রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মিজানুর রহমান মিলন, শাজাহানপুর বগুড়া :
বগুড়া শাজাহানপুর উপজেলার খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের ৬বিঘার বেশি আয়তনের পুকুরটি পত্তন ছাড়াই চাষ করছেন স্থানীয় ৩ব্যক্তি। বিষয়টি অস্বীকার করে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) বলছেন পুকুরটি তাঁরা নিজেরাই চাষ করছেন। পুকুরটি পত্তন দিলে বছরে কমপক্ষে ২লক্ষ টাকা সরকার রাজস্ব পাবে বলছেন উপজেলার বিভিন্ন মৎস ব্যাবসায়ীরা। পুকুর চাষকরা ৩ব্যাক্তি একেক জন একেক কথা বলছেন। সূত্রঃ জাতীয় দৈনিক আজকের পত্রিকা।
পুকুর চাষ করা ব্যক্তিরা হলেন খড়না ইউনিয়নের খড়না নয়াপাড়া গ্রামের শহিদুল ইসলাম(৪২), খড়না সরকারপাড়া গ্রামের মাসুদুজ্জামান মিটু(৪৫) এবং খড়না ধাওয়াপাড়া গ্রামের নজরুল ইসলাম।(৫০)। এদের মধ্যে নজরুল ইসলাম উপজেলা যুবলীগের সহ-সভাপতি।
সরেজমিনে গিয়ে কথা হয় পুকুরপাড়ে বাসিন্দাদের সাথে। অন্তত ১০জন বাসিন্দা বলেন, গত ২বছর ধরে পুকুরটি চাষ করছেন স্থানীয় শহিদুল ইসলাম, মাসুদুজ্জামান মিটু এবং নজরুল ইসলাম। অনেক বড় পুকুর এবং প্রচুর মাছ হয়। খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের উপসহকারী কর্মকর্তা মোঃ সুরুমান মাসুদ বলেন, খড়না ভূমি অফিসের সাথের পুকুরটির মালিক ভূমি অফিস। পুকুরটি কারা কিভাবে চাষ করছেন তা আমার জানা নাই। এ বিষয়ে আরো কিছু জানতে চাইলে উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) এর সাথে কথা বলেন।
খড়না ইউনিয়ন ভূমি অফিসের একজন কর্মচারী মোঃ মামুন বলেন, পুকুরটির আয়তন ৬বিঘার উপরে। সঠিক মাপ নথি দেখে জানাতে পারবো। তবে এরপর এ বিষয়ে আর কথা বলেন নি তিনি। জানতে চাইলে পুকুর চাষ করা ব্যাক্তিদের একজন শহিদুল ইসলাম বলেন, আসলে আমি তো চাষ করিনা। পুকুর চাষ করে মাসুদুজ্জামান মিটু এবং নজরুল ইসলাম। আমি তাঁদের সাথে আছি। মূলত নজরুল ইসলাম পুকুরটি নিয়ে দিয়েছেন। ২বছর বা আরেকটু বেশি সময় ধরে আমরা চাষ করছি। মাসুদুজ্জামান মিটু মোবাইল ফোনে বলেন, ভূমি অফিসের পুকুরটি চাষ করতে আমারা বছরে ২০লক্ষাধিক টাকা খরচ করেছি। লাভ সেরকম হয়না। বিভিন্ন জন এসে টাকা, মাছ চায়। সরকারি ডাক না থাকলেও বিভিন্ন জনকে বছরে ৫লক্ষাধিক টাকা দিতে হয়। পুকুর চাষ করা আরেক ব্যাক্তি নজরুল ইসলাম বলেন, ভূমি অফিসের পুকুর আমরা তত্বাবধান করছি। কাউকে টাকা পয়সা দেয়া লাগেনা, শুধু মাছ দেই। অফিসের কেউ চাইলে তো না করা যায়না। জানতে চাইলে উপজেলার পুরাতন মৎস চাষীদের একজন নিত্যানন্দ দাস বলেন, ৬বিঘার উপরে ভূমি অফিসের ওই পুকুর বছরে কমপক্ষে ২লক্ষ টাকায় পত্তন নেয়া যাবে। সব বাদ দিয়েও বছরে কমপক্ষে ৪লাখ টাকা লাভ করা যাবে। জানতে চাইলে শাজাহানপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার(ভূমি) সানজিদা মুস্তারী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পুকুরটা ভূামি অফিসের। আমরা নিজেরাই সেখানে মাছ ছেড়েছি।