শুক্রবার, ০৪ অক্টোবর ২০২৪, ০৪:৩৬ পূর্বাহ্ন

News Headline :
সিরাজগঞ্জে যুবদল নেতার সকল কর্মকান্ড স্থগিত রংপুরে ৩ দিন ব্যাপী পিআইবি’র সাংবাদিকতায় বুনিয়াদি প্রশিক্ষণের উদ্বোধন নেসকোর দূর্নীতিগ্রস্থ কর্মকর্তাদের অপসারণ ও শাস্তির দাবিতে বিদ্যুৎ জ্বালানি ও খনিজ সম্পদ উপদেষ্টার নিকট আবেদন গাইবান্ধায় ছোট ভাইয়ের লাথির আঘাতে বড় ভাইয়ের মুত্যু হামলা-মামলা ও নির্যাতনের শিকার তাদেরকে স্বীকৃতি দিতে না পারি ইতিহাস ক্ষমা করবে না-তারেক রহমান ১৫ বছরের আমাদের ওপর যে জুলুম করা হয়েছে তা আর কারো ওপর করেনি-জামায়াতের আমির সিরাজগঞ্জে ২০ লাখ টাকার বিনিময়ে আঃলীগের চেয়ারম্যানকে চেয়ারে বসানোর ঘটনায় বিএনপির তদন্ত কমিটি গঠন রংপুর পীরগঞ্জ উপজেলায় মোবাইল কোর্ট অভিযানে ২৫ হাজার টাকা জরিমানা সিরাজগঞ্জে ৫১৭ বোতল ফেন্সিডিলসহ ৩ মাদক কারবারী আটক শেরপুরের নালিতাবাড়ীতে চালকের গলাকেটে অটো ছিনতাইয়ের চেষ্টা গ্রেফতার ৪

মধুপুরে চায়না জাল দিয়ে চলছে মাছ নিধন

Reading Time: 2 minutes

আঃ হামিদ,মধুপুর টাঙ্গাইল:

টাঙ্গাইলের মধুপুরে চায়না জাল দিয়ে প্রতিনিয়ত চলছে ছোট ছোট রেণুপোনা সহ রুই, কাতলা, বোয়াল, বাঘাইড়, আইড়, চিতল ও অন্যান্য সকল প্রকার মাছ নিধন। মধুপুর পৌরসভা সহ
উপজেলার বিভিন্ন নদ-নদীসহ খালবিল, নামা ও ডুবাতে প্রতিনিয়তই ব্যবহার করা হচ্ছে চায়না জাল নামের এক বিশেষ ধরনের ফাঁদ। যে ফাঁদে নির্বিচারে মারা পড়ছে রেণুপোনাসহ সব ধরনের মাছ। যার ফলে ভবিষ্যতে মধুপুর উপজেলায় বড় ধরনের মাছের সংকটে পড়ার আশংকা করছেন বিশিষ্টজনেরা।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়- চায়না সুতায় দেশীয় ভাবে তৈরী এই জাল ২থেকে ৩ফুট করে চারকোনা বিশিষ্ট ৭ ফুট চওড়া এবং ৩০ থেকে ৮০ফুট পর্ষন্ত লম্বা হয়ে থাকে। ২সুতী লোহার রড দিয়ে দুইপ্রান্তের প্রথমে গোলাকার পরে পর্ষায়ক্রমে চারকোনা করে ২ফুট পরপর সারিবাঁধা অবস্থায় জাল দিয়ে জড়ানো এবং ভিতরে একটি জাল বিশেষ কায়দায় লাগানো যা দোয়াইরের পারার মতো দেখতে। ড্রেনের মতো লম্বা এই জালের শেষ প্রান্ত পর্ষন্ত দুই পার্শ্বেই প্রায় ৩০ থেকে ৭০টি মাছ ঢুকার ফাদ সংকুচিত অবস্থায় থাকে যার ফলে রেনুপোনাসহ যেকোন বড় মাছ ঢুকলে আর বেরিয়ে আসতে পারেনা। এই চায়না ফাঁদ নামক জালের আকার ৭০/৮০ ফুট লম্বা এবং ৭ফুট গোলাকার থাকার কারণে মাছ অবাধে চলাচল করতে পারে ফলে তা সর্বদাই তরতাজা ও জীবিত থাকে কখনোই নষ্ট হয় না।
আকার ভেদে ৩০ ফুট মাপের জাল ২ হাজার ৫০০টাকা, ৫০ফুট মাপের জাল ৩ হাজার ৫০০ টাকা ও ৮০ ফুট মাপের জাল ৭/৮ হাজার টাকায় খুচরা কিনতে পাওয়া যায়।
বিশেষ কায়দায় তৈরী চায়না ফাঁদ ব্যবহারকারীএক জেলে বলেন-দেশীয় কারেন্ট জালে মাছ আটকে কাটা পড়ে মারা যায়, দামও কম পাওয়া যায়, জাল থেকেও মাছ ছাড়ানো কষ্টকর ও অনেক সময়ের ব্যাপার।
চীনের আবিস্কার এই বিশেষ ‘চায়না ফাঁদ নামক জালে’ ছোট-বড় সকল প্রকার মাছই আটকা পড়ে। মাছ বের করে আনাও সহজ এবং তাজা থাকে, দামও বেশি পাওয়া যায়। আষাঢ় মাস থেকে আশ্বিন পর্যন্ত এই চার মাস নদী-নালা, খাল-বিল, নামা জায়গাতে প্রচুর মাছ ধরা পড়ে।
বৃষ্টির কারণে বিভিন্ন এলাকা প্লাবিত হওয়ায় নদীনালা, বিল-ঝিল, খানাখন্দরে রেনুপোনাসহ ছোট বড় প্রচুর মাছ ধরা পড়ে এই চায়না ফাঁদে।
কারেন্ট জালের চেয়েও ভয়াবহ এই চায়না ফাঁদ মাটির সাথে আটকে থাকে যার ফলে রেনুপোনাসহ সব ধরনের ছোট বড় মাছ এ জালে ধরা পড়ে।
উপজেলার প্রায় সকল এলাকাতেই এই জালের অবাধ ব্যবহার প্রচুর লক্ষ করা যায়। মধুপুরের প্রায় সব নেটের দোকানেই এই চায়না জাল দৃষ্টি আকর্ষণের জন্য টানিয়ে অবাধে বিক্রি করা হচ্ছে। এছাড়া অনেকেই টাকা সাশ্রয়ের জন্য হামিদপুর ও কালিহাতী থেকেও এই অবৈধ চায়না জাল ক্রয় করছেন।
স্থানীয় এলাকাবাসী জানান- দেশীয় প্রজাতির মাছের রেনুপোনার বংশ বিস্তার ও সংরক্ষণে হুমকি এই চায়না ফাঁদ ও কারেন্ট জালের বিরুদ্ধে খুব দ্রুত আইনী পদক্ষেপ গ্রহণ না করলে সকল প্রকার দেশীয় মাছের ব্যাপক সংকটে পড়বেন উপজেলাবাসি।
এই ‘চায়না জালের ব্যবহার সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করে ইতিমধ্যে বিভিন্ন জেলা উপজেলায় অভিযান চালিয়ে অর্থদন্ড সহ বিভিন্ন মেয়াদে সাজা ও জাল নিধনের কাজ অব্যাহত রয়েছে ।
মধুপুর উপজেলাবাসী খুব দ্রুত সময়ে এই চায়না জালের ব্যবহার বন্ধ সহ বিক্রয়কারীর বিরুদ্ধে আইনগত পদক্ষেপ গ্রহনের জন্য উপজেলা প্রশাসনের প্রতি বিশেষ ভাবে অনুরোধ জানান।
এব্যাপারে মধুপুর উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা তারিকুল ইসলামের সহিত কথা বললে তিনি জানান, আমাদের জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নির্দেশ আছে যারা এধরনেন জাল দিয়ে মাছ ধরবে তাদের বিরুদ্ধে আইনগত ব্যাবস্হা নেয়া হবে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com