রবিবার, ২৪ নভেম্বর ২০২৪, ০৭:২২ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এইচএম মোকাদ্দেস, সিরাজগঞ্জ :
সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শালুয়াভিটা সিনিয়র মাদ্রাসায় তিনটি পদে নিয়োগ পরীক্ষার আগেই মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে তিন প্রার্থী চুড়ান্ত করার অভিযোগ উঠেছে মাদ্রাসার সুপার ও ম্যানেজিং কমিটির সভাপতির বিরুদ্ধে। এবিষয়ে গ্রামবাসী নিয়োগ পরীক্ষা বাতিলের জন্য মাদ্রাসা অধিদপ্তরের মহা-পরিচালক (ডিজি)সহ বিভিন্ন দপ্তরে একটি লিখিত অভিযোগ করেছেন। লিখিত অভিযোগ সূত্রে জানাযায়, সিরাজগঞ্জ সদর উপজেলার শালুয়াভিটা সিনিয়র দাখিল মাদ্রাসায় সহ-সুপার, নৈশপ্রহরী ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী এই তিনটি পদে নিয়োগ দেয়ার জন্য গত ২৩ সেপ্টেম্বর ২০২৩ইং তারিখে পত্রিকায় নিয়োগ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হয়। বিজ্ঞপ্তি প্রকাশের পর সহ-সুপার পদে ৭জন, নৈশপ্রহরী পদে ৮জন ও পরিচ্ছন্নতাকর্মী ( আয়া) পদে ৪ জন আবেদন করে। প্রার্থীদের আবেদন যাচাই বাছাই করে ম্যানেজিং কমিটি তাদেরকে বৈধ প্রার্থী ঘোষনা করে আগামী ২৬ ফেব্রুয়ারী রোজ সোমবার দুপুর ২টায় নিয়োগ পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করার জন্য প্রার্থীদের নামে ইন্টারভিউ কার্ড ইস্যু করে। কিন্তু ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলাম ও মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক জাকির যোগসাজস করে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে আগেই আয়া ও নৈশপ্রহরী পদে দুই প্রার্থীকে চুড়ান্ত করে রেখেছেন। এর মধ্যে আয়া পদে চর শৈলাবাড়ি গ্রামের এরশাদ এর স্ত্রী আমিনা খাতুন অন্তরা, ও নৈশপ্রহরী পদে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি নূরুল ইসলামের নাতিন শালুয়াভিটা গ্রামের ওয়াজেদ আলীর ছেলে শামীম রেজাকে মোটা অংকের অর্থের বিনিময়ে নিয়োগ দেয়ার জন্য পরীক্ষার আগেই চুড়ান্ত করেছেন বলে অভিযোগ পত্রে উল্লেখ করা হয়েছে। এতে অন্যান্য প্রার্থীদের মাঝে দেখা দিয়েছে হতাশা। এমনকি সুকৌশলে শুধু মাত্র প্রক্সি প্রার্থীদের ডেকে এনে নাম মাত্র পরীক্ষা নিয়ে মনোনীত প্রার্থীদের নিয়োগ দেওয়া হবে বলে এমনটাও জানা যায় । নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক আয়া পদে একজন প্রার্থীর স্বজন বলেন, আমরা শুনেছি পরীক্ষার আগেই আমিনা ও শামীম রেজার কাছে থেকে মোটা অঙ্কের অর্থ নিয়ে মনোনীত করেছেন এবং তাদেরকেই নিয়োগ দেবেন বলে আমরা শুনতে পাচ্ছি। তাই আমরা ওই পাতানো নিয়োগ বাতিলের জন্য আবেদন জানাচ্ছি। শালুয়াভিটা দাখিল মাদ্রাসার সুপার আব্দুল মালেক জাকির এর কাছে নিয়োগ বাণিজ্যের বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, নিয়োগ সংক্রান্ত বিষয়ে কোন লেনদেন হয়েছে কি না তা আমার জানা নেই। এবিষয়ে সভাপতি বলতে পারবেন। তবে ম্যানেজিং কমিটির সভাপতি মো. নূরুল ইসলাম বলেন এব্যাপারে আমি কিছু বলতে পারবো না। অভিয়োগের বিষয়ে মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক (ডিজি)’র প্রতিনিধি মাদ্রাসা শিক্ষা অধিদপ্তরের পরিদর্শক (চট্টগ্রাম বিভাগ) ড. আবুল কালাম আজাদ বলেন, নিয়োগের আগেই প্রার্থী চুড়ান্ত করেছে কি না সেটা বলতে পারবো না। তবে নিয়োগ পরীক্ষা সচ্ছ হবে। এখানে কোন ধরনের অনিয়ম করতে দেয়া হবে না। সচ্ছতার ভিত্তিতে পরীক্ষা নিয়ে যোগ্য প্রার্থী নির্বাচন করা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।