শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১১ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

শীতের আগমনে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত সময় পার করছে রাজশাহীর কারিগররা

Reading Time: 2 minutes

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
শীতের আগমনী বার্তায় বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে লেপ-তোষক তৈরিতে ব্যস্ত হয়ে পড়েছেন কারিগররা। শীত নিবারণের আগাম প্রস্তুতি হিসেবে লেপ তোষক বানাতে দোকানগুলোতে ভিড় করছেন ক্রেতারাও। কেউ কেউ আবার পুরোনো লেপ-তোষক মেরামতের জন্য কারিগরদের কাছে যাচ্ছেন। ইতিমধ্যেই বরেন্দ্র অঞ্চল রাজশাহীতে সন্ধ্যা-রাতে ও ভোরে শীত অনুভ‚ত হচ্ছে। ফলে যে যার সাধ্যমতো শীত মোকাবেলার প্রস্ততি নিচ্ছেন। রাজশাহী মহানগরীর পদ্মাপাড়ের লোকজন সকালে ও রাতে গায়ে সোয়েটার ও চাঁদর জড়াচ্ছেন। রাতের বিছানায় টেনে নিতে হচ্ছে কাঁথা বা কম্বল। রাজশাহী মহানগরীর হাদির মোড় এলাকার পদ্মার পাড়ের বাসিন্দা ডাবলু (৫৫) বলেন, একটা লেপ তৈরি করতে ১৪০০-১৫০০ টাকা খরচ লাগে লেপ-তোষক বানানোর ক্ষমতা আমাদের নেই। তাই পুরোনো কাথাকে মেরামত করে ব্যবহার উপযোগী করছেন তিনি। তিনি আরও জানান, আমরা গরিব মানুষ বাবা, নুন আনতে পান্তা ফুরায়। গায়ে দেওয়া লেপ বানাবো কীভাবে। আমরা খেটে খাওয়া মানুষ আমাদের ঠাÐা কম লাগে। সাদিয়া আফরোজ আনিকা জানায়, আধুনিক যুগে ব্যপক হারে বেড়েছে কম্বলের দাপট। তবে সেকালের লেপের বিকল্প নাই। লেপ যেমন আরাম-দায়ক তেমনি গরম। তাই লেপ ছাড়া শীত ভাবাই যায় না।
কেদুর মোড় এলাকার ইব্রাহিম হোসেন সম্্রাট জানান, বাজারে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ার সথে সাথে এবার লেপ-তোষক তৈরিতে খরচও বেড়েছে। তাই পুরোনো লেপ খুলে নতুন করে তৈরি করার জন্য দোকানে নিয়ে এসেছি। তুলার খরচ বাদ দিয়ে কাপড় ও মজুরি বাবদ ৭০০ টাকা খরচ পড়লো। গৃহবধূ মেরিনা আক্তার জলি জানান, এবারে বেশি শীত হতে পারে। তাই আগে ভাগে লেপ তৈরির জন্য দোকানে এসে অর্ডার দিচ্ছি। তবে প্রতিটি জিনিসের দাম বাড়ায় লেপ বানাতে খরচ ২০০ থেকে ৩০০ টাকা বেশি গুনতে হচ্ছে। তারপরও কিছু করার নাই। শরীরে ঠান্ডা লাগানো যাবে না। ঘরে নিঝুম নামের ৯ বছরের কণ্যা রয়েছে তার কথাও ভাবতে হচ্ছে। তাছাড়া ঠান্ডা জনিত কারণে নানা ধরনের অসুখ হয়। সেই বিষয়ে সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।
জানা গেছে, বাজারে প্রতি কেজি শিমুল তুলা ৪০০ টাকা ও বিচি ছাড়া শিমুল তুলার কেজি ৪৮০ থেকে ৫০০ টাকা। এসব তুলায় বালিশ তৈরি করেন সমাজের ধনী লোকেরা। আর গার্মেন্টস তুলায় বালিশ, লেপ ও তোষক বানিয়ে নেন মধ্যবিত্ত ও গ্রামের গরিব মানুষেরা। তবুও বর্তমান বাজারে ৪ হাত বাই ৫ হাত লেপ তৈরি করতে ১৬০০ টাকার মতো খরচ হচ্ছে। যা গত শীতেও একই মূল্য ছিলো। মহানগরীর গণকপাড়া মোড়ে লেপ-তোষকের একাধীক দোকান রয়েছে। সেখানে কথা হয় লেপ তৈরির কারিগর শ্রী প্রদীপ কুমারের সাথে। তিনি বলেন, কারপাস বা ফাইবার তুলা অন্যন্য তুলার চেয়ে গরম হওয়ায়। লেপ তৈরিতে কারপাস বা ফাইবার তুলা ব্যবহার করা হয়। মহানগরীর কাজলা এলাকার বন্টি তুলা ঘরের মালিক মোঃ আব্দুর রাজ্জাক বলেন, বাজারে প্রতি কেজি কার্পাস তুলা ১০০ থেকে ২০০টাকা, কালো উল ৬০ থেকে ৭০ টাকা, কালো রাবিশ তুলা (গার্মেন্টস পচা তুলা) ৩০ টাকা কেজি। তিনি আরও বলেন, সাধারণত লেপ তৈরিতে ৮-১০ গজ কাপড় লাগে। শিমুল তুলা দিয়ে একটি সিঙ্গেল লেপ তৈরীতে খরচ পড়ে ১০০০ থেকে ১২০০টাকা ও ডবল লেপ তৈরিতে ১৪০০-১৫০০টাকা। একটি ৪ হাত ৫ হাত ডাবল লেপের মুজুরী ৪৫০ টাকা। এছাড়া তোষক সিংগেল ২০০ টাকা, ডাবল ৩৫০টাকা, শিমুল তুলার একটি বালিশের মূল্য ৮০০ টাকা আর মুজুরী ১০০ টাকা মোট ৯০০টাকা। একটি জাজিম ৫ ফিট বাই ৭ফিট তৈরিতে মুজুরী ২৬০০ টাকা, সাড়ে ৫ফিট বাই ৭ফিট ২৯০০টাকা। এই মজুরির হার অন্য সময়ের চাইতে কিছুটা বেশি। মাসুম ব্রার্দাসের মালিক মোঃ আরিফুল ইসলাম সোহেল বলেন, গত বছরের তুলনায় প্রতিকেজি তুলাতে ১০-২০টাকা বেড়েছে তবে লেপের দাম একই রয়েছে। বেচা কেনার বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, সবেমাত্র কার্তিক মাস শেষ হতে চলেছে। শীত তো কেবলই শুরু। তাই তেমন একটা ক্রেতা পাচ্ছি না, তবে এক মাসের মধ্যে শীত একটু বাড়লে ক্রেতা বাড়বে বলে আশা করছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com