রবিবার, ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ০২:৪৬ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
পাবনা আতাইকুলা থানার এসআই হাসানের রহস্যজনক মৃত্যু।
নিজস্ব প্রতিবেদক
পাবনার আতাইকুলা থানার উপ-পরিদর্শক (এসআই) হাসান আলী (২৮) এর গুলিবিদ্ধ লাশ উদ্ধার করেছে আতাইকুলা থানা পুলিশ। রোববার (২১ মার্চ) সকালে থানার ছাদের ওপর থেকে তার মরদেহ উদ্ধার করা হয়। এসআই হাসান তিনি যশোরের কেশবপুর উপজেলার জব্বার আলীর ছেলে। তিনি ৮ ফেব্রয়ারি
আতাইকুলা থানায় এসআই হিসেবে যোগ দেন। তিনি অবিবাহিত ছিলেন বলে আতাইকুলা থানার ওসি জানান।
পুলিশ জানায়, এক দেড় মাস আগে আতাইকুলা থানায় যোগ দেন হাসান আলী। থানার ছাদে শনিবার (২০ মার্চ) দিবাগত রাত ২টার পর থেকে রোববার ভোর পর্যন্ত কোনো এক সময় গুলির আঘাতে সে মারা যায়। রোববার সকালে তার মরদেহ পাওয়া যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, প্রেমঘটিত কোনো বিষয়ে মুঠোফোনে কথা বলতে গিয়ে উত্তেজিত হয়ে ক্ষোভে অভিমানে তিনি আত্মহত্যা করতে পারেন। স্থাণীয়দের ধারনা থানার ছাদে পিস্তলের গুলির শব্দে আত্মহত্যা করলো কেউ টের পেল না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে। পিস্তলের গুলির শব্দ ছাদে হলে আশে পাশের অনেকের টের পাওয়ার কথা। স্থানীয়দের দাবি থানার সিসি টিভি ফুটেজ ও থানায় অবস্থান দায়িত্বরতদের ব্যাপক জিজ্ঞাসাবাদে এসআই হাসানের মৃত্যুর প্রকৃত রহস্য বের হয়ে আসতে পারে।
আতাইকুলা থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কামরুল ইসলাম বলেন, সকাল সাড়ে ৯টার দিকে থানার ২য় তলার ছাদে পুর্ব পার্শ্বে নিহত হাসানের লাশ পড়ে ছিল। তার কাছে জানতে চাওয়া হয়, থানার ছাদে পিস্তলের গুলিতে একজন আত্মহত্যা করলো থানায় অবস্থানরত কোন পুলিশ সদস্য বা আশে পাশের কেউ জানতে পারলো না। বিষয়টি রহস্যজনক মনে হচ্ছে না। ওসি জানান, থানার সামনে রাস্তায় যানবাহনের আওয়াজে পিস্তলের গুলির শব্দ কেউ টের পাইনি। একজন কর্মকর্তা সকাল সাড়ে ৯টা পর্যন্ত নিখোঁজ থাকার বিষয়ে জানতে চাইলে ওসি জানান, হাসানের রাতে থানায় ডিউটি অফিসারের দায়িত্ব ছিল। সকালে ডিউটি বুঝে নেওয়ার জন্য আরেকজন পুলিশ কর্মকর্তা থানা কম্পাউন্ডে নিহত হাসানের রুমে তাকে ডাকতে গেলে রুম বন্ধ পাওয়া যায়। পরে হাসানকে খোঁজ করা পুলিশ কর্মকর্তা ছাদে গেলে তার লাশ থানার ছাদের পুর্ব পাশে পড়ে আছে দেখতে পান। পরে বিষয়টি জানাজানি হয়। তবে একজন পুলিশ কর্মকর্তা গভির রাতে থানার ছাদে নিজের পিস্তল দিয়ে আত্মহত্যা করলো অথচ কেউ টের পেল না, বিষয়টি স্থানীয়দের মধ্যে সন্দেহের সৃষ্টি করেছে। ওসি প্রাথমিকভাবে ধারনা করছে পারিবারিক অশান্তি অথবা প্রেমঘটিত কারণে এসআই হাসান আত্মহত্যা করতে পারে। তবে তিনি এও বলেন, তার সরকারী অস্ত্র দিয়ে হাসান আত্মহত্যা করেছেন। রহস্য উদঘাটনে কাজ করছে পুলিশ। এদিকে রাজশাহী থেকে সিআইডির ক্রাইম সিন দলের একটি গ্রুপ পাবনার উদ্যেশে রওনা হয়েছেন। তারা ঘটনাস্থলে পৌছে আলামত সংগ্রহ শেষে নিহতের লাশের ময়নাতদন্তের জন্য পাবনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরন করা হয়েছে।ময়নাতদন্ত শেষে হাসানের মৃত্যুর মুল ঘটনা বেরিয়ে আসবে বলে স্থাণীয় বাসিন্দারা মনে করেন।