সোমবার, ১৬ সেপ্টেম্বর ২০২৪, ০৯:১৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
আঃ হামিদ, মধুপুর :
টাঙ্গাইলের মধুপুুরে চায়না জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার রোধে ভ্রাম্যামন আদালত পরিচালিত হয়েছে মধুপুরের হাওদা বিলে। মঙ্গলবার (৫ জুলাই) নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে ৩৫টি চায়না জাল জব্দ করে পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও অবাধ বিচরণে বাধা সৃষ্টি কারীদের সতর্ক করা ও দেশীয় প্রজাতির মাছ নির্মূলের মতো অপকর্ম রোধের জন্যই এই আদালত পরিচালিত হয়। মধুপুরের সিনিয়র উপজেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. তারিকুল ইসলাম জানান, বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার সাথে সাথেই কতিপয় মৎস্যজীবী ও মাছ শিকারীরা চায়না দুয়ারি জাল ও কারেন্ট জাল ব্যবহার করে মাছ নিধনে মেতে উঠে। এতে করে দেশীয় প্রজাতির মাছের প্রজনন ও অবাধ বিচরণ ব্যাপকভাবে বাধা গ্রস্ত হতে থাকে। শুধু তাই নয় দেশীয় প্রজাতির মাছ নির্মূল হওয়ার আশংকা সৃষ্টি হয়। কৌশলী ওই মাছ শিকারীরা সন্ধ্যার পর চায়না জাল ও কারেন্ট জাল বিল জুড়ে বিভিন্ন স্থানে পেতে রাখে। বড় মাছ থেকে শুরু করে পোনা মাছ পর্যন্ত ওই জালে আটকা পরে। ভোর বেলায় তারা ওই জাল ডাঙ্গায় তুলে মাছ ধরে বাজারে বিক্রি করে। এমন পরিস্থিতিতে বিকালের বেলাতেই ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালিত হয় মঙ্গলবার।
নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. জাকির হোসেন এই ভ্রাম্যমান আদালতের নেতৃত্ব দেন। এসময় মৎস্য অধিদপ্তর মধুপুরের কর্মকর্তা কর্মচারি, উপজেলা প্রশাসনের কর্মাচারিদের সহযোগিতায় ৩৫টি চায়না দুয়ারী জাল জব্দ করা হয়। সকলের উপস্থিতিতে বিকাল বেলাতেই মাছ ধ্বংস কারি জালগুলো পুড়িয়ে ধ্বংস করা হয়। ভ্রাম্যমান আদালত পরিচালনাকালে মধুপুর থানার পুলিশ এবং জনপ্রতিনিধিগণ সহযোগিতা করেন।