বৃহস্পতিবার, ৩১ অক্টোবর ২০২৪, ০৫:২৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ার নিখোজ ২ এএসআই এর লাশ পদ্মা নদী থেকে উদ্ধার এবার প্রকাশ্যে এলেন ইবি শিবিরের সভাপতি ও সেক্রেটারি গোদাগাড়ীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ গ্রেফতার মাদক কারবারী ডালিম আমরণ অনশনে রাবি আইন অনুষদের শিক্ষার্থীরা পুলিশ কর্মকর্তা বিজয়-উৎপলকে ধরলেই মিলবে কাজেম হত্যার উত্তর: দাবি চিকিৎসকদের সিরাজগঞ্জে ব্যবসায়ী হত্যাকারীদের গ্রেফতারের দাবিতে  বিক্ষোভ ও মানববন্ধন  দেশদ্রোহী খুনি হাসিনাকে দেশে এনে বিচার করতে হবে দ্রুত নির্বাচন দিতে হবে–আহসান হাবিব লিংকন রংপুরে জমি লিখে না দেয়া মাকে বেধড়ক পেঠালো ছেলে ও ছেলের বউরা শ্রীবরদীতে যুবদলের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষ্যে এতিম ও অসহায়দের মাঝে খাবার বিতরণ মান্দায় মসজিদ উন্নয়ন প্রকল্পের সাড়ে ৩শো গাছ উপড়ে ও ভেঙ্গে ফেলার অভিযোগ

হাটখালি চেয়ারম্যান ফিরোজ নিজের দুর্নীতি ঢাকতে ফেসবুকে সাংবাদিকের নামে অপপ্রচার চালাচ্ছে

Reading Time: 3 minutes

মজিবুল হক লাজুক, পাবনা :
হাটখালি চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খান নিজের দুর্নীতি, অনিয়ম, অপকর্ম ও স্বেচ্ছাচারিতার কথা ঢাকতে নিজের কেডার বাহিনী দিয়ে সাংবাদিকদের নামে ফেসবুকে অপপ্রচার ও প্রপাকান্ড ছড়াচ্ছে। চেয়ারম্যান নির্বাচিত হওয়ার পর থেকে সরকারের দেওয়া বিভিন্ন কৃষিপ্রনদার সার, গৃহহীনদের ঘড়, ভিজিডি, ভিজিএফএর চাউল সহ সরকারী সকল ভাতা প্রদানে তার বিরুদ্ধে ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম স্বেচ্ছাচারিতার অভিযোগ রয়েছে । এ সকল অভিযোগের পেক্ষিতে তার বিরুদ্ধে বেশ কয়েকটি স্থানীয় জাতীয় পত্রিকা সহ বিভিন্ন মিডিয়ার তার দুর্নীতির খবর শিরোনাম আকারে প্রকাশ হলে উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান খেপে ফুলে ফুসে উঠে। এবং সে সাংবাদিকদের নামে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে ছদ্ধনামধারী ফেসবুক একাউন্ড থেকে ভুয়া তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালায়। তার বিরুদ্ধে পাবনার একজন সিনিয়র নামি সাংবাদিক লাজুকের নামে অপপ্রচার চালানোর অভিযোগ রয়েছে । এ ব্যাপারে সাংবাদিক লাজুকের কাছে জানতে চাইলে তিনি বলেন এই ফিরোজ চেয়ারম্যান খুবই বিশ্বাসঘাতক এবং স্বার্থবাদি মানুষ। আমি তাকে আমার বিরুদ্ধে কেন অপপ্রচার মিথ্যা বানোয়াট প্রপাকান্ড ফেসবুকে ছড়াচ্ছেন জানতে চেয়ে ফোন দিলে সে ফোন ধরে আমাকে হুমকি ধামকি ও আমার বিরুদ্ধে আগামীতে মিথ্যা বানোয়াট তথ্য ও অপপ্রচার চালানোর ভয় দেখায়।  এরপরে আমি আর চেয়ারম্যানকে কিছু না বলে শুধু তাকে সঠিকভাবে চেয়ারম্যানের দায়িত্ব পালন করার জন্য অনুরোধ করি এবং বলি আমার বিরুদ্ধে অপপ্রচার করে কি আপনি আপনার দুর্নীতি ঢাকতে পারবেন চেয়ারম্যান সাহেব?? কিন্তু সাংবাদিকের এ কথা শুনে তিনি তার দাম্ভিকতা দেখিয়ে উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনকে দিয়ে তাকে শায়েস্তা করাসহ শাহীন চেয়ারম্যানের ভয় ভীতি দেখায়। এর কিছুদিন পরে সে সুজানগর উপজেলার ৯ টি চেয়ারম্যানের স্বাক্ষর জাল করে উপজেলা চেয়ারম্যান ও তখনকার সুজানগর ইউএনও সাহেবের বিরুদ্ধে অনিয়ম দুর্নীতির অভিযোগ করেন উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষ বরাবর। এ বিষয়টি জানতে পেরে উক্ত দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যান ফিরোজ আহমেদ খানের বিরুদ্ধে সুজানগর উপজেলার ৯ জন ইউপি চেয়ারম্যান সংবাদ সম্মেলন করেন এবং তার এ অপকর্মের বিরুদ্ধে রুখে দাড়ান। এ সংবাদ সম্মেলনের নিউজ প্রকাশিত হলে দুর্নীতিবাজ চেয়ানম্যান ফিরোজ আহমেদ খান তার খোলশ পাল্টিয়ে সকল ইউপি চেয়ারম্যানদের সাথে সুসম্পর্ক তৈরি করেন কৌশলে এবং তার অপকর্ম স্বীকার করে গোপনে চেয়ারম্যানদের নিকট ক্ষমা চায় এবং তার অপকর্মের বিষয়টি ধামা চাপা দেয়। এ রকম একের পর এক অপকর্ম দুর্নীতি, অনিয়ম, ও গুণীব্যাক্তিদের বিরুদ্ধে অপপ্রচার চালিয়েও তার বিরুদ্ধে কোন ব্যবস্থা না হওয়ার তার অপকর্ম সে আরো বাড়িয়ে দেয়। এরপর থেকে ইউনিয়ন পরিষদের আসা সকল সরকারী ভাতা ও জনগণের হোক সে মেরে খাওয়া শুরু করে। এর আগে সে প্রধানমন্ত্রী দেওয়া গুচ্ছগ্রামের ঘড় প্রদান নিয়েও ব্যাপক দুর্নীতি ও অনিয়ম করে। যেখানে দেখা যায় সরকারের দেওয়া আশ্রয়হীনদের ঘড়গুলো প্রকৃত অসহায়, দুঃস্থ, গৃহহীনদের না দিয়ে সে তার ইচ্ছামত তার নিজের পক্ষের লোকজন তার ভাইয়ের নামে এবং স্বেচ্ছাচারিতার মাধ্যেমে তার আত্মীয়স্বজনদের নামে সে সকল গৃহহীন ভূমি হীনদের ঘড় প্রদান করে দেন। আর এতে করে প্রকৃত ভূমিহীন গৃহহীনরা প্রধানমন্ত্রীর উপহার গুচ্ছগ্রামের ঘড় পাওয়া থেকে বঞ্চিত হন এই দুর্নীতিবাজ ফিরোজ চেয়ারম্যানের কারণে। এরপরেও প্রায় সময়ই হাটখালি বাসি তার বিরুদ্ধে অসংখ্য অভিযোগ সাংবাদিকদের নিকট করে যা লিখতে গেলে পত্রিকার পাতা শেষ হয়ে যাবে কিন্তু লেখা শেষ হবেনা। এ ছাড়াও হাটখালি গ্রামের একটি সূত্র অভিযোগ করেন,  এই ফিরোজ চেয়ারম্যান একাধিক বিবাহ করার অভিযোগ রয়েছে।  তার বিরুদ্ধে প্রথম স্ত্রীকে মারধর ও মানসিক শারীরিক নির্যাতন করা প্রথম স্ত্রী মারা যায় ধুকে ধুকে তীব্র যন্ত্রণা নিয়ে। কারণ প্রথম স্ত্রীকে তার পছন্দ না হওয়া এবং তাদের মধ্যে সাংসারিক দন্দ থাকায় সে প্রথম স্ত্রীকে প্রায় সময়ই নির্যাতন করতো মানসিক ও শারীরিকভাবে। তার প্রথম স্ত্রীর একটি পুত্র সন্তান আছে আর এই বিষয়টি নিয়ে তার দিত্বীয় স্ত্রী সাথে দন্দ হওয়ার ভয়ে সে তার প্রথম স্ত্রীর সন্তানকে তার বগুড়ার বাড়িতে রাখেন। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে টাকা দিয়ে ভোট কিনে এবং সাধারণ মানুষকে টাকা দিয়ে হাটখালি বাসির নিকট জনপ্রিয়তা হয়ে উঠার অভিযোগ দিয়েছে নাম প্রকাশ্যে অনিচ্ছুক স্থানীয় আওয়ামীলীগ নেতারা। তিনি উপজেলা চেয়ারম্যান শাহীনের নাম ভাঙ্গিয়ে তার ঘনিষ্ঠ ব্যাক্তি এমন মিথ্যা ভয় দেখানোর কারণে তার বিরুদ্ধে হাটখালির কোন মানুষ কোন নেতা বা কেউ কোন অভিযোগ দিতে পারেনা। কেউ যদি তার বিরুদ্ধে অভিযোগ দেয় তাহলে তাকে ফিরোজ চেয়ারম্যান তার কেডার বাহিনী দিয়ে হুমকি ধামকি দিয়ে শাসিয়ে তাকে হেনস্তা করানো হয়। দিন দিন অপকর্ম করতে করতে এই ফিরোজ হাটখালি বাসির নিকট এক আতঙ্কের নাম হয়ে দাড়িয়েছে যার বিরুদ্ধে কোন অভিযোগ করাও যেন দায় হয়ে দাড়িয়েছে। এ ছাড়াও ফিরোজ চেয়ারম্যানের কেডার ফেসবুকে এস এম মুন্নাফ হাসান নামেল একটি ফেসবুক একাউন্ড থেকে একটি ছবি পোষ্ট করে ফিরোজ চেয়ারম্যানের কেডার বাহিনী সাংবাদিকদের নামে মিথ্যা, বানোয়াট, ভিত্তিহীন তথ্য দিয়ে অপপ্রচার চালাচ্ছে। যা মানবধিকার চরম লঙ্ঘন ও ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনে অপরাধী সেই সাথে মানহানির মতো ঘটনা । এ রকম ফেসবুক অপরাধীদের বিরুদ্ধে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করাসহ এ সকল অপকর্মের পিছে মূল হোতাদের খুজে বের করার দাবি জানিয়ে পাবনার সাংবাদিক মহল। হাটখালি সুশীল সমাজের দাবি এই ফিরোজ দুর্নীতিবাজ চেয়ানম্যানের বিরুদ্ধে তদন্তপূর্বক উধ্বর্তন কর্তৃপক্ষের মাধ্যমের তার বিরুদ্ধে সকল দুর্নীতি, অপকর্ম, অনিয়মগুলি ক্ষতিয়ে দেখে তার বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণ করা না হলে তার দুর্নীতি, অনিয়মের কারণে সাধারণ হাটখালি বাসি সকল সরকারী সুযোগসুবিধা থেকে বঞ্চিত হবে। তাই হাটখালি বাসির জোরদাবি অতিদ্রুত এই দুর্নীতিবাজ চেয়ারম্যানের বিরুদ্ধে এখান থেকে না হটালে আগামীতে আমরা হাটখালি বাসি এই দুর্নীতিবাজ চেয়ানম্যানের বিরুদ্ধে আন্দোলনে গিয়ে তাকে হাটখালি থেকে বিতারিত করবো বলে হাটখালি বাসি জানিয়েছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com