মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:১৯ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
অশোক সরকার বগুড়া :
একদিকে চৈত্র্যের খরতাপ অপরদিকে তীব্র লোডশেডিং। শুরু হয়েছে বগুড়ার শেরপুরে বিদ্যুতের যাওয়া -আসার ভেলকিবাজি।লোডশেডিং এর নামে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন জনজীবন অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে। গত কয়েক দিন থেকেই পবিত্র রমজানের ইফতার, সেহরী ও নামাজসহ রত-দিন দীর্ঘ সময় বিদ্যুৎ থাকছে না।শেরপুরে কি কারণে ঘন্টার পর ঘন্টা বিদ্যুৎ বিহীন অন্ধকারে থাকতে হচ্ছে সাধারণ মানুষকে তা কারো জানা নেই। কোন রকমের মাইকিং বা বিজ্ঞপ্তি ছাড়াই দিন রাত ২৪ ঘন্টার মধ্যে দীর্ঘ কয়েক ঘন্টা থাকছে না বিদ্যুৎ। বিদ্যুৎ থাকলেও ভোল্টেজ পাওয়া যায়১৫০ থেকে ১৮০, এতে করে ইলেকট্রনিক সামগ্রী বিকল হয়ে পড়ছে। অন্য দিকে ভোল্টেজ কম থাকার কারণে মিটার ঘুরছে বেশি গ্রাহকদের বিদ্যুৎ বিল গুনতে হচ্ছে প্রায় দিগুণ। এরই ফলে দিন-রাতে বেশির ভাগ সময় বিদ্যুৎ থাকছেনা। ফলে চরম দূর্ভোগে পরেছেন গ্রহকরা।সেহ্রির সময় বিদ্যুতের লোডশেডিং থাকায় অন্ধকারের মধ্যে করতে হচ্ছে রান্না-বান্নাসহ খাওয়া-দাওয়ার কাজ। রমজান মাসেও স্কুল, কলেজ খোলা থাকলেও সন্ধ্যার পর বিদ্যুতের লোডশেডিংয়ের কারণে শিক্ষার্থীরা পড়ালেখা করতে পারছে না।
বিদ্যুৎ নির্ভর কলকারখানা গুলো প্রায় বন্ধের উপক্রম হয়ে পরেছে। কারখানার মালিকগন জানান- অতীতের সকল রেকর্ড ভেঙে ফেলেছে শেরপুর নেসকো বিদ্যুৎ কোম্পানি ঘনঘন বিদ্যুৎ চলে যাওয়ার কারণে আমাদের কলকারখানা গুলো নষ্ট হয়ে যাচ্ছে এবং কর্মচারীদের ঠিক মতো বেতনও দিতে পারছিনা। নেসকো বিদ্যুৎ শেরপুর জোনাল অফিসের জরুরি বিভাগে ফোন করে লোডশেডিং হচ্ছে তবে কি কারণে এই লোডশেডিং তা জানা যায়নি। বিদ্যুৎ নির্ভর ব্যবসায়ীগন আজ মানবেতর জীবনযাপন করছেন।