বুধবার, ১২ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০২:১৫ অপরাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

ভোটে যা হওয়ার হয়ে হয়েছে’, ভরাডুবির পর্যালোচনা এড়িয়ে জবাব শিব-মালব্য-মেননদের

Reading Time: 2 minutes

যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এ বার দলকে চাঙ্গা করতে কী কী করা যায় তা ভাবতে হবে। বিধানসভা ভোটে ভরাডুবির পরে কলকাতায় প্রথম কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের সঙ্গে বৈঠকে এমনটাই শুনতে হল দিলীপ ঘোষদের।

বৃহস্পতিবার কলকাতার হেস্টিংসে বিজেপি-র ৩ কেন্দ্রীয় নেতার সঙ্গে বৈঠক করলেন রাজ্য নেতারা। একটা সময়ে বিজেপি শিবিরের একটি অংশ দাবি করেছিল, রাজ্য বিজেপি-র পর্যবেক্ষক কৈলাস বিজয়বর্গীয় থাকবেন সেই বৈঠকে। কিন্তু শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। কিন্তু সেটা সকলে জানতে না পারায় কৈলাস-বিরোধীরা কলকাতার বিভিন্ন জায়গায় পোস্টার লাগিয়ে দেয়। কৈলাসের ছবি দিয়ে ‘টিএমসি সেটিং মাস্টার গো ব্যাক’ লেখা পোস্টার পড়ে রাজ্য বিজেপি-র দুই সদর দফতরের কাছেও। তবে কৈলাস না এলেও বৃহস্পতিবার আসেন বাংলার দায়িত্বপ্রাপ্ত সর্বভারতীয় সহ-সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) শিবপ্রকাশ। তাঁর সঙ্গে আসেন দুই সহ-পর্যবেক্ষক অমিত মালব্য ও অরবিন্দ মেনন। রাজ্য বিজেপি-র তরফে দিলীপ ছাড়াও ছিলেন ৫ সাধারণ সম্পাদক ও ২ সহ-সভাপতি। আর ছিলেন রাজ্যের সাধারণ সম্পাদক (সংগঠন) অমিতাভ চক্রবর্তী। একেবারে কোর টিমের সঙ্গেই বৈঠক করেন শিবপ্রকাশ, মালব্য, মেনন।

বিধানসভা নির্বাচনে আশানুরূপ ফল না হওয়ার পরে রাজ্য বিজেপি-র বিভিন্ন শিবির কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের দিকে আঙুল তুলেছেন। মুকুল রায় দলবদল করার পরে নতুন করে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের নীতি নিয়েও আলোচনা শুরু হয়েছে। প্রাক্তন রাজ্য সভাপতি তথাগত রায় তো দিলীপের পাশাপাশি কৈলাস, শিবপ্রকাশ, মেননদের নিয়ে প্রকাশ্যেই সরব। এই পরিস্থিতিতে বৃহস্পতিবারের বৈঠকে হারের পর্যালোচনা ও মুকল-প্রস্থান নিয়ে কথা হতে পারে মনে করেছিলেন বিজেপি নেতারাই। কিন্তু গেরুয়া শিবির সূত্রে খবর, বৈঠকের শুরুতেই শিবপ্রকাশ বলেন, ‘‘যা হওয়ার হয়ে গিয়েছে। এখন সামনের কথা ভাবতে হবে। এ বার কী কী করা যেতে পারে সেটাই আলোচনার প্রধান বিষয়।’’

শিবপ্রকাশের এমন বার্তা পাওয়ার পরে ভোট নিয়ে আর কোনও আলোচনা এগোয়নি। বেশি করে কথা হয় ভোট পরবর্তী সন্ত্রাস প্রসঙ্গে। রাজ্য নেতারা দাবি জানান, যে কর্মীরা আক্রান্ত ও ঘরছাড়া হয়েছেন তাঁদের আর্থিক সাহায্য দিতে হবে দলকে। একই সঙ্গে আক্রান্তদের চিকিৎসা খরচ এবং যে সব কর্মী আইনি লড়াইয়ের মুখে পড়েছেন তাঁদের মামলা চালানোর খরচ দেওয়া হোক। জানা গিয়েছে, কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব এই দাবিতে সায় দিয়েছেন। কিছুদিন আগে বিজেপি-র সিউড়ি আসনের প্রার্থী তথা প্রাক্তন সাংবাদিক জগন্নাথ চট্টোপাধ্যায়ের নেতৃত্বে একটি কমিটি গঠন করেন দিলীপ। সেই কমিটির কাছে আক্রান্ত কর্মীদের সম্পর্কে রাজ্যের সব সাংসদ, বিধায়ক ও জেলা সভাপতিদের রিপোর্ট জমা দিতে বলা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার ওই কমিটির সঙ্গেও বৈঠক করেন শিবপ্রকাশ, মালব্য, মেননরা। ক্ষয়ক্ষতির তালিকাও কমিটির থেকে চাওয়া হয়েছে বলে বিজেপি সূত্রে খবর।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com