বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০:১৭ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
সিমা খাতুন বিশেষ প্রতিনিধি:
গাজিপুর জেলার কালিয়াকৈর থানার ফুলবাড়িয়া ইউনিয়নের কাচিঘাটা গ্রামে জনসাধারণের মাঝে মুর্তিমান আতংক হয়ে উঠেছে, আঃ রশিদ ও শাহজাহানের নিয়ান্ত্রিত ক্যাডার বাহিনির সদস্যরা। আঃ রশিদ ও শাহজাহানের ক্যাডার বাহিনির জুলুম ও অত্যাচারে দিশেহারা অত্র এলাকার সাধারণ মানুষ, এমন কি আঃ রশিদ ও শাহজাহান বাহিনির অত্যাচার ও জুলুমের শিকার হয়ে প্রান ভয়ে এলাকা ছেড়ে পালিয়ে বেড়াচ্ছেন কেউ কেউ। সরেজমিন অনুসন্ধানে গিয়ে অত্র এলাকা ঘুরে বিভিন্ন শ্রেনি পেশার মানুষের সাথে কথা বলে জানা যায়, আঃ রশিদ ও শাহজাহানের সন্ত্রাসী ক্যাডার বাহিনির সদস্যরা অত্র এলাকায় এক প্রকার ত্রাসের রাজত্ব কায়েম করেছেন। এমনকি অঘোষিত ভাবে নিজেদেরকে অত্র এলাকার একছত্র অধিপতি বলে ঘোষনা করছেন এ বাহিনির সদস্যরা, বলেও জানান এ বাহিনির নানান অপকর্মের কথা, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক প্রতক্ষদর্শি সহ এলাকা বাসি। আঃ রশিদ বাহিনির প্রধান আঃ রশিদ ও তার প্রধান সহযোগি শাহজাহানের হাতে, নির্মম নির্যাতনের শিকার, পুর্ব কাচিঘাটা গ্রামের জসিম উদ্দিনের পুত্র সজিব ও ভাগ্নে জুয়েল জানান , মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে, দুপুর দুইটার সময়ে নিজ বসত ভিটার সামনে থেকে জোর করে তুলে নিয়ে তাদের উপর চালায় বর্রবর পৈশাচিক নির্যাতন। তারা বলেন হাত পা বেধে ঘরের আড়ার সাথে ঝুলিয়ে পেটানোর কথা, এমনকি, তাদের নির্যাতন সয্য করতে না পেরে বার বার জ্ঞান হারিয়ে ফেলে, সজিব ও জুয়েল, নির্যাতনের সময় বার বার পানি খেতে চাইলেও পানি দেননি নির্যাতন কারীরা। তারা আরো জানান আঃ রশিদের ভয়ংকর ও অমানুষিক নির্যাতনে তাদের এক পর্যায়ে জোর পুর্বক মিথ্যা স্বীকারোক্তি দিতে বাধ্য করে আমাদের।
আরো অভিযোগ রয়েছে আঃ রশিদ বাহিনির হাতে নির্যাতনের শিকার হয়ে আঃ মান্নান নামের এক রং মিস্তিরি প্রায় ২ মাস যাবত নিখোজ হওয়ার ঘটনা, নিখোজ আঃ মান্নানের ব্যাপারে কথা হয় তার শশুর ও স্ত্রি, পুর্ব কাচি ঘাটা গ্রামের ইন্তাজ উদ্দিন ও তার কন্যা আকলিমার সাথে। ইন্তাজ উদ্দিন ও আকলিমা জানান আজ থেকে প্রায় ২ মাস আগে, রাত আনুমানিক ১ টার দিকে মিথ্যা চুরির অপবাদ দিয়ে আমার স্বামি আঃ মান্নান কে আটক করে আঃ রশিদ ও তার লোক জন। পরে ১ লক্ষ টাকা মুক্তিপন দাবি করে, আমার স্বামির উপর বর্বর নির্যাতন চালায় আঃ রশিদসহ তার বাহিনির সদস্যরা। নির্যাতনের এক পর্যায়ে বাধ্য হয়ে আঃ রশিদ ও তার সদস্যদের ২০ হাজার টাকা পরিশোধ করি, তবুও তারা আমার স্বামিকে ছাড়েনি। সেই থেকে আমার স্বামি নিখোঁজ রয়েছে আদও আমার স্বামি বেচে আছে নাকি তাদের নির্যাতনে মৃত্য হয়েছে তাও জানিনা, এখন আমি আমার দু অবুঝ সন্তানদের নিয়ে চরম দুর্বিসহ জীবন যাপন করছি । এ সকল অভিযোগের বিষয়য়ে জানতে আঃ রশিদ বাহিনির প্রধান আঃ রশিদ ও শাহজাহানকে তাদের ব্যবহারিত মুঠো ফোনে ফোন করলেও সাংবাদিক পরিচয় পেয়ে কথা বলতে অস্বৃতি জানান, এবং কথা না বলেই ফোন কেটে বন্ধ করে দেন। ফলে তাদের বক্তব্য জানা সম্ভব হয়নি। এ সকল নানান অভিযোগের বিষয় কথা হয় ফুলবাড়িয়া ইউপির ২ নং ইউপি সদস্য কাচিঘাটা গ্রামের আঃ সিদ্দিক মেম্বারের সাথে তিনি অকপটেই স্বিকার করেন এ বাহিনির নানান অপকর্মের কথা । তিনি আরো বলেন, আসলে আমরা এক প্রকার জিম্মি আঃ রশিদ বাহিনির হাতে, শুনেছি তাদের পিছনে রয়েছে পুলিশ প্রশাসনের একাধিক উর্ধতন কর্মকর্তার সহোগিতা, আর তাদের নাম ও প্রভাব খাটিয়ে এসকল অপকর্ম করছে এ বাহিনির সদস্যরা, তিনি আরো বলেন আপনাদের মাধ্যমে আমরা পুলিশ প্রশাসনের উর্ধতন কতৃপক্ষের কাছে ন্যায় বিচার কামনা করছি।