শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ১০:২৯ পূর্বাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

সাংবাদিকের নামে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও ঘটনার সাথে জড়িত পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন

Reading Time: 3 minutes

নিজস্ব সংবাদদাতা, পাবনা:
সাংবাদিকের নামে দেওয়া ৪টি মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার ও মিথ্যা মামলা দিয়ে হয়রানি করার অভিযোগে অভিযুক্ত পুলিশ কর্মকর্তাসহ জড়িতদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবিতে সংবাদ সম্মেলন করেছে ভুক্তভোগী সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস। গতকাল পাবনা প্রেসক্লাব, পাবনার হলরুমে দুপুরে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য দেন ভুক্তভোগি সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস। তার সাথে ছিলেন, স্ত্রী কানিজ ফাতেমা ও তার বড় বোন বিলকিস বেগম। মোবারক বিশ্বাস বলেন, গেল ১৪ মার্চ ২০২৫ শুক্রবার বিকালে একটি গায়েবী চাঁদাবাজির মামলায় তাকে তার বাড়ি থেকে পুলিশ গ্রেফতার করে। এর ৪দিন পর তার নামে পাবনা বৈষম্যবিরোধী ছাত্র হত্যা মামলা জিআর ৫০৩/পাবনার আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী হিসাবে গ্রেফতার দেখায়। তার ১মাস পর ঈশ্বরদীর ভাংচুর ও অগ্নিসংযোগ এবং বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী হিসাবে গ্রেফতার দেখায়। উক্ত জিআর মামলা নং- ৫৩০ ঈশ্বরদী। প্রায় সাড়ে ৬ মাস হাজতবাস শেষে যখন জামিনে বের হতে যাচ্ছে ঠিক ওই সময় ডিবি পুলিশের একটি টিম পাবনা জেলা কারাগারের ভিতরের গেট থেকে তাকে আবারও গ্রেফতার করে। ওই দিন সাংবাদিকদের সাথে ডিবি পুলিশের ব্যাপক বাক বিতন্ডা হয়। বাকবিতন্ডা শেষে পুলিশ পুনরায় তাকে আর গ্রেফতার করবে না মুচলেকা দিয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে আরেকটি মামলায় অজ্ঞাতনামা আসামী দেখিয়ে মোবারক বিশ্বাসকে গ্রেফতার করে জেল হাজতে প্রেরন করেন চাটমোহর থানা পুলিশ। উক্ত মামলা নং জিআর ০৩। এভাবে আমার নামে ৪টি মামলা দেয়া হয় বলে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস অভিযোগ করেন। তিনি আরো বলেন, বৈষম্যবিরোধী হত্যা মামলা হওয়ার পরেও আসামীদের পুলিশ গ্রেফতার না করায় নিহত ও আহতদের পরিবারের লোকজন যখন নিরাপত্তা হীনতায় ভুগছিল, তখন তিনি নিহত ও আহত এবং জুলাই যোদ্ধাদের পক্ষে একটি নিউজ করেছিলেন। নিউজটা পুলিশের বিপক্ষে গিয়েছিল। এদিকে পাবনা সদর থানার ওসি মাদক ব্যাবসায়ীদের ধরে নামমাত্র মামলা দিয়ে কোটে চালান দিতেন। তখন সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস পাবনা সদর থানার ওসি আব্দুস সালামের বিরুদ্ধে একটি নিউজ করেছিলেন । তিনি আরো জানান, আমার ভাইদের সাথে জমি নিয়ে বিরোধ আছে। যেটা আদালতে বিচারাধীন। আমার ভাই এসপি সাহেবের সাথে মোটা অংকের টাকার বিনিময়ে চুক্তি করেছিল। এ জন্য আমাকে গ্রেফতার করে জেলে ভরে রাখা হয়েছিল। পরিকল্পনানুযায়ী আমার ভাই ও ভাতিজারা আমার বাড়ির গ্রিল কেটে প্রবেশ করে আমার স্ত্রীকে হত্যার জন্য বেদম প্রহার করেছিল। একপর্যায়ে হত্যা করতে টেনে হিচরে তাদের ঘরে নেওয়ার চেষ্টা করেছিল। ওই সময় পুলিশের উপস্থিতিতে আমার স্ত্রীকে পেটানো হলেও পুলিশ নিরব দর্শকের মত দাড়িয়ে দেখছিল। পরে পুলিশ স্থাণীয়দের চাপের মুখে লোক দেখানোর জন্য আমার ভাই ও ভাতিজাদের গ্রেফতার করলেও রাতের আধারে আমার ভাইকে পুলিশ আবার তার বাড়িতে রেখে যায় এবং লোক দেখানো মামলায় আমার ২ ভাতিজাকে আদালতে প্রেরন করে। যা আদালত খোলার দিন জামিনে মুক্ত হয়ে আবার বাড়িতে এসে হুমকি ধামকি দিতে থাকে। এ ব্যাপারে পাবনা সদর থানায় আমার স্ত্রী সাধারন ডায়েরী করেছিল। গত ৫আগষ্ট ২০২৪ আনন্দ শোভা যাত্র চলাকালে আমার ভাই, ভাতিজা প্রকাশ্যে শহীদ চত্বরে আমার উপর হামলা করলো, সেই মামলা ফাইনাল দিয়েছে পাবনা থানা পুলিশ। অথচ দিনে দুপুরের ঘটনা, পুলিশ ফাইনাল দেয় কিভাবে। উক্ত ঘটনায় একজন সাংবাদিক হিসাবে আমি কোন বিচার পাইনি। কারন সেদিনকার ঘটনাও ছিল আমাকে হত্যার জন্য, আক্রমন করেছিল আমার ভাই এবং ভাতিজারা। পুলিশ উল্টো আমার নামে গায়েবী মামলা দিয়ে গ্রেফতার করে হাজতবাস করিয়েছে। একজন সাংবাদিক যদি ন্যায় বিচার না পায়, তাহলে সাধারণ মানুষের অবস্থা কি হতে পারে। পাবনার এসপি আলী মর্তুজা খান পাবনায় ৩ জন সাংবাদিকের বিরুদ্ধে মামলা করে জেলে ভরেছে। আমি আপনাদের মাধমে সারা বাংলাদেশে জানিয়ে দিতে চাই। এই এসপি যেখানেই বদলী হোক না কেন ? সাংবাদিক নির্যাতনকারী পুলিশ সুপার হিসাবে যেন তাকে চিনতে পারে এজন্য প্রতিটি সংবাদপত্রে নিউজ ছাপানোর অনুরোধ করেন। মোবারক বিশ্বাস আক্ষেপ করে বলেন, জুলাই-আগষ্ট আন্দোলনে সক্রিয় ভুমিকা পালন করার পরেও পুলিশ আমাকে আওয়ামীলীগের দোষর বানানোর চেষ্টা করছে কার ইশারায় সেটা তদন্ত করে দোষি পুলিশ কর্মকর্তাদের দৃষ্টান্তমুলক শাস্তির দাবি জানান। বৈষম্যবিরোধী আন্দোলনের মামলায় গ্রেফতার দেখানো একাধিক মামলা সিআরপিসি ১৭৩/এ ধারার সংশোধনীর আলোকে ন্যায় বিচারের স্বার্থে দায় হতে অব্যহতির প্রার্থনায় মোবারক বিশ্বাস আবেদন করেছেন পাবনা পুলিশ সুপারের কাছে। এদিকে নিজের নিরাপত্তা নিয়ে শংকিত মোবারক বিশ্বাস। মোবারক বিশ্বাস এটিএন বাংলার পাবনা জেলা প্রতিনিধি ও দৈনিক খবরপত্রের স্টাফ রিপোটার।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com