রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২:০৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
পাবনা সংবাদদাতা:
পাবনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলীর বিরুদ্ধে সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন ও হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে। সুজানগর উপজেলার একটি বিতর্কিত প্রকল্পের বিষয়ে জানতে তার কার্যালয়ে গেলে সাংবাদিকের সাথে অসৌজন্যমুলক আচরন ও হুমকি প্রদান করেন। মঙ্গলবার (২১ জুন) আনুমানিক বিকাল ৫ টার সময় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, বাংলাদেশ মফস্বল সাংবাদিক ফোরাম কেন্দ্রীয় কমিটির প্রচার সম্পাদক ও পাবনা জেলা শাখার সাধারণ সম্পাদক এটিএন বাংলা পাবনা জেলা প্রতিনিধি, দৈনিক খবর পত্র’র নিজস্ব সংবাদদাতা, ক্রাইম নিউজ নেটওয়ার্ক টোয়েন্টিফোরের বিশেষ প্রতিনিধি ও ডেইলি সারাবাংলা টোয়েন্টিফোর ডট কম এর প্রকাশক ও সম্পাদক মোবারক বিশ্বাস পাবনা জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী অধিদপ্তরের নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন এর কক্ষে প্রবেশ করেন। এরপর মোবারক বিশ্বাস তার পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে ভিজিটিং কার্ড দিয়ে পরিচয় পর্ব শেষ করেন। নির্বাহী প্রকৌশলী মেহেরাজ হোসেন এর কাছে সুজানগরের একটি বিতর্কিত প্রকল্পের বিস্তারিত জানতে চাইলে তিনি উত্তেজিত হয়ে কলিং বেল এ চাপ দেন। এ সময় তার রুমের পিয়নসহ অন্যান্য কর্মকর্তা-কর্মচারীদের রুমে আসতে বলেন। এক পর্যায়ে তিনি উত্তেজিত হয়ে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাসকে গালমন্দ করে পুলিশের কাছে হস্তান্তরসহ আটকে রাখার হুমকি দেন। সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস তার সংগঠনসহ অন্যান্য সহকর্মীদের কাছে ফোন দিতে গেলে সেখানে বাধা প্রদান করা হয়। পরে জনস্বাস্থ্য অধিদপ্তরের অন্যান্য কর্মকর্তারা নির্বাহী প্রকৌশলীকে শান্ত করে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাসকে চলে যেতে অনুরোধ করেন। পরে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস অধিদপ্তর থেকে বের হয়ে যান। ঘটনার সময় জাতীয় সাংবাদিক ঐক্য ফোরামের পাবনা জেলার সভাপতি রাজিব জোয়াদ্দার মোবারক বিশ্বাসের সাথে ছিলেন। সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস আরো জানায়. গত বছরের ডিসেম্বর মাসে একটি টেন্ডার ওপেন করা হয়। যার অনলাইন টেন্ডার আইডি নং-৫২৪০৮৯। টেন্ডার দাখিলের শেষ দিন ছিল ২৮-১২-২০২০ইং। টেন্ডার ওপের করার পর নির্বাহী প্রকৌশলীর মনোনীত ঠিকাদার জনৈক শিমুল কাজ না পাওয়ায়, কাজটি রি-টেন্ডার করা হয়। এ বিষয়ে সাংবাদিক মোবারক বিশ্বাস নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন এর কাছে রি-টেন্ডারের কারন মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি ফোন কেটে দেন। পরবর্তিতে আরেকটি নাম্বার থেকে ফোন দিয়ে পরিচয় দিলে তিনি আবারও ফোন কেটে দেন। বার বার তাকে ফোন দেওয়ার কারনে, আজ তার অফিসে গেলে তিনি প্রতিশোধ পরায়ন হয়ে এমন আচরন করেন।
রি-টেন্ডার হওয়া সেই কাজ এর বিষয়ে খোঁজ নিয়ে জানা যায়, সরকারী সকল নিয়ম মেনে খান কর্পোরেশন নামের একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান টেন পার্সেন্ট লেসে কাজ পায়। নির্বাহী প্রকৌশলীর মনোনীত ঠিকাদার শিমুল কাজ না পাওয়ায়, খান কর্পোরেশন এর প্রতিনিধিকে ৫ লাখ টাকার বিনিময়ে কাজটি বিক্রি করে দিতে বলেন অফিসের এস্টিমেটর হেদায়েত করিম। যা কোন ভাবেই নিয়মনীতির মধ্যে পড়ে না এবং অনিয়মের শামিল। কাজ বিক্রি করা না হলে রি-টেন্ডারের হুমকি দেন। খান কর্পোরেশন এর প্রতিনিধি বিষয়টি নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন কে অবগত করলে, তিনি এস্টিমেটর হেদায়েত করিম যা বলবে সেই মোতাবেক কাজ করতে বলেন, তা না হলে রি-টেন্ডারের হুমকি দেন। পরে খান কর্পোরেশন এর পাওয়া কাজ রি-টেন্ডার করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন। আরো জানা যায়, টেন্ডারের আগেই নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেনের সাথে বিশেষ যোগাযোগের মাধ্যমে ৩টি কাজের মধ্যে দুটি নির্মান কাজ শেষ করেন জনৈক ঠিকাদার শিমুল। এ কারনে কাজ পাওয়া খান কর্পোরেশনকে কাজটি বিক্রি করে দিতে এস্টিমেটরকে মিডিয়া হিসাবে ব্যবহার করেন নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন। খান কর্পোরেশন কাজটি বিক্রি না করায় পরে তা রি-টেন্ডার করেন, নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন। রি-টেন্ডারে ইতি কর্পোরেশন নামে একটি প্রতিষ্ঠান কাজ পেলেও পরে তা শিমুল ঠিকাদার কিনে নেন। এই রি-টেন্ডার বিষয়ে তদন্ত করা হলে নির্বাহী প্রকৌশলীর অনিয়মের সকল তথ্য বেরিয়ে আসবে। নির্বাহী প্রকৌশলী মোঃ মেহেরাজ হোসেন এর অনিয়ম ও স্বেরাচারী আচরনের কারনে ওই প্রতিষ্ঠানের সকল ঠিকাদারের মধ্যে চাপা ক্ষোভ বিরাজ করছে। সেই সময়ে এস্টিমেটর হেদায়েত করিম কাজ বিক্রি করে দেওয়া এবং দর দাম ঠিক করার জন্য খান কর্র্পোরেশনের প্রতিনিধির সাথে কথোপকথন আমাদের প্রতিনিধির কাছে সংরক্ষিত আছে। যা যথা সময়ে প্রকাশ করা হবে। একজন অফিসের এস্টিমেটর টেন্ডারে কাজ পাওয়া প্রতিষ্ঠানকে কাজ বিক্রি করে দিতে বলেন কিভাবে, প্রশ্ন অন্যান্য ঠিকাদারদের। কাজ বিক্রি না করায় রি-টেন্ডার করা হয়। আগামীতে জনস্বাস্থ্য প্রকৌশলী কার্যালয়ের সকল অনিয়ম প্রমানসহ পাঠকদের মাঝে তুলে ধরা হবে।