বৃহস্পতিবার, ২৮ নভেম্বর ২০২৪, ০৩:৩৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রমিদ সোহেল,রংপুর
রংপুর নগরীসহ বিভাগ জুড়ে বাজার, শপিং মল, রাস্তা-ঘাটে চলচলরত মানুষের মাঝে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলার কোনো প্রবণতা লক্ষ্য করা যাচ্ছে না। সর্বত্র মাস্ক ছাড়াই মানুষজন চলাচল করছে। এতে যেন উধাও হয়ে গেছে স্বাস্থ্যবিধি। এর ফলে করোনার সংক্রমণ আরও ছড়িয়ে পড়ছে। অন্যদিকে করোনা পরীক্ষা করাতে আগ্রহ হারাচ্ছে সাধারণ মানুষ। গত ২৪ ঘণ্টায় রংপুর বিভাগের ৮ জেলার মধ্যে ৭ জেলাতে কেউ করোনা পরীক্ষা করাতে আসেনি। একমাত্র নীলফামারী জেলায় করোনা পরীক্ষা করিয়েছেন ৬ জন। এখানে কারও দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। ফলে শনিবার সকাল পর্যন্ত বিভাগে শনাক্তের হার ছিল শূন্য। কোনো জেলায় মৃত্যুর ঘটনা ঘটেনি। এছাড়া বিভাগের হাসপাতালগুলো রোগীর সংখ্যা প্রায় শূন্যের কোঠায় এসেছে। আট জেলার মধ্যে রংপুর ও দিনাজপুর হাসপাতালে একজন করে মোট দুইজন করোনা আক্রান্ত রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন। বিভাগের অন্য ৬ জেলার হাসপাতালে কোনো করোনা আক্রান্ত রোগী নেই। রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য অফিস সূত্রে জানা গেছে, গত ২৪ ঘণ্টায় নীলফামারী জেলায় ৬ জনের করোনা পরীক্ষা করা হলেও কারও দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। ফলে শনাক্তের হার শূন্যের কোঠায়। এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিভাগের ৭ জেলায় কেউ করোনা পরীক্ষা করাতে আসেননি। ওই দিন নীলফামারীতে ৩৫ জনের পরীক্ষা করে কারও দেহে করোনা শনাক্ত হয়নি। এপর্যন্ত ৩ লাখ ৫৩ হাজার ৫০৫ জনের নমুনা পরীক্ষা করে ৬৪ হাজার ৮৯৫ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়েছে। সুস্থ হয়েছেন ৬৩ হাজার ৪৯৫ জন। এ পর্যন্ত মৃত্যু হয়েছে ১ হাজার ৯১ জনের। রংপুর বিভাগে করোনায় সবচেয়ে বেশি আক্রান্ত ও মৃত্যু হয়েছে দিনাজপুরে। এ জেলায় সর্বোচ্চ ৩৪১ জন মারা গেছেন। দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৩০৪ জনের মৃত্যু হয়েছে রংপুর জেলায় । পঞ্চগড়ে এ পর্যন্ত মারা গেছেন ৮৫ জন, নীলফামারীতে ৯২ জন, লালমনিরহাটে মারা গেছেন ৭৬ জন, ঠাকুরগাঁওয়ে মারা গেছেন ২৫৯ জন, গাইবান্ধা জেলায় ৬৫ জন, কুড়িগ্রামে মারা গেছেন ৬৯ জন। এদিকে স্বাস্থ্য বিভাগের কর্মকর্তারা জানান, অনেকে জ্বর-সর্দিজনিত কারণে মারা যাচ্ছেন।তাদের অনেকেই হয়তো করোনা আক্রান্ত ছিলেন। কিন্তু পরীক্ষার না করার কারণে তাদের করোনা শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি। সতর্ক না হলে এভাবেই করোনা ছড়িয়ে পড়তে পারে। জ্বর-সর্দি হয়েছে এমন মনে করে অনেক রোগী করোনা পরীক্ষা করাচ্ছেন না। এটি ভাল লক্ষণ নয়।
এব্যাপারে রংপুর বিভাগীয় স্বাস্থ্য ভারপ্রাপ্ত পরিচালক হাবিবুর রহমান বলেন, করোনা পরীক্ষা করাতে মানুষের আগ্রহ কমে গেছে। তিনি জ্বর সর্দি হলে জনগণকে করোনা পরীক্ষা করার আহবান জানান। এছাড়াও সকলকে স্বাস্থ্য বিধি মেনে চলার পরামর্শ দেন।