সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ১০:০৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
আব্দুল্লাহ আল মামুন, খাগড়াছড়ি
খাগড়াছড়িতে মামুন হত্যাকে কেন্দ্র করে সহিংসতার ঘটনায় ইউনাইটেড পিপলস ডেমোক্রেটিক ফ্রন্ট ইউপিডিএফ(মূল) এর ডাকা টানা ৭২ঘণ্টা অবরোধে দেশের বিভিন্ন জেলা থেকে রাঙামাটির সাজেকে ঘুরতে আসা প্রায় ১৪’শ আটকে পড়া পর্যটককে খাগড়াছড়িতে নেওয়া হয়েছে।
‘বিক্ষুব্ধ জুম্ম ছাত্র-জনতা’ প্ল্যাটফর্মে শনিবার সকাল থেকে তিন পার্বত্য জেলা খাগড়াছড়ি, রাঙামাটি ও বান্দরবানে সড়ক ও নৌপথ অবরোধের ডাক দেয়া হয়। ওই দিন সকাল থেকে পার্বত্য জেলা গুলোতে শুরু হয় এ অবরোধ। পাশাপাশি রাঙামাটিতে যৌথ পরিবহন মালিক সমিতির ডাকা অনির্দিষ্টকালের জন্য ধর্মঘট চলে। ৭২ঘণ্টার সড়ক অবরোধ কর্মসূচি শেষে খাগড়াছড়িতে যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। সকাল থেকে দূরপাল্লার গাড়ি ছেড়ে গেছে। সকল সড়কে যানবাহন চলাচল স্বাভাবিক হয়েছে। গত ৬দিন সাজেকে আটকে থাকার পর সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় ২৪সেপ্টেম্বর (মঙ্গলবার) সকাল ৭টায় সাজেক থেকে পিকআপ-চাঁদের গাড়ি অনান্য সহ ১১২টি, সিএনজি ২৩টি ও মোটরসাইকেল ১০৯টিতে করে ১৪’শ পর্যটক সাজেক থেকে নেমে আসতে শুরু করে। ফেরার পথে কয়েকজন পর্যটক জানান, সম্প্রতি খাগড়াছড়িতে সহিংসতার ঘটনাকে কেন্দ্র করে হঠাৎ ৭২ঘন্টা অবরোধের ডাক আসলে সাজেকের সাথে সারাদেশের সড়ক যোগাযোগ বন্ধ হয়ে যায়। যে কারণে আমরা দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে আসা প্রায় দেড় হাজার পর্যটক আটকা পড়ে যাই। অবরোধ শেষ হলে আজ বাংলাদেশ সেনাবাহিনী ও পুলিশের বিশেষ নিরাপত্তায় আমরা সাজেক থেকে ফিরছি। এর আগে আটকে থাকা পর্যটকদের মধ্যে নিজস্ব ব্যবস্থাপনায় প্রাইভেট হেলিকপ্টার যোগে অর্ধশতাধিক পর্যটক আকাশ পথে সাজেক ছেড়ে যান। যৌথবাহিনী সূত্র জানায়, অবরোধের কারণে বিভিন্ন জেলা থেকে সাজেকে বেড়াতে আসা প্রায় ১৪’শ পর্যটক আটকা পড়ে যায়। অবরোধ শেষ হলে পূর্বের মতো আমরা পর্যটকদের সাজেক থেকে নামিয়ে আনতে সক্ষম হয়। সাজেক রিসোর্ট ও কটেজ মালিক সমিতির সভাপতি সুপর্ন দেববর্মন জানান, আটকে পড়া ১৪’শ পর্যটককে পরিস্থিতি বিবেচনায় ৫০থেকে ৭৫শতাংশ ডিসকাউন্ট দেওয়ার পাশাপাশি অনেককে পুরোটাই ছাড় দেওয়া হয়েছে। রাত পোহানোর সঙ্গে সঙ্গে যৌথবাহিনীর সহায়তায় মঙ্গলবার সকালে নিজস্ব বাইক ও গাড়িতে রওয়ানা হয়েছেন তারা। খাগড়াছড়ি সড়ক পরিবহন মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম ভূঁইয়া জানান, দেশের অধিকাংশ জেলার সঙ্গে সমিতির সড়ক ও পরিবহন নেটওয়ার্ক আছে। সকাল থেকে যথারীতি সব রুটে গণপরিবহন চালু হয়েছে। এদিকে, খাগড়াছড়ি জেলা প্রশাসক মো. সহিদুজ্জামান জানান, নিরাপত্তা বাহিনীর সহযোগিতায় এবং জনপ্রতিনিধি ও অংশীজনদের সদিচ্ছায় সোমবার বিকেল থেকেই পরিস্থিতি দ্রুতই স্বাভাবিক হয়ে আসছে। মঙ্গলবার সব ধরনের যানবাহন চলাচল শুরু হয়েছে। শিক্ষা প্রতিষ্ঠান সমূহ চালু হয়েছে। হাটবাজারে কেনাবেচাসহ সকল ক্ষেত্রে জনসাধারণ স্বস্তি নিয়ে কাজকর্ম করছেন।