রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩১ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
ফজলে এলাহী, নওগাঁ:
উত্তরের জেলা নওগাঁয় শীতকালীন শাকসবজির দাম কমতে শুরু করেছে। সরবরাহ বাড়ার ফলে এর প্রভাব বাজারে পড়তে শুরু করেছে। ধারণা করা যাচ্ছে শীত যত বাড়বে, সরবরাহও বাড়বে, আর এর ফলে দাম ও কমতে শুরু করবে। নওগাঁ জেলায় উৎপাদিত সবজি স্থানীয় চাহিদা মিটিয়ে চলে যায় ঢাকাসহ বাংলাদেশর বিভিন্ন জেলায়। শীত মৌসুমে প্রচুর শাকসবজি বাজারে উঠতে শুরু করেছে। জেলার পাইকারি কাঁচাবাজার ঘুরে জানা গেছে, প্রতি পিচ বাঁধা কপি ১৩-১৫ টাকা, লাউ ১৫-২০ টাকা, শিম ১০-১৪ টাকা, করলা ৩৮-৪০ টাকা, নতুন পেঁয়াজ ২৮ টাকা, গাজর ৬০-৬৪ টাকা, টমেটো ৪০-৪২টাকা, নতুন আলু ৪০ টাকা কেজিতে বিক্রি হচ্ছে। একজন কৃষক বলছেন ইউরিয়া ও ডিএপি সার প্রতি বস্তায় বেড়েছে ৪০০ টাকা, শ্রমিকের মজুরি ও বেড়ে ৫০০ টাকা হয়েছে। সব মিলিয়ে শাকসবজির উৎপাদন খরচ বেড়েছে। কিন্তু সে তুলনায় দাম পাওয়া যাচ্ছে না। দাম কমায় উৎপাদন খরচ ওঠা নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করছেন তারা। চাষিদের অভিযোগ, তাদের কাছ থেকে সবজি কিনে লাভবান করছেন মধ্যস্বত্বভোগীরা। কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা যায়, নওগাঁ জেলায় চলতি শীত মৌসুমে মোট ৭ হাজার ৯৭০ হেক্টর জমিতে শাকসবজির আবাদ হয়েছে। এ বছর শাকসবজির আবাদ ভালো হয়েছে। এর ফলে আমদানি বেশি হয়েছে দামও কিছুটা কমেছে। তবে মৌসুমের শুরুতে শাকসবজির দাম কিছুটা বেশি থাকায় চাষিরা লাভবান হয়েছেন। এখন দাম কিছুটা কম পাচ্ছেন।