বুধবার, ১৫ জানুয়ারী ২০২৫, ১১:৩৫ পূর্বাহ্ন

News Headline :
মানববন্ধনের প্রতিবাদে সংবাদ সম্মেলন শ্যামনগরে গাছের সাথে ধাক্কা খেয়ে সড়কে ভ্যান চালকের মৃত্যু রাজশাহীর মোহনপুরে মদ পানে ৩ জনের মৃত্যু, গ্রেফতার ২ রাজশাহী মহানগর বিএনপি’র সাতটি থানার আহ্বায়ক কমিটি ঘোষণা যানজট নিরসন দুর্ঘটনা প্রতিরোধে ট্রাফিক ব্যবস্থাপনার উন্নয়নে আরএমপি’র মতবিনিময় সভা শ্যামনগরে এবার কৃষকরা আমন ধানের আশানুরুপ ফলন পেয়েছে পাবনায় পৃথক সড়ক দুর্ঘটনায় ৩ জন নিহত ১জন আহত শাজাহানপুরে বিএনপি’র চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়ার সুস্থতা কামনা করে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মান্দায় বিল উন্মুক্তের দাবিতে জেলেদের সংবাদ সম্মেলন সভাপতির স্বৈরাচারী আচরন স্বজনপ্রীতি ও দুর্নীতিতে পাবনা শহর সমাজ সেবা কার্যালয়ের কার্যক্রম স্থবির

বন্যায় ক্ষতিগ্রস্ত তিস্তাপাড়ের বাসিন্দাদের ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা বাধাগ্রস্ত: পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় বিরাজ করছে আতঙ্ক

Reading Time: < 1 minute

হারুন উর রশিদ সোহেল, রংপুর :
তিস্তা নদীর পানি আবারও বিপৎসীমা ছুঁই ছুঁই করছে। গতকাল শনিবার সকাল ৬টায় তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে পানি বিপৎসীমার ৫ সেন্টিমিটার নিচ দিয়ে প্রবাহিত হচ্ছে। তিস্তার পানি বৃদ্ধির ফলে নদী তীরবর্তী মানুষগুলো আবারও আতঙ্কে সময় পার করছেন। সেই সাথে নদী ভাঙ্গনের শঙ্কা করছেন তারা।
গত কয়েকদিনের ব্যবধানে একাধিকরার তিস্তার পানি বিপৎসীমা অতিক্রম করায় অনেকের ভুট্টা, বাদাম, আমনের বীজতলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়। তারা নতুন করে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করছিল যখন তখনই আবার পানি বৃদ্ধির শঙ্কায় তারা আতঙ্কিত।
গঙ্গাচড়া উপজেলার লক্ষ্মটারী ইউনিয়নের বাগেরহাট ইচলি এলাকার আজিজুল ইসলাম জানান, কদিন আগের বন্যায় তার ২০ বিঘা জমির ভুট্টা নষ্ট হয়েছে। মনে করেছিলাম ধারদেনা করে আমনের বীজ তলা করবেন। কিন্তু পানি বৃদ্ধি পাওয়ায় তার সেই স্বপ্ন বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। তার মত অনেক কৃষকই ফসল হারিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা করার সময় পানি বৃদ্ধিতে আতঙ্কিত হয়ে পড়েছেন।
একই এলাকার নূরুল ইসলাম বলেন, তার বাড়িতে এখনও পানিতে তলিয়ে আছে। এ অবস্থা চলতে থাকলে পরিবার নিয়ে না খেয়ে থাকতে হবে। বন্যায় রংপুর বিভাগের ৫ জেলায় রোপা ১৮ হাজার ৩৯৫ হেক্টর আমনের বীজতলাসহ অন্যান্য ফসল নিমজ্জিত হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ড সূত্রে জানা গেছে, শনিবার ভোরে তিস্তার ডালিয়া পয়েন্টে ৫২ দশমিক ৫৫ সেন্টিমিটারে প্রবাহিত হয়েছে।
রংপুর পানি উন্নয়ন বোর্ডের নির্বাহী প্রকৌশলী আহসান হাবীব বলেন, বর্ষা মৌসুমে তিস্তার পানি বাড়বে-কমবে এটাই স্বাভাবিক। তবে এখনও পানি বিপৎসীমার নিচে রয়েছে। তারপরেও আমরা সর্তকতা অবলম্বন করেছি।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com