বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
নিজস্ব সংবাদদাতা, রাজশাহী:
বিয়ে করা আর তালাক দেয়াই তার নেশা। নিরাপত্তা জনিত কারনে মানুষের বাসা বাড়িতে সিসি ক্যামেরা থাকে। কিন্তু বাড়ির বেড রুমেও তার ক্যামেরা। স্ত্রীর সাথে একান্ত মুহূর্তের ধারনকৃত ভিডিও, সিসি ক্যামেরা থেকে ডাউনলোড করে সে। নিরিবিলি সময় সেই ভিডিও বন্ধুদের সাথে দেখে মজা নেয় সে। ওই যুবকের নাম মোঃ সাইফুল আলম চন্দন। তার পিতার নাম, মোঃ আলেফ উদ্দিন, তিনি রাজশাহী মহানগরীর মতিহার থানার বিনোদপুর বাজার এলাকার হোয়াইট হাউজ গ্রীণ হাউজ এর বাসিন্দা। এমনই অভিযোগ করলেন সদ্য বিবাহিত এক যুবতী সানজি। তিনি জানান, গত ৯মাস পূর্বে মোঃ সাইফুল আলমের সাথে পারিবারিক ভাবে তার বিবাহ্ হয়। বিয়ের পর থেকেই মানুষিক ও শারীরিক নির্যাতণ চালিয়ে আসছিলো সে। এরই ধারাবহিকতায়, (২২ নভেম্বর) গৃহবধূকে নির্যাতন করে তার স্বামী আলেফ উদ্দিন। এরপর নির্যাতিতা গৃহবধূ বাবার বাড়ি চলে যায়। এরপর মঙ্গলবার (১৩ ডিসেম্বর) গৃহবধূকে তার বাড়িতে ডেকে পাঠায় তার স্বামী। এদিন দুপুর ২.২০মিনিটে বিনোদপুর গ্রীণ হাউজে তার স্বামীর বাড়িতে যায় গৃহবধূ সানজি। বাড়ির প্রবেশ করতেই পূর্বের মতো আবারও হটাৎ রেগে যায় তার পাষন্ড স্বামী সাইফুল আলম। সাথে সাথে শুরু হয় কিল, ঘুষি, লাথি। এতে শারীরিক ভাবে অসুস্থ হয়ে পড়েন যুবতী। এ সময় তার সাথে থাকা তার এক প্রতিবেশী বোন তাকে উদ্ধার করে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালের ওয়ান স্টপ ক্রাইসিস (ওসিসি) ওযার্ডে নিয়ে ভর্তি করেন। সেখানে প্রয়োজনীয় চিকিৎসা শেষে গত বুধবার (১৪ ডিসেম্বর) দুপুর ১২টায় তাকে ছুটি দেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। এরপর বৃহস্পতিবার (১৫ ডিসেম্বর) যুবতী সানজি বাদী হয়ে মতিহার থানায় একটি মামলা দায়ের করেন মামলা নং-১০, তাং-১৫/১২/২০২২।ওই দিনই মতিহার থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে আটক করে।
বর্তমানে তিনি থানা হাজতে রয়েছেন। এ ব্যপারে জানতে চাইলে মতিহার থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ হাফিজুর রহমান জানান, গৃহবধূ নির্যাতণের মামলায় সাইফুল আলম চন্দন নামের এক ব্যক্তিকে আটক করা হয়েছে।শুক্রবার সকালে তাকে আদালতে সোপর্দ করা হবে বলেও জানান ওসি।