বুধবার, ০৯ অক্টোবর ২০২৪, ১০:৫২ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
রাজশাহী প্রতিনিধি:
রাজশাহীর বাঘায় ছিনতাই এর অভিযোগে ১ জনকে আটক করা হয়েছে। (২৪ জুন ) বৃহস্পতিবার রাত ৮ টায় উপজেলার তেঁথুলিয়া গ্রামের সিকদার পাড়ায় এ ঘটনা ঘটে ।
জানাযায়, তেঁথুলিয়া সিকদারপাড়া গ্রামে সন্ধার পরে চার্জার ভ্যান যোগে আম নিয়ে আসছিলেন কয়েকজন ভ্যান চালক পথিমধ্যে সুমনের বাড়ির সামনে এলে ধারালো হাসুয়া হাতে পথ রোধ করে সুমন (২৫)। এ সময় অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে এবং হাসুয়া দিয়ে কোপ দিবে মর্মে প্রাণ নাশের হুমকি দেয়। ঠিক ওই সময় পশ্চিম দিক থেকে যাচ্ছিলেন আম ব্যবসায়ী মুক্তার। মুক্তারের কাছে থাকা নগদ ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা ও একটি স্মার্ট ফোন ভয়ভীতি দেখিয়ে কেড়ে নেয় সুমন ও তার সঙ্গী স্থানীয় বখাটে নয়ন (১৮)।
এ ঘটনার পরে ছিনতাইকারী সুমন নিজ বাড়ির মধ্যে প্রবেশ করে দরজা বন্ধ করে দেয়। স্থানীয় নেতা,পুলিশ,ইউপি সদস্য ও স্থানীয় জনতার উপস্থিতে পুলিশ ও ইউপি সদস্য কড়া নাড়ে সুমনের বাড়ির দরজায়। কিন্তুু কে শোনে কার কথা। কিছুতেই বাড়ির দরজা খোলেনা সুমন। কিন্তুু পুলিশও নাছোড় বান্দা হাল ছাড়েনি কিছুতেই। বাড়ির দরজা বন্ধ রেখেও শেষ রক্ষা হলোনা,ভুক্তভোগীর অভিযোগের ভিত্তিতে গভীর রাত পর্যন্ত অভিযান চালিয়ে ছিনতাইকারী সুমনকে আটক করে পুলিশ।
ভুক্তভোগী আম ব্যাবসায়ী মুক্তার হোসেন বলেন, আমি বাগান মালিক বাবুকে আমের দাম দেওয়ার জন্য ১ লক্ষ ২০ হাজার টাকা নিয়ে যাচ্ছিলাম। সুমন আমার কাছ থেকে তা ছিনিয়ে নিয়েছে।
আমি তৎক্ষনিক ৯৯৯ কল করে বিষয়টি প্রশাসনকে অবহিত করি। রাত ১০ টার সময় আমি বাঘা থানায় সুমন ও নয়নের বিরুদ্ধে একটি ছিনতাই মামলা দিয়েছি।
এবিষয়ে সুমনের প্রতিবেশীদের বরাত নিয়ে জানা যায়, সুমন খুবই বেপরোয়া ভাবে চলাফেরা করে। সে প্রতিনিয়ত মাদক সেবন করে এলাকার মানুষের সাথে খারাপ আচরন করে। পার্ষ্য প্রতিবেশীদের অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ, মারধর ও নানা রকম হুমকি দিয়ে আসছে। তার এই আচরন থেকে বাদ যায়নি তার নিজের মা, প্রায় তার মাকে মারধর করে। সম্প্রতি সুমনের এই অস্বাভাবিক আচরনের বলি হয়ে বাড়ি থেকে বিতাড়িত হয়েছে। এছাড়াও সুমন শুধু মাদক সেবনই করেনা সে তার বাড়িতে রাতের আধারে সঙ্গীদের নিয়ে মাদক সেবনের আসর জমিয়ে ব্যাবসাও করে।
বাঘা থানা পুলিশের এসআই আব্দুল মালেক বলেন, ৯৯৯ এ খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়ে দেখা যায় সুমনের বাড়ির দরজা বন্ধ। কিছুতেই সে দরজা খোলেনি । পরে থানা থেকে অতিরিক্ত ফোর্স গিয়ে গভীর রাতে আটক করে থানায় নিয়ে আসা হয় সুমনকে। তাকে বিজ্ঞ আদালতের মাধ্যমে জেল হাজতে পেরন করা হয়।