পিতা- নজরুল ইসলাম, ৫নং আসামি সাকিব হোসেন(২১) পিতা- কামরুল ইসলাম, ৬নং আসামি নুরুল ইসলাম কালা(২৯) পিতা- জয়নাল আবেদিন, ৭নং আসামি মোঃ হোসেন বয়স(২২) পিতা-আবু তৈয়ব, জামিনে রয়েছে।
জামিন নেওয়ার পর থেকেই আসামিরা সংঘবদ্ধ হয়ে প্রকাশ্যে মামলা তুলে না নিলে বাদীসহ বাদীর পরিবারের সদস্যদের জবাই করে হত্যার হুমকি দিয়ে আসছে।
তিনি বলেন, আমার মামলা প্রত্যাহার করে না নিলে আবারও খুন জখম করবে বলে হুমকি দিচ্ছেন। বর্তমানে তাদের ভয়ে সে ও তার পরিবারের লোকজন চরম নিরাপত্তাহীনতার ভুগছি। এ ব্যাপারে পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতা কামনা করছি।
উল্লেখ্য, পূর্ব শত্রুতার জের ধরে গত ১মার্চ’২৩ রাতে সেলিম আজাদ তার বাড়ীর পাশে সরকারি পানির লাইন স্থাপনের কাজে দ্রুত কাজ শেষ করতে রাত ১১টার দিকে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে শ্রমিকদের কাজে সহযোোগীতার সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুনগং দা দিয়ে মাথায় কোপ দেয় ও লোহার রড, লাঠি-সোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে হামলা চালিয়ে হত্যার উদ্দেশ্যে গর্তে পুঁতে রাখে।
পরে, লোকজন এসে ৮/৯ফুট গভীর গর্তের মাটি খুঁড়ে সেলিম আজাদকে জীবিত উদ্ধার করেন। এ ঘটনায় পরদিন ও চিকিৎসা শেষে থানায় মামলা করতে গেলেও পুলিশ তাদের মামলার আবেদন গ্রহন করেনি। পরে আদালতে পিটিশন দায়ের করেন। আদালত শুনানী শেষে রামগড় থানাকে মামলা গ্রহন করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহনের নির্দেশ দেন। কিন্তু থানা পুলিশ ঘটনার ১৯দিন অতিবাহিত হলেও রহস্যজনক কারনে আসামীদের গ্রেফতার না করায় নিরুপায় হয়ে পরিবারের ও তার জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে খাগড়াছড়ি জেলা পুলিশ সুপার বরাবর আবেদন করেছেন।