admin
- ১১ মার্চ, ২০২৩ / ৭৪ Time View
Reading Time: 2 minutes
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি :
খাগড়াছড়ির রামগড়ে পূর্ব শত্রুতার জের ধরে এক ব্যাক্তিকে হত্যার উদ্দেশ্যে পিটিয়ে জখমের অভিযোগ ওঠেছে প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে। গত বুধবার(১মার্চ) রাত ১১টার দিকে উপজেলার পাতাছড়া ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ড, নাকাপা বাজার সংলগ্ন মধুপুর গ্রামের খাগড়াছড়ি-ফেনী সড়ক সংলগ্ন এলাকায় মৃত খলিলুর রহমান এর ছেলে মো. সেলিম আজাদ(৫০)’র উপর মামুন গং কর্তৃক এ হামলার ঘটনাটি ঘটে বলে জানা গেছে। ঘটনার পর দিনই ভুক্তভোগীর পক্ষে তার বোন কহিনুর বাদী হয়ে ঘটনার সঙ্গে জড়িত ৭জনের বিরুদ্ধে রামগড় থানায় লিখিত অভিযোগ দাখিল করেন। কিন্তু রামগড় থানায় লিখিত অভিযোগ করা হলেও অজ্ঞাত কারণে ১১মার্চ শনিবার পর্যন্ত থানায় মামলা রুজু হয়নি বলে কহিনুর জানান। থানায় দাখিল করা অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, আবদুল মজিদের ছেলে আবদুল্লাহ আল মামুন, সেলিম আজাদের ছাগল তার গাছ খাওয়ায় মেরে ফেলার বিষয় নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। সে বিরোধের জের ধরে বিবাদীরা বিভিন্ন সময় মোবাইল ফোনে ও প্রকাশ্যে ক্ষয়-ক্ষতিসহ মারপিটের হুমকি দিয়ে আসছিল। গত ১মার্চ রাতে সেলিম আজাদের বাড়ীর পাশে সরকারী পানির লাইন স্থাপনের কাজে টর্চ লাইট জ্বালিয়ে সহযোোগীতার সময় অভিযুক্ত আবদুল্লাহ আল মামুন(২৪) তার সহযোগী ফারুক(২২), সাকিব(২৩), নুর ইসলাম(২১), আরিফ হোসেন(৩৪), নজরুল(২৪)সহ ১০/১২জনের দলবলসহ পূর্ব শত্রুতার জের ধরে দা, লোহার রড ও লাঠি-সোঁটাসহ দেশীয় অস্ত্র নিয়ে অতর্কিতভাবে তার উপর হামলা চালায়। এদিকে, বেধড়ক মারপিটে গুরুতর আহত হয়ে প্রথমে উপজেলা হাসপাতালে ও পরে জেলা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন মো. সেলিম আজাদ।
তিনি বলেন, মামুনগং শত্রুতার জের ধরে গত ১২/১০/২০২২ইং আমার উপর হামলাকারী পূর্বের মামলার আসামি আরিফগংসহ নতুন করে আবারোও হামলা চালিয়ে আমাকে রক্তাক্ত জখম করেছে। মারধর করে হাতের ৩টি হাড় ভেঙে দিয়েছে, মাথায় ২৬টি সেলাই দেয়া হয়েছে। ওরা(অভিযুক্ত) হুমকি দিয়েই যাচ্ছে খুন করে আমাদের লাশ গুম করবে। তিনি জানান, আমি ও আমার পরিবারের লোকজন এখন ভয়ে, অসহায় জীবনযাপন করছি। থানায় অভিযোগ দিয়েছি, গত ২মার্চ শুক্রবার থানা থেকে ঘটনাস্থল তদন্ত করার পরেও প্রভাবশালীদের হস্তক্ষেপে থানা মামলা গ্রহণ না করায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে ছোট ছোট ৪ছেলে-মেয়েসহ আমার পরিবার পরিজন। পানির লাইনের কাজে নিয়োজিত মিস্ত্রি মানিকছড়ি উপজেলার ছদুরখীল এলাকার সুলতান, ফারুক, ফয়জুর, মিজান বলেন, আমরা রাতে কর্মরত অবস্থায় ১০/১২জনের একদল লোক আমাদের ২জনের গায়ে লাঠি দিয়ে আঘাত করে চলে যেতে বললে আমরা প্রণভয়ে নাকাপা বাজারের দিকে দৌড় দেই। একজনকে মেরে ফেলছে খবর দিলে এলাকায় ইসমাইল, জাহাঙ্গীর, ছাইফুল, আলমগীরসহ লোকজন এসে সেলিম আজাদকে গলা পর্যন্ত ৮/৯ফুট গর্তে মাটি চাপা দিয়ে পূঁতে ফেলা ও মুখের ভেতর মাটি ঢুকানো অবস্থায় মাটি খুঁড়ে সেলিম আজাদকে জীবিত উদ্ধার করেন। এ ব্যাপারে ৫নং ওয়ার্ড মেম্বার দুলাল ও ৬নং ওয়ার্ড মেম্বার মো. ইউনুছ বলেন, ৩/৪মাস আগে আবদুল্লাহ আল মামুন, সেলিম আজাদের ছাগল মেরে ফেলায় উভয়ের মধ্যে দ্বন্দ্ব রয়েছে। তবে কে বা কারা হামলার ঘটনা ঘটিয়েছে তা জানিনা ভুক্তভোগীই ভালো বলতে পারবে। ইতিপূর্বেও গত ১২ অক্টোবর’২২ পাতাছড়া এলাকায় সেলিম আজাদকে মারপিট করে তার বা পা ভেঙ্গে দেয়া হয়েছে। সে বর্তমানে একজন প্রতিবন্ধী। মানুষ মানুষের উপর এভাবে হামলা করা অত্যন্ত অমানবিকতার কাজ। তার উপর ন্যাক্কারজনক এ হামলা খুবই দুঃখজনক। এ বিষয়ে প্রধান অভিযুক্ত আব্দুল্লাহ আল মামুনের সঙ্গে কথা বলার চেষ্টা করলে সে দূরে আছি বলে মোবাইলের কল কেটে দেয়। এ বিষয়ে রামগড় থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার দিন আমি ছুটিতে ছিলাম। তাছাড়া এ ঘটনায় কেউ কোন অভিযোগ দেয়নি। অভিযোগ পেলে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।