বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ০৪:২৫ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
এম মনিরুজ্জামান, পাবনা:
বাংলাদেশ সরকার থেকে যথাযথ নিয়ম মেনে সুজানগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের বিল গমগাড়া,বিল কালিদাহ,বিল মহিষাখালী ও বিল শাকনাই ইজারা নেওয়া বিলে অবৈধভাবে জোড়পূবর্ক মাছ শিকার ও বিশিষ্ট সমাজসেবক আব্দুর রউফ খান (রতন মাস্টারের) বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে। বুধবার সকালে সুজানগর উপজেলার বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির আয়োজনে,সুজানগর প্রেসক্লাবে এ সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। সংবাদ সম্মেলনে বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সভাপতি মো. জুলফিকার আলী লিখিত বক্তব্যে উল্লেখ করেন, সরকারি নিয়ম নীতির মাধ্যমে উপজেলার ঐতিহ্যবাহী গাজনার বিলের গমগাড়া,বিল কালিদাহ,বিল মহিষাখালী ও বিল শাকনাই ১৪৩০-১৪৩২ বঙ্গাব্দে মেয়াদের জন্য বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি জলমহাল ইজারা পায়। বাংলাদেশ সরকারের সাথে ইজারা চুক্তিনামা হওয়ার পরপরই জলমহাল ইজারামূল্যের সর্বমোট ২৭,০৯,৩৭৫/-(সাতাশ লক্ষ নয় হাজার তিনশত পঁচাত্তর) সরকারি কোষাগারে জমা প্রদান করা হয়। কিন্তু বর্তমানে কয়েকজন প্রভাবশালী ব্যক্তির ইন্ধনে স্থানীয় কিছু ব্যক্তি জোড়পূর্বক আমাদের সমিতির নামে বরাদ্ধকৃত ঐ ইজারাকৃত বিলে অবৈধভাবে কারেন্টজাল দিয়ে মাছ শিকার করছে। এতে করে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে ইজারা নেওয়া বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির জেলেরা সবকিছু হারিয়ে পথে বসার উপক্রম হয়েছে। এমতাবস্থায় সমিতির সদস্যরা ঐ ইজারাকৃত বিলে অবৈধভাবে মাছ ধরা বন্ধে সংশ্লিষ্ট প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ সময় তিনি আরও উল্লেখ করেন, সমিতির জেলেরা তেমন লেখাপড়া না জানায় স্থানীয় বোনকোলা গ্রামের বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বোনকোলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রউফ রতনের কাছে গিয়ে জেলেরা বিভিন্ন বিষয়ে পরামর্শ নেওয়ায় একটি একটি স্বার্থন্বেষী মহল ওই রতন মাস্টারের বিরুদ্ধে মিথ্যা সংবাদ প্রকাশের পাশাপাশি বিভিন্নভাবে হয়রানি করার চেষ্টা করছে। আর তার বিরুদ্ধে এ ধরণের মিথ্যা অভিযোগ করায় আমরা বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির পক্ষ থেকে তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে বিশিষ্ট সমাজসেবক ও বোনকোলা বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষক আব্দুর রউফ খান (রতন মাস্টার) বলেন, গাজনার বিলে মাছ ধরে জীবিকা নির্বাহ করে থাকেন এ অঞ্চলের জেলে পরিবারগুলো। মাছ ধরাই যাদের পেশা। কিন্তু এই বিলে প্রকৃত জেলে নয় এমন লোকজন অবৈধভাবে মাছ ধরছেন। এতে সরকার থেকে বিপুল পরিমাণ টাকা দিয়ে জলমহাল ইজারা নেওয়া অসহায় দরিদ্র জেলে পরিবারগুলো আর্থিক ক্ষতিগ্রস্থ হয়ে পড়ায় মানবেতর জীবনযাপন করছে। আর অবৈধভাবে বিলে কারেন্ট জাল দিয়ে মাছ শিকার বন্ধ করতে বলায় একটি কুচক্রীমহল আমার নামে মিথ্যা অভিযোগের পাশাপাশি হয়রানী করার চেষ্টা করছে। আমি এর তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাচ্ছি। সংবাদ সম্মেলনে বোনকোলা মৎস্যজীবী সমবায় সমিতির সদস্য মজিবর রহমান খান,নুরুল ইসলামসহ সমিতির অন্যান্য সদস্যবৃন্দ ও স্থানীয় এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।