শনিবার, ১৬ নভেম্বর ২০২৪, ১০:৪০ পূর্বাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

সন্ন্যাসী-সন্ন্যাসিনী হত্যার প্রতিবাদে মানবতা বাঁচাও দিবস পালন করলেন

Reading Time: 2 minutes

শম্পা দাস ও সমরেশ রায়,
আজ ৩০ শে এপ্রিল রবিবার, এই দিনটিতে অর্থাৎ ১৯৮২ সালের ৩০শে এপ্রিল, কলকাতার বিজন সেতু ও বান্ডেল গেট এলাকায়, প্রকাশ্য দিবালোকে পিটিয়ে, ধারালো অস্ত্র দিয়ে কুপিয়ে ,এসিড দিয়ে পুড়িয়ে, গায়ে পেট্রোল ঢেলে জীবন্ত জালিয়ে আনন্দমার্গের সতেজন সন্ন্যাসী .সন্ন্যাসিনীকে হত্যা করেছিল, সিপিএমের ঘাতক বাহিনী তারই প্রতিবাদে আবার গর্জে উঠলেন আনন্দমার্গ প্রচার সংঘ.। তাহারা একটি বিশাল প্রতিবাদ মিছিল করেন সাত থেকে আটশ আনন্দমার্গের সকল সদস্যবৃন্দ এবং তাদের শিষ্যরা মিলে এই মিছিল শেষ হয় বিজন সেতুতে যেখানে ১৯৮২ সালে দুর্ঘটনা ঘটে, এই মিছিল ও প্রতিবাদের ফলে সমস্ত যান চলাচল ঘুরিয়ে দেওয়া হয় গড়িয়াহাট রোড দিয়ে, এমনকি বালিগঞ্জ স্টেশনে গাড়ি ঢুকাও বন্ধ হয়ে যায় এবং বিজন সেতুর উপর দিয়ে সমস্ত গাড়ি চলাচল বন্ধ হয়ে যায় সন্ধ্যা ছটা পর্যন্ত। তারা বলেন শুধু কলকাতার বিজন সেতু ও বন্ডেল গেটে নয়, পাঁচই মার্চ পুরুলিয়ার আনন্দনগরে আনন্দমার্গের ৫ জন সন্ন্যাসীকে এরা খুন করেছিল ,১৯৬৯ সালে কোচবিহারে রবি সরকারকে, ১৯৯০ সালে ২রা এপ্রিল আনন্দনগরে কৃষিবিজ্ঞানী অসীমানন্দ অবধূত সহ পাঁচজনকে খুন করে সিপিএম হারমাদর। কেন এই হত্যাকাণ্ড, কেন এই খুন, কেন আজও খুনিদের বিচার হয়নি, এই সকল প্রশ্নের উত্তর পেতে তাদের প্রতিবাদ,, প্রশ্ন বারবার জেগে উঠে ,কেন আনন্দমার্গীদের ওপর বারবার আক্রমণ, তাই আমরা চাই প্রকৃত সত্যের উদঘাটন ও বিচার। বিজন সেতুর হত্যাকাণ্ড যে কমিউনিস্টদের ভিন্ন পরিকল্পনায় সংঘটিত হয়েছিল, সেটা সকলেরই জানা, দাসত্ব মানব সমাজের সার্বিক স্বার্থে ,প্রকৃত তদন্তের মাধ্যমে ,এই সত্য উন্মোচিত ও প্রমানিত হওয়া প্রয়োজন। কারণ ওদের পাশবিক চরিত্র সম্পর্কে স্পষ্ট ও সার্বিক ধারণার অভাবের জন্যই বাংলায় ওরা ৩৪টি বছর দাদাগিরি করতে পেরেছিল,, আজ বাংলায় যে ক্রমাগত খুন, ধর্ষণ ,নারী নির্যাতন হয়ে চলেছে। এর জন্য অনেকাংশে দায়ী জলবাদী কমিউনিস্টদের ৩৪ বছরের কুশিক্ষা পাশবিক আচরণ ও অপশাসন। ৪০ বছর আগে, বিজন সেতুতে নিশংসভাবে সন্ন্যাসী সন্ন্যাসিনী হত্যাকাণ্ডের পরিপ্রেক্ষিতে, আমরা চাই বর্তমান তদন্ত কমিশনের দ্বারা প্রকৃত সত্য উন্মোচন অযথার্থ বিচার হোক। তাই আজ ৩০ এপ্রিল সন্ন্যাসী হত্যার বিচার ও মানবতা বাঁচানোর দাবিতে দেশপ্রিয় প্রাগ থেকে আমাদের মৌন মিছিল বিজন সেতু পর্যন্ত গিয়ে শেষ হয়, যেখানে এই হত্যা লীলা ঘটেছিল।, এবং অমর দধীচিদের প্রতি শ্রদ্ধা জ্ঞাপন, ও কমিউনিস্ট সন্ত্রাসের বিরুদ্ধে ধিক্কার জানালেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com