বৃহস্পতিবার, ১২ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ১২:৩৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
হারুন উর রশিদ সোহেল,রংপুর॥
দেশের যেদিকে তাকাবেন, যে সেক্টরে চোখ দেবেন, এরশাদের উন্নয়নের ছোঁয়া দেখতে পাবেন। আজীবন দেশ ও জাতির কল্যাণে কাজ করে গেছেন জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা, প্রয়াত রাষ্ট্রপতি ও বিরোধী দলীয় নেতা পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ। তার উন্নয়ন কর্মকা-ই এরশাদকে দেশের মানুষের হৃদয়ে বাঁচিয়ে রাখবে। তাই কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করার উদ্যোগ দেয়ার দাবি জানান বক্তারা। তা না হলে স্থানীয়ভাবে তা করা হবে বলে ঘোষণা দেয়া হয়।
গতকাল বৃহস্পতিবার জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ এর তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে আলোচনা সভায় বক্তারা এসব কথা বলেন।
জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান ও রংপুর মহানগর কমিটির সাধারণ সম্পাদক এসএম ইয়াসিরের সভাপতিত্বে এতে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য, রংপুর জেলা সভাপতি ও বিরোধী দলীয় চীফ হুইপ আলহাজ্ব মশিউর রহমান রাঙ্গা এমপি। বক্তব্য রাখেন কেন্দ্রীয় সদস ও মহানগর কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক লোকমান হোসেন, সাংগঠনিক সম্পাদক জাহিদুল ইসলাম, পীরগাছা উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি শাহ মাহবুবুর রহমান, জেলা কমিটির যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রুহুল আমিন লিটন, সাংগঠনিক সম্পাদক শামীম সিদ্দিকী, জাতীয় আইনজীবি ফেডরেশনের বিভাগীয় নেতা ও বদরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির নেতা এ্যাড.মোকাম্মেল হক চৌধুরী, পীরগঞ্জ উপজেলা জাতীয় পার্টির সাধারণ সম্পাদক নুরে আলম যাদু, সদর উপজেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি ভাইস চেয়ারম্যান কাজলী বেগম, সাধারণ সম্পাদক ভাইস চেয়ারম্যান মাসুদার রহমান মিলন, জেলা যুব সংহতির সভাপতি হাসানুজ্জামান নাজিম, মহানগর যুব সংহতির সভাপতি শাহীন হোসেন জাকির, মহানগর স্বেচ্ছাসেবক পার্টির আহবায়ক ফারুক মন্ডল, সদস্য সচিব মাহবুবুর রহমান বেলাল, ছাত্র সমাজ কেন্দ্রীয় কমিটির সহ-সভাপতি মারুফ ইসলাম তালুকদার প্রিন্স, মহানগর ছাত্রসমাজের সভাপতি ইয়াসির আরাফাত আসিফ প্রমুখ। এসময় রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টিসহ অঙ্গ সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।
এদিকে পার্টির প্রতিষ্ঠাতার তৃতীয় মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষে দিনব্যাপী রংপুর মহানগর ও জেলা জাতীয় পার্টি সকাল ৬টায় নগরীর সেন্ট্রাল রোডস্থ জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে দলীয় ও জাতীয় পতাকা উত্তোলন, বিকেল ৪টায় দর্শনাস্থ পল্লী নির্বাসে এরশাদের সমাধিতে পুম্পমাল্য দিয়ে শ্রদ্ধাঞ্জলী নিবেন ও কবর জিয়ারত, বাদ আসর এরশাদের স্বরণে আলোচনা সভা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও নগরীর ২০টি পয়েন্টে এরশাদের ভাষণ ও কোরআন তেলওয়াত মাইকে প্রচার করা হয়েছে।
বক্তারা আরও বলেন, জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের শাসনামলেই দেশের উন্নয়নের যাত্রা শুরু হয়। তিনি স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের উন্নয়নের সূচনা করেন। তিনিই বাংলাদেশকে সুন্দর করে সাজিয়েছিলেন। তিনি শুক্রবার সরকারি ছুটি, জন্মাষ্টমীর ছুটি, হিন্দু, বৌদ্ধ খ্রীষ্টান ধর্মীয় কল্যাণ ট্রাস্ট গঠন, মসজিদ-মন্দিরের বিদ্যুতের বিল মওকুফসহ রাষ্ট্রধর্ম ইসলাম করে কোটি কোটি মানুষের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন। আজ পল্লীবন্ধু আমাদের মাঝে বেঁচে নেই কিন্তু তার রেখে যাওয়া উন্নয়নের ছোঁয়া লেগে আছে। এরশাদের রেখে যাওয়া জাতীয় পার্টি আজ শক্তিশালী ও সুসংগঠিত। আগামীতে এরশাদের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে কেন্দ্রীয়ভাবে জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা মরহুম রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্মৃতি কমপ্লেক্স নির্মাণ করার উদ্যোগ নেয়া না হলে স্থানীয়ভাবে তা করা হবে বলে ঘোষণা দেন রংপুরের জাতীয় পার্টির নেতারা।
প্রসঙ্গত: জাতীয় পার্টির প্রতিষ্ঠাতা চেয়ারম্যান ও প্রয়াত সাবেক রাষ্ট্রপতি পল্লীবন্ধু হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ২০১৯ সালের ১৪ জুলাই মৃত্যু বরণ করেন। পরে তাকে রংপুর নগরীর দর্শনাস্থ পল্লী নিবাসে সমাহিত করা হয়। মৃত্যু কালে তিনি জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় নেতা ছিলেন। এর আগে তিনি বাংলাদেশের রাষ্ট্রপতি, সেনাবাহিনীর প্রধান ও প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ দুতসহ বিভিন্ন গুরুত্বপুর্ণ দায়িত্ব পালন করেন। তিনি রংপুর সদর-৩ আসনের নির্বাচিত সংসদ সদস্য (এমপি) ছিলেন।