বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:৩৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আহসান হাবীব, লক্ষিপুর:
লক্ষ্মীপুর রায়পুর পৌরসভার ৯ নং ওয়ার্ডে মাদ্রাসা-ই তাহফিজুল কুরআন এর সাজ্জাদ (৯) নামের ২ য় শ্রেনীর ছাত্রকে শিক্ষক কর্তৃক একাধিকবার বলাৎকারের অভিযোগ পাওয়া গেছে। বলাৎকারকৃত ছাত্র ও তার বাবা মায়ের কাছ থেকে জানা যায়, সেপ্টেম্বর মাস থেকে মোট ৭ বার ঐ ছাত্রকে বলাৎকার করে ওই মাদ্রাসার শিক্ষক আব্দুর রশীদ(২৯)। সে চাঁদপুর ফরিদগঞ্জ উপজেলার বেগমগঞ্জ গ্রামের ক্বারী হোসাইন আহমদের ছেলে। বিগত ২ বছর যাবত সে ওই মাদ্রাসার সহকারী শিক্ষক হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছে। বলাৎকারের শিকার শিশু সাজ্জাদ জানায়, বিভিন্ন সময় রাতে সবাই ঘুমিয়ে গেলে শিক্ষক আব্দুর রশীদ ঘুম থেকে তাকে তুলে নিয়ে শিক্ষকের শয়ন কক্ষে নিয়ে মুখ ছেপে ধরে বলাৎকার করতো, এবং কাউকে না বলার জন্য বিভিন্ন প্রকার ভয়ভীতি দেখাতো, ৭ বার বলাৎকারের পর ছাত্রটি অসুস্থ হয়ে পড়লে বাবা মায়ের কাছে শিশুটি বলাৎকারের ঘটনা বলে দেয়। অত্র মাদ্রাসার প্রধান শিক্ষক হাফেজ মাওলানা ওজায়ের হোসেনকে বিষয়টি জানালে তিনি সাজ্জাদকে প্রাথমিক চিকিৎসা করায় এবং অভিযুক্ত শিক্ষককে সুকৌশলে সরিয়ে দেন। বুধবার (১৬ নভেম্বর) সন্ধা ৬ টায় খবর পেয়ে সহকারী পুলিশ সুপার রায়পুর সার্কেল এবং রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া ঘটনাস্থলে যান। জিজ্ঞাসাবাদে প্রধান শিক্ষক মাওঃ ওজায়ের হোসেন ঘটনার সত্যতা স্বীকার করেন। পরে ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদের জন্য প্রধান শিক্ষক মাও ওজায়ের হোসেনকে পুলিশি হেফাজতে নেয়া হয়। মাদ্রাসায় শিশু বলাৎকারের বিষয়ে স্থানীয় ওয়ার্ড কাউন্সিলর রুবেল প্রধানিয়া বলেন, তাহফিজুল কোরআন মাদ্রাসায় শিক্ষক কর্তৃক শিশু বলাৎকারের ঘটনা শুনেছি, এ জঘন্য ঘটনার তীব্র নিন্দা জানাই, অভিযুক্ত শিক্ষককে আইনের আওতায় এনে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করছি। রায়পুর থানা অফিসার ইনচার্জ শিপন বড়ুয়া বলেন, শিশু বলাৎকারে ঘটনা শুনে উক্ত মাদ্রাসায় গিয়েছি, অপরাধীদের বিরুদ্ধে তদন্ত করে আইনানুগ ব্যাবস্থা নেয়া হবে।