বুধবার, ২৭ নভেম্বর ২০২৪, ১১:৪৯ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
অর্ণব আচার্য্য, নজরুল বিশ্ববিদ্যালয় :
গত ১৭ জুলাই জাতীয় কবি কাজী নজরুল ইসলাম বিশ্ববিদ্যালয়ের এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মোঃ নকিবুল হাসান খানের নিয়োগে অনিয়মের বিষয়টি আমলে নিয়ে তদন্ত পূর্বক প্রতিবেদন চেয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে চিঠি পাঠায় বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরী কমিশন। ১২ দিন অতিবাহিত হলেও তদন্ত কমিটি গঠন করতে ব্যর্থ হয়েছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
সাবেক উপাচার্য অধ্যাপক ড. মোহিত উল আলম এর সময়কালে এই শিক্ষক তথ্য গোপন করে ও চাকুরীর বিজ্ঞপ্তির শর্ত ভেঙ্গে নিয়োগ পেয়েছিলেন। সাবেক উপাচার্য এ বিষয়ে মন্তব্য করেছিলেন যে তার এই নিয়োগ সম্পর্কে মনে নেই এবং তা বর্তমান প্রশাসন বলতে পারবে বলে। এছাড়া অব্যাহতি প্রাপ্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক এক কর্মকর্তা এহসান হাবীবের সম্পৃক্ততার অভিযোগ থাকলেও অস্বীকার করেছেন তিনি।
পূর্বে এনভায়রনমেন্টাল সায়েন্স এন্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের একাডেমিক কমিটির সভায় নকিবুল হাসান খান ও আরো তিন শিক্ষক বিভাগীয় প্রধান অধ্যাপক ড. আশরাফ আলী সিদ্দীকীকে বিদ্যুৎ বিচ্ছিন্ন করে নিজ কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখেন। এ বিষয়ে বিভাগটির প্রধান বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন বরাবর অভিযোগ উপস্থাপন করেছিলেন এবং ত্রিশাল থানায় একটি জিডিও করেন। গত ৩০ জুন এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন ৩ সদস্যের তদন্ত কমিটি করে।
জানা যায়, তদন্ত কমিটির সদস্যদের মধ্যে অভ্যন্তরীণ দ্বন্দ্ব থাকায় কোনো অগ্রগতি হচ্ছে না এই তদন্তের। এমনকি কমিটি থেকে পদত্যাগ করবেন বলে মন্তব্য করেছেন এই কমিটির একজন সদস্য। তবে বিভাগীয় প্রধানকে তালাবদ্ধ করে রাখার বিষয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টির উপাচার্য ড. সৌমিত্র শেখর বলেছেন, আমরা তদন্ত কমিটি করেছি। তবে যদি সংকট থাকে তা সমাধানের ব্যবস্থা করে দ্রুতই সমাধানে যাবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ে ইউজিসির পাঠানো চিঠির প্রেক্ষিতে উপাচার্য বলেন, আমার প্রশাসন স্পষ্ট এবং পরিষ্কার। আমরা ইউজিসির চিঠি পাবার পর অনেকটা এগিয়েছি। দ্রুতই তদন্ত কমিটি করবো। অন্যায়ে কোন ছাড় হবে না। আর এটাও বুঝতে হবে এই নিয়োগটি আমার সময়ের নয়। সাবেক প্রশাসনের। অনেকেই ভুল বুঝে আমার প্রশাসনের মনে করেছে সেটি থেকেও বেরিয়ে আসতে হবে। আমার দায়িত্ব পালনের সময় এমন কোন নিয়োগ হবে না যা আইন সিদ্ধ নয় ।
বিশ্ববিদ্যালয়ের একজন শিক্ষক (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) বলেছেন, এই ঘটনায় ইউজিসি এমনকি বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য স্যারও কঠোর কিন্তু কেনো যে এতো ধীর ভাবে আগাচ্ছে তা সামনে আসছে না। তবে নকিবুল হাসান খানকে বাচাতে সক্রিয় রয়েছে অনেকেই। গুন্ডামি আর শিক্ষকতা তো এক সঙ্গে হতে পারে না তাই না। উনি শিক্ষকতাকে গুন্ডামী মনে করে। শাস্তি হওয়া প্রয়োজন।
শিক্ষকদের সাংঘর্ষিক অবস্থার জন্য বিভাগের শিক্ষার্থীরা ক্ষতিগ্রস্থ হচ্ছে। আটকে রয়েছে বিভাগের ক্লাস, পরীক্ষা এবং হচ্ছে না ফলাফলও। বিভাগটির শিক্ষার্থীরা সমস্যার সমাধান চেয়ে কয়েক দফায় স্বাক্ষাত করেছে উপাচার্যের সঙ্গে।