শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:০৬ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
নিজস্ব সংবাদদাদা, বেনাপোল :
সীমানা সংক্রান্ত জটিলতার মামলার অজুহাতে বেনাপোল পৌরসভার নির্বাচন বন্ধ থাকায় কাঙ্খিত উন্নয়ন, নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। প্রশাসক নিয়োগের প্রথম মেয়াদের ছয় মাস শেষ হলেও নেই কোন নির্বাচনের তোড়জোড়। ভোট দিতে না পারায় ক্ষোভ প্রকাশ করছে এলাকাবাসী। সীমানা জটিলতা নিরশনে জোড় চেষ্টা চালাচ্ছেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয়। ২০০৬ সালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বেনাপোলকে পৌরসভা হিসাবে ঘোষণা করা হয়। ২০১১ সালের ১লা জানুয়ারী বেনাপোল পৌরসভার প্রথম নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। ভোটে মেয়র নির্বাচিত হন আওয়ামী লীগ নেতা আশরাফুল আলম লিটন। ৫ বছর পর ২০১৫ সালের ১ জানুয়ারী পৌরসভার মেয়াদ উত্তীর্ণ হয়। এ সময় নির্বাচন হবার কথা থাকলে সীমানা জটিলতায় আটকে যায় নির্বাচন। পৌরসভা সংশোধণী আইন পাশ হলে স্থানীয় সরকার মন্ত্রালয় ২২ সালের মে মাসে প্রশাসক নিয়োগ করে। প্রশাসক নিয়াগের মেয়াদ প্রায় বছর হতে গেলেও নির্বাচন না হওয়ায় নাগরিক সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে পৌরবাসী। প্রথম শ্রেনীর এই পৌরসভায় দীর্ঘদিন ধরে নতুন কোন প্রকল্প না থাকায় সড়ক, ড্রেন পানি সরবরাহসহ কাঙ্খিত উন্নয়ন স্থবির হয়ে পড়েছে। দেশের সর্ববৃহত্তম স্থল বন্দর রয়েছে এই পৌর সভায়। প্রতি বছর সরকার প্রত্যক্ষ পরোক্ষভাবে ১০ হাজার কোটি রাজস্ব আদায় করে থাকে এই বন্দর থেকে। ১৮ বর্গ কিলোমিটারের এই পৌরসভায় প্রায় দশ হাজার পরিবারের এক লাখ বিশ হাজার মানুষ বসবাস করে। বেনাপোল পৌরসভার বড়আঁচড়া গ্রামের বাসিন্দা নাছির উদ্দিন জানান, আদালতে মামলা থাকায় দীর্ঘদিন নির্বাচন স্থগিত রয়েছে। ভোট না হওয়ায় মেয়র ও কাউন্সিলর প্রার্থী হতে ইচ্ছুক নেতাকর্মীরা হতাশ। দীর্ঘদিন পৌরসভার নির্বাচন না হওয়ায় অচলাবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। কাঙ্ক্ষিত উন্নয়ন বঞ্চিত নাগরিক সমাজ। বর্তমান পরিষদের জনগণের প্রতি দায়বদ্ধতাও নেই। সর্বশেষ কবে নির্বাচন হয়েছে সেটি ভুলতে বসেছে নাগরিকরা। দ্রুত মামলা নিষ্পত্তি করে নির্বাচনের ব্যবস্থা করা হোক। মেয়র আশরাফুল আলম লিটন কৌশলে নিজরে লোক দিয়ে মামলা করিয়ে পৌরসভার নির্বাচন আটকে রেখেছেন দীর্ঘদিন ধরে।
যশোর-১ আসনের সংসদ সদস্য শেখ আফিল উদ্দিন জানান, আমি শুনেছি বেনাপোল পৌর সভায় বিভিন্নভাবে সাজানো মিথ্যা মামলা দিয়ে নির্বাচন করতে দেয়া হচ্ছে না। বেনাপোল পৌরবাসীর সঙ্গে আমিও চাই একটি সুন্দর নির্বাচন হোক।
যশোরের জেলা প্রশাসক মো. তমিজুল ইসলাম খান বলেন, স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় থেকে পৌরসভার মামলা সংক্রান্ত তথ্য চেয়ে চিঠি দিয়েছে। সেই চিঠির প্রেক্ষিতে বেনাপোল ও ঝিকরগাছা পৌরসভার মামলা সংক্রান্ত প্রতিবেদন মন্ত্রণালয়ে পাঠিয়েছি। নির্বাচনের ব্যাপারে স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় পরবর্তী ব্যবস্থা নেবেন। যশোর স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয়ের উপ পরিচালক হুসাইন শওকত বেনাপোল পৌর সভায় বেশ কয়েকটি মামলা চলমান থাকায় দীর্ঘদিন নির্বাচন হচ্ছে না। সীমানা জটিলতার মামলা দ্রুত নিরসন করে নির্বাচনের কথা জানালেন স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় ।