শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ১০:২৩ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার পাবনা জেলার ১৯৬তম জন্মদিন উপলক্ষে কাগজে গ্রাফিতি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত বাজারের আগুন: ত্রিশালের কাঁচাবাজারে নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্যের মূল্য আকাশছোঁয়া বিপাকে সাধারণ মানুষ কুষ্টিয়া জেলা পুলিশের সতর্ক বার্তা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে ৪টি হত্যাসহ একাধিক মামলার আসামী গ্রেফতার নওগাঁ সোসাইটির নীতিমালা ভঙ্গ করে প্রতিপক্ষের ঘর দখলের অভিযোগ অপরাধী ও দুষ্টু লোকদের স্থান বিএনপিতে হবে না বলে তারেক রহমান স্পষ্ট বার্তা দিয়েছেন: কেন্দ্রীয় যুবদল সম্পাদক নয়ন পাবনায় সংবাদ প্রকাশের জেরে ওসির ইন্ধনে সাংবাদিকের খোজে সন্ত্রাসীরা

সুন্দরগঞ্জে পাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে চাষিরা

Reading Time: 2 minutes

হযরত বেল্লাল,গাইবান্ধা:
খরা, প্রচন্ড তাপদহ এবং অনাবৃষ্টির কারণে গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলার নদী-নালা, খাল-বিল, পুকুর-ডোবা এবং নিচু জলাশয় সমুহ শুকে গেছে। সে কারণে তোষা পাট পচাঁনো নিয়ে বিপাকে পরেছেন পাট চাষিরা। বৃষ্টির আশায় পাট কেটে জমিতে স্তুব করে রাখছে দিনের পর দিন। কিন্তু বৃষ্টি না হওয়ার কারণে জমিতে স্তুব করে রাখা পাট শুকে যাচ্ছে পচাঁনোর ব্যবস্থা করতে পারছে না চাষিরা। অনেকে নিচু জলাশয়ে সেচ মটর দিয়ে পানি ভর্তি করে পাট পচাঁনোর ব্যবস্থা করলেও দু’তিন দিনের মধ্যেই সেই পানিও শুকে যাচ্ছে। সবমিলে পাট চাষিরা চরম বিপাকে পড়েছে। চাষিদের স্বপ্ন সোনালী আঁশ যেন গলার ফাঁস হয়ে দাড়িছে।উপজেলা কৃষি অফিস সূত্রে জানা গেছে, চলতি মৌসুমে উপজেলায় ৪ হাজার ৫৬৫ হেক্টর জমিতে তোষাপাট চাষাবাদ হয়েছে। ইতিমধ্যে পাট কাটা শুরু হয়েছে। পাট পচাঁনোর জন্য ১০ হতে ১২দিন সময় লাগে। প্রতি বিঘা জমিতে ৮ হতে ৯ মন পাট উৎপাদন হয়। বর্তমান বাজারে প্রতিমন পাট বিক্রি হচ্ছে গ্রেড অনুযায়ী আড়াই হাজার হতে তিন হাজার টাকা। তোষাপাটের চাষাবাদ চরাঞ্চলে বেশি।বেলকা গ্রামের পাট চাষি আনোয়ার মিয়া জানান, তিনি এক বিঘা জমিতে পাট চাষ করে ছিলেন। গত ১০দিন হল পাট কেটে জমিতে স্তুব করে রেখেছেন, পানি না থাকার কারণে পচাঁনোর জন্য জাগ দিতে পারছে না। ইতিমধ্যে জমিতে তার পাট শুকে গেছে। স্থানীয় জলাশয়ে সেচ মটার দিয়ে পানি ভর্তি করে পচাঁনোর ব্যবস্থা করা হলেও পানি দিতে হচ্ছে প্রতিদিন। এতে করে উৎপাদন খরচের পরিমান বেড়ে যাচ্ছে, তারপরও পাটের রং নিয়ে শঙ্কা রয়েছে। তিনি আরও বলেন পাটের রং ভাল না হলে দাম ভাল হবে না। এমনকি খরচ উঠবে না।হরিপুর ডাঙ্গার চরের আকবর আলী জানান, তিস্তার শাখা নদীতে তার দুই বিঘা জমির পাটের জাগ পানির অভাবে শুকনা জায়গায় পড়ে রয়েছে। শাখা নদীতে পানি দেয়ার মত কোন ব্যবস্থা নেই। মহাবিপাকে পরেছেন তিনি।উপজেলা কৃষি অফিসার রাশিদুল কবির জানান, বৃষ্টি না হওয়ার কারণে নিচু জলাশয় সমুহ শুকে গেছে। ক্ষনিকের জন্য একটু সমস্যা দেখা দিয়েছে। অনেকে সেচ মোটরের মাধ্যমে নিচু জলাশয়ে পানি দিয়ে এবং ব্যক্তিগত পুকুরে পাট পচাঁনোর ব্যবস্থা করছেন। চলতি মৌসুমে পাটের ভাল ফলন হয়েছে। পাট চাষিরা এখন অনেক লাভবান। কারণ পাটের আশেঁর পাশাপাশি পাটকাঁটি দামও অনেক ভাল।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com