সোমবার, ০২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:৪৫ অপরাহ্ন

News Headline :
কুষ্টিয়ায় এক ভূয়া সেনা কর্মকর্তা গ্রেফতার তদন্ত চলাকালে অভিযুক্তদের নিয়ে মতবিনিময় সভা করায় পাবনা জেলা প্রশাসকের সমালোচনায় সাংবাদিক ও সুশিল সমাজ হাবিব সভাপতি ও তুহিন সাধারণ সম্পাদক যে কারণে তারেক রহমান-বাবরসহ সব আসামি খালাস বদলগাছীতে বাসের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী নিহত পাইকগাছায় দম্পতির উপর সন্ত্রাসীদের হামলা খুলনা মেডিকেলে ভর্তি পরিষ্কার পরিচ্ছন্নতা সুস্থ থাকার চাবিকাঠি: প্রকৌশলী জাকির সরকার নওগাঁয় নবম শ্রেণির ছাত্রীকে নিয়ে বিদ্যালয়ের পরিচ্ছন্নতা কর্মী কোথায় গেলেন! দুই বছরের অধিক সময় ধরে কোষাধ্যক্ষ শূন্য হাবিপ্রবি শিবপুরে স্মার্ট জাতীয় পরিচয়পত্র বিতরণের শুভ উদ্বোধন

পাবনা ঈশ্বরীতে ডাক্তারের গাফিলতিতে নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ ।

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব প্রতিবেদক:

পাবনা ঈশ্বরদীতে একটি বেসরকারি হাসপাতালের মালিক, নার্স ও হাসপাতাল ব্যবস্থাপকের হঠকারি সিদ্ধান্ত আর গাফিলতির কারণে এক নবজাতকের মৃত্যুর অভিযোগ উঠেছে।
এ ঘটনা ধামাচাপা দিতে নিহতের পরিবারের সঙ্গে এক লাখ টাকায় রফাদফা করা হয়েছে।
গতকাল শনিবার সকালে পৌর এলাকার হান্নানের মোড় সেবা ডায়াগনস্টিক সেন্টার নামের বেসরকারি হাসপাতালে এ ঘটনা ঘটে।
হাসপাতাল মালিক উজ্জ্বল, ব্যবস্থাপক আলতাফ হোসেন, নার্স শাহানাজ ও আরজিনা মিলে ওই নারীর স্বাভাবিক প্রসব (নরমাল ডেলিভারি) করার সময় টেনেহিঁচড়ে নবজাতককে বের করতে গিয়ে তাকে মেরে ফেলেন বলে জানাগেছে ।
এ ঘটনার পর ওই হাসপাতালের ব্যবস্থাপক ও কথিত নার্স গা ঢাকা দিয়েছে।
স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, উপজেলার আমবাগান ফেরদৌস কলোনি এলাকার ইমনের স্ত্রী স্মৃতির (২২) প্রসব বেদনা শুরু হলে ওইদিন সকালে বেসরকারি ওই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়।
এরপর আল্ট্রাসনোগ্রাম করে বাচ্চার অবস্থা দেখে সিজার করার পরামর্শ দেন চিকিৎসক।
এজন্য বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক খবর দেওয়া হয়। কিন্তু চিকিৎসক আসার আগেই হাসপাতাল মালিক ব্যবস্থাপক ও কথিত দুই নার্স ওই গৃহবধূকে অপারেশন থিয়েটারে নিয়ে যান।
সেখানে তারা জোরপূর্বক টেনেহিঁচড়ে প্রসব করানোর চেষ্টাকালে নবজাতককে (মেয়ে) মেরে ফেলেন। টেনেহিঁচড়ে নবজাতককে বের করতে গিয়ে প্রসূতিও অসুস্থ হয়ে পড়েন এবং তার শরীরের কিছু অংশে কেটে-ছিঁড়ে যায়।
সূত্র আরও জানায়, সকালে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ ভুক্তভোগী পরিবারকে ঘটনা প্রকাশ না করে বাধ্য করেন।
এজন্য এক লাখ টাকা দিলে সকালেই নবজাতকের লাশ বাড়িতে নেওয়া হয়।
গৃহবধূর মামা নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ওইদিন আল্ট্রাসনোগ্রাম চিকিৎসক জানান, গর্ভে বাচ্চার অবস্থান খুব ভালো আছে। কিন্তু ক্লিনিকের মালিক বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক ছাড়াই জোরপূর্বক প্রসব করাতে গিয়ে সন্তানকে মেরে ফেলেছে।
এ প্রসঙ্গে মালিক উজ্জ্বলের সঙ্গে কথা বলতে ফোন করা হলে প্রতিবেদকে হাসপাতালে এসে পরিচালকের সঙ্গে কথা বলার পরামর্শ দিয়ে সংযোগ বিচ্ছিন্ন করেন এক নারী।
উপজেলা স্বাস্থ্য ও পরিবার পরিকল্পনা কর্মকর্তা ডা. এফ এ আসমা খাঁন জানান, লোক মুখে ঘটনার কথা শুনেছি। তবে এ ব্যাপারে কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে অবশ্যই আইনগত যথাযথ ব্যবস্থা নেওয়া হবে। কোনো হাসপাতালেই মাতৃমৃত্যু কাম্য নয়।
ঈশ্বরদী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামান জানান, এ ব্যাপারে অভিযোগ আসেনি। তবে অভিযোগ পেলেই ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com