বুধবার, ০৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ০৯:৫৭ পূর্বাহ্ন

News Headline :
হোসেনপুরে বৃদ্ধি পাচ্ছে বিবাহ বিচ্ছেদ ইট বৃষ্টির মধ্যে সংঘর্ষ থামাতে দৌড়ালেন শ্যামনগরের ইউএনও রণী খাতুন পাবনা ঈশ্বরদীর লক্ষ্মীকুন্ডায় ৩ ইটভাটায় অভিযান ২ লাখ টাকা জরিমানা এবার রাজশাহীর বাগানগুলোতে ফুটছে আগাম আমের মুকুল সাংবাদিক কল্যাণ তহবিলের বাৎসরিক ফ্যামিলি ডে পালিত জব্দ ট্রাক ছাড়তে ৫০ হাজার টাকা ঘুষ দাবী! ২০ হাজার টাকা দেওয়ায় হয়রানীর অভিযোগ গোদাগাড়ী থানার ওসি’র বিরুদ্ধে রাবি ক্যাম্পাসে মাথায় ব্যাডের আঘাতে রাজশাহী কলেজে শিক্ষার্থীর মৃত্যু! ভোলাহাটে জরিমানা করা সত্বেও ফের মাটিকাটার কাজ অব্যাহত!! রাজশাহীর পবায় ট্রাক চাপায় যুবদলকর্মী নিহত বদলগাছীতে নবাগত ইউএনও’র সাথে সাংবাদিকদের মতবিনিময়

রাজশাহীতে মরিচের কেজি ২০০ টাকা!

Reading Time: < 1 minute

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীতে হঠাৎ করে অস্বাভাবিক হারে বেড়েছে কাঁচা মরিচের দাম। প্রতি কেজি কাঁচা মরিচ ২০০ টাকায় বিক্রি হচ্ছে। অথচ এক সপ্তাহ আগেও উপজেলার হাট বাজারে অর্ধেক দামে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। তবে পাইকারি বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ বিক্রি হয়েছে।
গতকাল বুধবার রাজশাহী সাহেব বাজার, নিউমার্কেট, শালবাগান ও বৌবাজার ঘুরে দেখা যায়, খুচরা ২’শ টাকা কেজি দরে বিক্রি হয়েছে কাঁচা মরিচ। হঠাৎ কাঁচা মরিচের দাম বেড়ে যাওয়ায় বিড়ম্বনায় পড়েছেন ক্রেতারা।
সাহেব বাজরে সুবহান নামের এক ব্যক্তি জানান, এক সপ্তাহ আগে তিনি ১৬০ টাকা কেজি দরে কাঁচা মরিচ কিনেছেন। এক সপ্তাহের ব্যবধানে মরিচের দাম ২শ টাকায় উঠে যাওয়ায় রীতিমতো বিস্মিত তিনি।
মোহনপুর উপজেলা সবচেয়ে বড় মরিচের পাইকারি বাজার বসে কেশরহাট ও বিদিরপুরে। ব্যবসায়ীরা জানান, এই দুই হাটের মরিচ ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন মোকামে যায়। পাইকারি বাজারে ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে মরিচ কেনাবেচা হয়েছে।
মোহনপুর উপজেলার চাঁদপুর গ্রামের মরিচ চাষি আফসার উদ্দিন জানান, কোরবানি ঈদের পর ১৫-২০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করতে হয়েছে। তবে এখন ওই মরিচ পাইকারি ১৬০ থেকে ১৮০ টাকা কেজি দরে মরিচ বিক্রি করেছেন তিনি। এই বর্ষায় তার কিছু গাছ নষ্ট হয়েছে। তবে এখন ভালো দাম পেলে ক্ষতি কিছুটা কাটিয়ে উঠতে পারবেন বলে জানান তিনি।
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের উদ্ভিদবিজ্ঞান বিভাগের অধ্যাপক মো. মনজুর হোসেন জানান, বর্ষার সময় মরিচের ডাইব্যাক রোগ হয়। এতে গাছ বাঁচানো কঠিন হয়ে পড়ে। স্বাভাবিকভাবেই তখন মরিচের সরবরাহ কমে যায়, এ জন্য দামও বেড়ে যায়। প্রতিবছর এই সময় মরিচের দাম বেড়ে যায়। এই সঙ্কট মোকাবিলায় তিনি কাঁচামরিচ গুঁড়া করার পদ্ধতি উদ্ভাবন করেছেন। যেসময় মরিচের দাম কম হবে। তখন বেশি পরিমাণে মরিচ কিনে গুঁড়া তৈরির পরিকল্পনা আছে তার। এতে চাষিরা ক্ষতিগ্রস্ত হবেন না। গুঁড়ার প্যাকেট বাজারে থাকলে হঠাৎ করে ব্যবসায়ীরাও মরিচের বাজারে আগুন লাগাতে পারবেন না।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com