admin
- ১৬ অক্টোবর, ২০২২ / ১১৫ Time View
Reading Time: 3 minutes
প্রেস বিজ্ঞপ্তি :
গত ১২/১০/২০২২ তারিখে বগুড়া জেলার সোনাতলা থানা পুলিশের ভাড়াকৃত মাইক্রোবাসে ডাকাতি সংঘটনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডাকাতির সাথে জড়িত ০৬ জন ডাকাতকে গ্রেফতার, লুন্ঠিত মালামাল, ডাকাতি কাজে ব্যবহৃত বার্মিজ চাকু এবং চাপাতি উদ্ধারঃ
গত ১২/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখে বগুড়া সোনাতলা থানার অপহরণ মামলার ভিকটিম মোছাঃ রুদমিলা আক্তার রিশা’কে ঢাকা হতে উদ্ধারপূর্বক বগুড়া জেলার সোনাতলা থানার পুলিশসহ একটি ভাড়াকৃত মাইক্রোবাসে ঢাকা হতে বগুড়ায় ফেরার পথে বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানাধীন কড্ডা ১৭ নং ব্রীজের অনুমান ৪০০ গজ পূর্বে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কের উপর পৌঁছলে অজ্ঞাতনামা ডাকাত দলের কবলে পড়ে। তাদের নিকট থেকে নগদ টাকা, মোবাইল, পুলিশের ব্যবহৃত হ্যান্ডকাপ, ওয়াকিটকি, পুলিশের পোশাক ও মানিব্যাগ ছিনিয়ে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় বঙ্গবন্ধু সেতু পশ্চিম থানায় অজ্ঞাতনামা আসামী দিয়ে একটি ডাকাতি মামলা রুজু হয়।
চাঞ্চল্যকর এই ডাকাতির ঘটনাটি দেশব্যাপি আলোচনার কেন্দ্রবিন্দুতে পরিণত হয়। সিরাজগঞ্জ জেলার সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় এই ডাকাতির সাথে জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তে একটি চৌকস টিম গঠন করেন। জনাব মোঃ সামিউল আলম, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার(ক্রাইম এ্যান্ড অপস্), জেলা গোয়েন্দা শাখার এই চৌকস টিমকে সার্বিক দিক-নির্দেশনা প্রদান করেন। চৌকস এই টিমের দূরদর্শী কার্যক্রম এবং সুযোগ্য পুলিশ সুপার জনাব মোঃ আরিফুর রহমান মন্ডল, বিপিএম(বার), পিপিএম(বার) মহোদয় এর নিবিড় তত্বাবধানের কারণে ডাকাতির সহিত জড়িত ব্যক্তিদের সনাক্তপূর্বক কোনাবাড়ী গাজীপুর এবং সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন থানা এলাকায় নিদ্রাহীন, বিরামহীন ও নিরবিচ্ছিন্ন অভিযান পরিচালনা করে ঘটনায় জড়িত সকলকে ডাকাতি সংঘটনের ৭২ ঘন্টার মধ্যে ডাকাত দলের সর্দার ১) মোঃ তুষার আহম্মেদ @ ইউসুফ খাঁন @ অন্তর (২২) ‘সহ ডাকাত দলের সদস্য ২) মোঃ ওয়াজেদ আলী(৩৪) ৩) মোঃ আব্দুল লতিফ খান @ নিকি (২১), ৪) মোঃ ইনামুল হক আশিক(১৯) ৫) মোঃ আব্দুল মোতালেব(২৬) ও ৬) মোঃ সোহেল রানা(২৮)গণদের গ্রেফতার করা সম্ভব হয়। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের নিকট হতে ১। হ্যান্ডকাপ-০১ জোড়া ২। মোবাইল-০৩ টি ৩। মানিব্যাগ-০১টি ৪। ওয়াকিটকি-০১টি ৫। পুলিশ ইউনিফর্ম-০১ সেট ৬। ক্রেডিট কার্ড-০১টি ৭। পুলিশ আইডি কার্ড-০১টি ৮। মানিব্যাগ-০১টি ৯। নগদ-৬২০০/- টাকা ১০। কালো ব্যাগ-০২টি, ১১। হাতঘড়ি-০১টি ১২। চশমার কাভার-০১টিসহ ডাকাতিতে ব্যবহৃত ১। দুইটি বার্মিজ চাকু ও ২। একটি চাপাতি উদ্ধার করেন।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের জিজ্ঞাসাবাদে জানা যায় যে, সিরাজগঞ্জ জেলাধীন ঢাকা থেকে উত্তরবঙ্গগামী মহাসড়কস্থ নলকা হতে সয়দাবাদ মোড় পর্যন্ত বিভিন্ন পয়েন্টে নিয়মিত ডাকাতি করায় তাদের পেশা। তাদের নিয়মিত ডাকাতি কার্যক্রমের অংশ হিসেবে গত ১২/১০/২০২২ খ্রিঃ তারিখে গ্যাং লিডার তুষারের নেতৃত্বে ০৬ জনের একটি ডাকাতদল এবং ডাকাত সরদার ছোট (ছদ্মনাম) এর নেতৃত্বে ০৬/০৭ জনের অপর একটি দল কড্ডা এবং মুলিবাড়ির মাঝামাঝি জায়গায় পৃথকভাবে অবস্থান নেয়। রাত ০১.০০ ঘটিকায় বগুড়া জেলা পুলিশ কর্তৃক ঢাকা হতে অপহরণ মামলার ভিকটিমকে উদ্ধার করে বগুড়া ফেরার পথে ভাড়াকৃত হায়েচ মাইক্রোবাস ঘটনাস্থলে পৌছালে ডাকাতদল অবিরামভাবে পাথর নিক্ষেপ করে মাইক্রোবাসের ডানপাশ থেকে পিছন দিকের কাঁচ ভেঙ্গে ফেলে। উক্ত ভাঙ্গা কাঁচ মাইক্রোবাসের যাত্রী ভিকটিম রিশার বড় চাচা মোঃ শহিদুল ইসলাম এর মাথায় পড়লে আঘাত প্রাপ্ত হন। আকস্মিক এই ঘটনায় শহিদুল ইসলাম চিৎকার করলে ড্রাইভার গাড়ী থামিয়ে জখমী শহিদুল ইসলাম এর রক্তপাত বন্ধ করতে মাথায় গামছা বেধে দেয়ার এক পর্যায়ে সশস্ত্র ডাকাত দল গাড়ির পিছন দিক থেকে এসে যাত্রীদের অতর্কিত হামলা করে নগদ টাকা, মোবাইলফোন, পুলিশ ইউনিফর্ম, ওয়াকিটকি, হ্যান্ডকাপ এবং ভিকটিমের কানের দুল ছিনিয়ে নিয়ে যায়। মাইক্রোবাসে ড্রাইভারসহ মোট ০৬ জন ছিলেন। এর মধ্যে ভিকটিম উদ্ধার অভিযানে অংশগ্রহণকারী বগুড়া জেলায় সোনাতলা থানার এসআই(নিঃ)/মোঃ আব্দুল খালেক এবং কনস্টেবল মোঃ আবুল কালাম ছাড়াও অপহরণ মামলার ভিকটিম মোছাঃ রুদমিলা আক্তার রিশা(১৩), রিশার বাবা মোঃ আঃ রশিদ এবং বড় চাচা মোঃ শহিদুল ইসলাম ছিলেন। দুধর্ষ এই ডাকাতদল এর অতকির্ত হামলায় দুইজন পুলিশ সদস্য, ভিকটিম রিশার বাবা এবং চাচা দেশীয় অস্ত্রের আঘাতে জখমপ্রাপ্ত হন। এসআই(নিঃ) মোঃ আব্দুল খালেকের হ্যান্ড ট্রাভেল ব্যাগে রক্ষিত পুলিশ ইউনির্ফম, ওয়াকিটকি সেট এবং হ্যান্ডকাপ ছাড়াও গুরুত্বপূর্ণ অফিসিয়াল কাগজ পত্রসহ ব্যাগটি নিয়ে ডাকাতদল পালিয়ে যায়। দুর্ধ্ষ এই ডাকাতির ঘটনায় জড়িত গ্যাং লিডার তুষারসহ জড়িত সকল ডাকাতকে কোনাবাড়ী গাজীপুর ও সিরাজগঞ্জ জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে অভিযান চালিয়ে গ্রেফতারের পাশাপাশি লুন্ঠনকৃত মালামাল ও ডাকাতিতে ব্যবহৃত দেশীয় অস্ত্রাদি উদ্ধার করা সম্ভব হয়।
গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের বিরুদ্ধে সার্বিক আইনানুগ প্রস্তুতি শেষে বিজ্ঞ আদালতে প্রেরণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।