বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১০:০২ পূর্বাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

কিশোরগঞ্জে আগাম আলুতে পচন-কৃষকের কপালে চিন্তার ভাঁজ

Reading Time: 2 minutes

মোঃ মিজানুর রহমান :
প্রকৃতির বৈরী আবহাওয়ায় চলতি বছর নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলায় আশ্বিনা বৃষ্টি আর গত কয়েক দিন আগের তিব্র তাপদাহে আগাম আলু পচে গিয়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতি হয়েছে। এতে একই জমিতে ২থেকে ৩ বার
আলু রোপনে স্বপ্নের ফলন আলুর বীজ পচে যাওয়ায় কৃষকের পড়েছে মাথায় হাত। ইতিমধ্যে ৩০দিন পরেই উত্তোলনযোগ্য সবুজ সমারোহে ভরা হুস্ট অপুষ্ট লকলকে আলু গাছ পচে নষ্ট হয়ে যাওয়াসহ ঝিমিয়ে পড়ায় ২য় বারের মত হালচাষ দিয়ে নতুন করে আলু চাষে প্রস্ততি নিচ্ছেন কৃষক।
চলতি বছর এ উপজেলায় ৪হাজার ১৪০ হেক্টর জমিতে আগাম আলু চাষাবাদের লক্ষ্যমাত্র নিধার্রণ করা
হয়েছে।সরেজমিনে শুক্রবার জানা গেছে,অধিক মুনাফার আশায় বরবরের মত এবারো আশ্বিন
মাসের প্রথম সপ্তাহ থেকে শুরু করেন আগাম আলুর চাষ। কিন্তু আশ্বিনা বৃষ্টিপাতে উপজেলার
৯টি ইউনিয়নের অধিকাংশ কৃষকের আলুর ক্ষেত পচে নষ্ট হয়ে যায়। ওইসব কৃষক আবারো এনজিও থেকে ধার-দেনা ও ঋণ করে জমি প্রস্তত করে আলু রোপণ করেন। কিন্তু তাতেও শেষ রক্ষা হয়নি কৃষকের। এর পর সেই রোপণকৃত আলু তীব্র তাপদাহে আবারো পচন ধরে সাবাড় হয়ে যায়। এতে একই জমিতে২থেকে
৩ বার আলু রোপণের অর্থ সংকটে তাদের (কৃষকের) কপালে পড়েছে চিন্তার ভাঁজ।বাহাগিলী ইউনিয়নের উঃ দুরাকুটি পশ্চিমপাড়া গ্রামের আলমগীরের ৪বিঘা, সাজ্জাদ হোসেন বাদশার ৪বিঘা,শামসুল হকের ২বিঘাসহ আরো অনেক কৃষকের মাঠের পর মাঠ ৩০দিন বয়সি আলু পচন ও ঝিমিয়ে পড়ায় হালচাষ দিয়েছেন নতুন করে আলু চাষাবাদের জন্য।তারা জানান, বেশি দামের আশায় আগাম আলু রোপণ করেছেন। কিন্তু এবারের বৈরী আবহাওয়ায় আলু চাষে শনির দশা দেখা দিয়েছে। ২য়বার আলু রোপণে হালচাষ, আলু বীজ, সার, শ্রমিকসহ
খরচ ৩গুন দাড়াবে। এদিকে সার সংগ্রহে ধকল গেছে। সর্বোপরি আলুর বাম্পার ফলন, ন্যায বাজার মূল্য না পেলে এ ক্ষতি পুষিয়ে নেওয়ার মত নয়। এ অবস্থায় সরকারের প্রণোদনার দাবি জানাচ্ছি। সদর ইউনিয়নের কেশবা গ্রামের আঃ মতিন বলেন, আমি ১বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপণ করেছিলাম, সে আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে।নতুন করে আলু রোপণে খুব দুচিন্তুায় আছি।
এ ব্যাপারে উপজেলা কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান বলেন, আশ্বিনা বৃষ্টিপাত এবং খরায় কিছু
কৃষকের আলু পচে নষ্ট হয়ে গেছে। সরকারী সহায়তার ব্যাপারে জানতে চাইলে তিনি জানান,সরকারের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো নির্দেশনা নেই।আর নির্দেশনা পেলে সহায়তা করা হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com