শুক্রবার, ২৯ নভেম্বর ২০২৪, ০৬:০৩ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
হযরত বেল্লাল,গাইবান্ধা:
গাইবান্ধার সুন্দরগঞ্জ উপজেলায় অন্যায়ের প্রতিবাদ ও সন্ত্রাসী কাজে বাঁধা দেয়ায় উপজেলা প্রেসক্লাবের সদস্য সাংবাদিক মোজাফফর হোসেনকে ছুরিকাঘাতের চেষ্টার অভিযোগ পাওয়া গেছে। ঘটনাটি ঘটেছে শুক্রবার উপজেলার রামজীবন ইউনিয়নের বেকাটারি গ্রামের বাবুর মোড় নামক স্থানে। মোজাফফর উত্তর বেকাটারি গ্রামের হাবিজার রহমানের ছেলে।অভিযোগে জানা গেছে, গত একমাস পূর্বে পাশ্ববর্তী সাদুল্ল্যাপুর উপজেলার কিশামত হামিদ গ্রামের সুরুজ্জামান মিয়ার বখাটে ছেলে মোতালেব মিয়া রাতের অন্ধকারে বালারছিড়া-বামনডাঙ্গা সড়কের বেকটারি নামক স্থানে এক নারী পথচারির ল্যাপটপ ও একটি মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নেয়। সাংবাদিক মোজাফফর ওই নারীর ল্যাপটপ ও মোবাইল ফোন উদ্ধার করে তাকে ফিরে দেয় এবং তাকে বাড়ি পৌঁচ্ছে দেয়। এরপর থেকে বখাটে মোতালেব তার উপর ক্ষিপ্ত হয়ে উঠে। ঘটনার দিন শুক্রবার মোজাফফর ডোমেরহাট বাজার থেকে মোটরসাইকেল যোগে বাড়ি ফেরার সময় বাবুর মোড় নামক স্থানে পৌঁচ্ছলে ওই বখাটে তাকে দেখে তার নিকট থাকা ছুরি দিয়ে সাংবাদিক মোজাফফর হোসেন আঘাত করে। এতে মোজাফ্ফর হোসেনের নাকের মধ্যে একটু কেটে যায়। পরে স্থানীয়রা তাকে আটক করার জন্য চেষ্টা করলে সে দৌড়ে পালিয়ে যায়। সন্ত্রাসী, নারী ধর্ষণ ও মাদক সেবনের অপরাধে মোতালেবের বিরুদ্ধে একাধিক মামলা রয়েছে। অভিযোগকারি মোজাফফর হোসেন জানান, তার চলাফেরা করা এখন অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠেছে। তদন্ত সাপেক্ষে অতিদ্রুত তাকে গ্রেপ্তারের দাবি জানান তিনি।প্রত্যক্ষদর্শী মামুন মিয়া জানান, সাংবাদিক মোটর সাইকেল নিয়ে এসে বাবুর মোড়ে দাড়া মাত্রই মোতালেব তাকে ছুরি দিয়ে আঘাত করে। সাংবাদিক কৌশুল অবলম্বন করায় বেঁচে যায়। পরে উপস্থিত সকলে তাকে আটক করার চেষ্টা করলে সে পালিয়ে যায়।
উপজেলার রামজীবন ইউপি চেয়ারম্যান শামসুল হুদা সরকার জানান, মোতালের একজন বখাটে ও সন্ত্রাসী ছেলে। এর আগেও তার বিরুদ্ধে এ সংক্রান্ত নানাবিধ অভিযোগের কারণে তাকে জেল খাটতে হয়েছে। মোজাফ্ফর হোসেনের নিরাপত্তার কারণে তার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেয়া একান্ত প্রয়োজন।থানার ওসি কেএম আজমিরুজ্জামান জানান, সাংবাদিকের অভিযোগটি তদন্তের জন্য পুলিশ পাঠানো হয়েছে। তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।