রবিবার, ০৩ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:২৪ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহী মহানগরীতে অনার্স পড়–য়া (২১) শিক্ষাথীর ম্যাসেঞ্জারে অশ্লিল ছবি পাঠানোর দাবি করে স্ট্যাটাস্ দিয়েছেন মোঃ তাকি হোসেন রনি (৪৫) নামের এক ব্যক্তি। ছবি না দেওয়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে ওই শিক্ষার্থীর ম্যাসেঞ্জারে অশ্লিল ভাষায় গালি দিয়েছেন এবং তার কাছে থাকা পুরোনো ছবি ফেসবুকে ভাইরাল করবে বলে হুমকি দিয়েছেন তিনি। এ ব্যপারে রোববার (২৮ আগস্ট) রাত ১০টায় ওই শিক্ষার্থী তার অভিভাবক নিয়ে তাকি অরফে রনিকে বিবাদী করে মহানগরীর চন্দ্রিমা থানায় একটি সাধারন ডায়েরী করেছেন। চন্দ্রিমা থানার জিডি নং-১২৬৮, তাং-২৮/০৮/২০২২। বিবাদী তাকি অরফে রনি (৪৫) মহানগরীর বোয়ালিয়া থানার উপশহর এলাকার মৃত জাফরের ছেলে। মহানগরীর চন্দ্রিমা থানার বাচ্চু মোড়ের বাসিন্দা ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী জানান, বিবাদী রনির সাথে আমার সরাসরি কোন পরিচয় বা সম্পর্ক নাই। কিন্তু গত অনুমানিক দেড় মাস যাবৎ বিবাদী তার (Mdtaki) নামের ফেসবুক আইডি থেকে আমার ফেসবুক আইডি’র ম্যাসেঞ্জারে অশ্লিল ভাষায় গালি গালাজ করছে এবং অশ্লিল ছবি চেয়ে ম্যাসেঞ্জারে লিখছে। তিনি লিখছেন তুমি যদি তোমার অশ্লিল ছবি না দাও তাহলে তোমার পুরোনা কিছু অশ্লিল ছবি আমার কাছে আছে। তা আমি ফেসবুকে ভাইরাল করবো। শিক্ষার্থী আরও বলেন, আমি জানিনা তার কাছে আমার পুরোনা কি ছবি আছে যা তিনি ফেসবুকে ভাইরাল করবেন। যদি কোন অশ্লিল ছবির সাথে আমার ছবির সাথে এডিড করে ফেসবুকে ছাড়ে এমন ভাবনা থেকে আমি আতঙ্কিত হয়ে পড়েছি এবং মানুষিক ভাবে ভেঙ্গে পড়েছি। পড়াশোনাও করতে পারছি না।
এ ব্যপারে বিবাদী মোঃ তাকি অরফে রনি’র মুঠো ফোনে ফোন দিয়ে জানতে চাইলে তিনি জানান, আমি ওই মেয়েকে চিনি। তার কাছে অশ্লিল ছবি চাওয়া, গালিগালাজ ও হুমকি দেয়ার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আধা ঘন্টা পরে আমি আপনাকে ফোন দিচ্ছি বলে ফোন কেটে দেন। এরপর একাধিকবার তার মুঠো ফোনে ফোন দিলেও তিনি ফোন রিসিভ করেননি। ফলে তার পুরো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। সোমবার (২৯ আগস্ট) জানতে চাইলে চন্দ্রিমা থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ এমরান আলী বলেন, ভুক্তভোগী শিক্ষার্থী থানায় এসে একটি জিডি করেছেন। তার কাছে বিবাদী রনির পাঠানো স্ট্যাটাস্ গুলি দেখেছি এবং পড়েছি। তবে এই রকম স্ট্যাটাস ও হুমকি দেয়া ঠিক হয়নি। এটা অন্যায় ও আইন বিরোধী। তদন্ত করে বিবাদীর বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও জানান ওসি।