শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২২ অপরাহ্ন

News Headline :
জুলাইকে কেউ কেউ ৭১ এর মত ব্যবসায়ীক কার্ড হিসেবে বিক্রি করছে: শিবির সভাপতি মহিলা ডিগ্রী কলেজ ভাঙ্গুড়ায় অভিভাবক সমাবেশ উপকূলীয় শ্যামনগরে বিশ্ব মৃত্তিকা দিবস উদযাপন মান্দায় দেশনেত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত মতিহারে ইয়াবা ও ট্যাপেন্টাডলসহ দুইজন মাদক কারবারি গ্রেফতার খালেদা জিয়ার রোগ মুক্তি কামনায় সরকারি হাজী জামাল উদ্দিন ডিগ্রী কলেজ ছাত্রদলের উদ্যোগে এক দোয়া মাহফিল রাজশাহীতে বিজিবির অভিযানে মোটরসাইকেলসহ গাঁজা ও ট্যাপেন্টাডল জব্দ তারেক রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন মায়ের প্রতি ভালোবাসা, দায়িত্ববোধ এবং অতীতের নির্মম স্মৃতি রাজশাহীতে বেগম খালেদা জিয়ার রোগমুক্তি কামনায় দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত সারাদেশে দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হলেও পাবনা সরকারী শহীদ সরকারী বুলবুল কলেজ ক্যাম্পাসে চলছে গানের কনসার্ট

রাজশাহীতে শিশু সন্তানকে ফেলে প্রেমিকের হাত ধরে পালালো মা!

Reading Time: < 1 minute

মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
রাজশাহীতে ১২ মাসের শিশু সন্তানকে রেখে জহুরা বিবি নামের এক গৃহবধু নগরীর ডিঙ্গাডোবা এলাকার মোবারক নামের এক পরকীয়া প্রেমিকের হাত ধরে পালিয়েছে।এদিকে শিশু ইসরাফিলকে নিয়ে বাবা পড়েছেন বিপাকে। এসেছেন রাজশাহী গ্রেটাররোড ছোটমণি নিবাসে (এতিম খানা)। গত মঙ্গলবার বেলা সাড়ে ১২টার দিকে ছোটমণি নিবাসের সামনে দাড়িয়ে থাকতে দেখে কথা হায় শিশুর বাবা আবুল হোসেনের সাথে। তিনি বলেন, গত জুন মাসের ১২ তারিখে শিশু ইসরাফিলের চিন্তা না করে বাসায় রেখে কাউকে কিছু না বলে জহুরা প্রেমিকের সঙ্গে পালিয়ে যায়।এদিকে গৃহবধু তার ১২ মাসের শিশু পুত্রসন্তান ইসরাফিলকে বাড়িতে রেখে যাওয়ায় তার লালন পালন নিয়ে বাবা ও তার বৃদ্ধা মা বিপাকে পড়েছেন। এমন ঘটনায় আবুল হোসেন থানায় জিডি করতে গেলেও তা গ্রহন করেননি তানোর থানার ওসি। আবুল হোসেন বলেন, ২০০৪ সালে তানোর দেবীপুর গ্রামের ইয়াসিন মন্ডলের মেয়ে জহুরা বিবির সঙ্গে পারিবারিকভাবে বিয়ে হয়। এরপর থেকে সুখে শান্তিতেই চলে তাদের পারিবারিক জীবন। গত তিন মাস পূর্বে একটি মামলায় জেলে যেতে হয় আবুলকে। জেলে থাকাবস্থায় মোবারকের সাথে পরকীয়া প্রেমে জড়িয়ে পড়ে। জেলে থাকতেই পালিয়ে বিয়ে করে তারা। জহুরা পালিয়ে যাওয়ার পর থেকে শিশুপুত্র ইসরাফিলের কান্না কোনো অবস্থাতেই থামানো যাচ্ছে না এবং তাকে খাবারও খাওয়ানো যাচ্ছে না। কোনো রকম ফিডারে করে দুধ খাওয়াতে হচ্ছে তাকে। শিশুটিকে লালন পালন করার কেই না থাকায় নিজ সন্তানকে কোলে নিয়ে চলে আসেন এতিম খানায়। কিন্তু এতিম খানার নিতিমালা অনুযায়ী শুধু মাত্র পিতা না থাকলে বা দাবিদারবিহীন পরিত্যক্ত ও বিপন্ন অবস্থায় ০-৭ বছর বয়স পর্যন্ত বাচ্চা গ্রহণ করা হয়। কারণে বাচ্চাকে এতিখানায় দিতে না পের রেড়িয়ে আসেন ভেতর থেকে। এসময় বাচ্চার গায়ে প্রচন্ড জ্বর। শেষে শিশু ইসরাফিলকে কোলে নিয়ে ফিরে যান নিজ বাসায়। এদিকে বাচ্চাকে দেখভাল করতে গিয়ে কাজকাম হারিয়ে অসহায় হয়ে পড়েছেন আবুল হোসেন। তিনি নিজের ও বাচ্চার খরচ বহন করতে না পেরে এছাড়া কোনো উপায় খুজে না পেয়ে দুধের শিশুকে নিয়ে কি করবেন এ নিয়ে ব্যাপক চিন্তায় পড়েছেন।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com