শুক্রবার, ০৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:৪৫ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
বিশেষ প্রতিনিধি ঈশ্বরদী, পাবনা:
পাবনার দাশুড়িয়া কলেজ, মাদ্রসা, স্টেশনসহ প্রত্যহ হাজারো মানুষের চলাচলের একমাত্র রাস্তা হলেও বারোমাসই শৌচাগারের পানিতে নিমজ্জিত থাকে রাস্তা । পানি জমা থাকায় ছোট বড় খানা খদ্দরে চলাচলের অনুপযুক্ত এ রাস্তায়যেন দাশুড়িয়া চাঁদপুর, কলেজ পাড়া, স্টেশন পাড়াস্থ মানুষের একমাত্র যোগাযোগের মাধ্যম। হাজারো বার অভিযোগ দিলেও অর্থ আর ক্ষমতার কাছে বারবারই পরাজিত হয়েছেন জনপ্রতিনিধিরা । ভুক্ত ভোগী এলাকাবাসী তাই ধরেই নিয়েছেন, এই এলাকা যেন অভিভাবকহীন, এদের দেখার কেউ নেই !
পাবনা জেলার ঈশ্বরদী উপজেলাধীন দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ১-নং ওয়ার্ডের অন্তর্গত দাশুড়িয়া বাজার থেকে দাশুড়িয়া চাঁদপুর, কলেজ পাড়া, মাদ্রাসা এবং স্টেশন পাড়ার রাস্তাটি দীর্ঘ দিন ধরেই নর্দমায় পরিনত হয়েছে। আবাসিক ভবনের ব্যবহৃত পানি নিষ্কাশনের কোন ব্যবস্থা না থাকায় শৌচাগারসহ সকল প্রকার পানির একমাত্র আশ্রয়স্থল এই সড়কটি।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, সারা বছর পানি জমে থাকার কারনে রাস্তাটির ঐ অংশ ভেঙ্গে এক হাটু গর্ততে পরিনত হয়েছে। সেখানে জমে থাকা পানি থেকে দুগন্ধ ম ম করছে চারিদিক। মশা মাছিসহ নানা রোগ জীবানুর পয়েজনে ঠাসা এ সড়কের পঁচা পানি মারিয়েই চলাচল করছে ভুক্ত ভোগী এলাকার সাধারণ মানুষ।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একজন বলেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সাড়া দেশ যখন বিশ্ব দরবারে উন্নয়নের রোল মডেল হিসেবে মাথা উঁচু করে দাড়িয়ে ঠিক তখনই এক শ্রেণীর প্রতিনিধিদের নেতৃত্বহীনতা আর অসততার কারনে আমরা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ শৌচাগারের পানিতে সাতরিয়ে দিন যাপন করছি। অনেক বার আমরা এই অবস্থা থেকে রেহাই পেতে জনপ্রতিনিধিসহ এলাকার সচেতন মানুষের কাছে অভিযোগ করেছি কিন্তু কেউই এই জড়তা থেকে আমাদের মুক্ত করতে পারেনি।
একাধিক ভুক্তভোগির দাবি, এই নোংরা পানি যে দুটি ভবন থেকে রাস্তায় এসে জমাট বাধে সেই ভবন দুটি হচ্ছে, দাশুড়িয়া শখের বাজার এবং তৎসংলগ্ন ভবন ( সাবেক পল্লীবিদ্যুৎ অফিস)।
জনতার অভিযোগের ভিত্তিতে জানতে চাইলে, শখের বাজার ভবনের স্বত্বাধীকারী হাজী মো. মোফাজ্বল হোসেন বলেন, আমাদের ভবন আধুনিক ডিজাইনে করা সুতরাং এই ভবনের শৌচাগারসহ ব্যবহৃত সকল প্রকার পানি সংরক্ষনের জন্য একাধিক হাউজ রয়েছে । আমাদের ভবনের নয় পাশের ভবনের পানি জমা হয় রাস্তায় কারন তাদের ভবনের পানি রাখার ব্যবস্থা নাই।
দাশুড়িয়া ইউনিয়নের ১ নং ওয়ার্ডের মেম্বার মো. আনোয়ারুল ইসলাম ডাবলু ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিষয়টি নিয়ে আমরা অনেকবার ভবন মালিক আব্দুল আজিজ এবং হাজী মো. মোফাজ্বলকে মৌখিক এবং লিখিত নোটিস করেছি। তারা আমাদের কোন কথায় শোনেন না ।
তারা সমস্যাটির কোন সমাধান না করে একে অপরকে দায়ী করেন। তারা বিষয়টি নিয়ে নানা প্রকার বিতন্ডার তৈরী করেছে ইতো মধ্যেই। এজন্য এ বিষয়টির সমাধান আপাতত আমাদের হাতে নাই।
জনপ্রতিনিধিদের অপারগতা আর ভুক্তভোগীদের অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেঁচে থাকা এ জেন ইংরেজ শাসনামলকেও হার মানিয়েছে। এমতাবস্তায় ভুক্তভোগী এলাকাবাসী উপজেলা প্রশাসনসহ সংশ্লিষ্টদের দৃষ্টি আকর্ষন করে অনতিবিলম্বে এই দুর্গন্ধময় এবং অস্বাস্থ্যকর পরিবেশ থেকে অত্র এলাকার বসবাসরত মানুষ গুলোকে মুক্তির দানের দাবি জানিয়েছেন।