সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৮:০৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
জুয়েল ইসলাম, তারাগঞ্জ রংপুর:
শরতের বাতাসে দোল খাচ্ছে দিগন্ত বিস্তৃত রোপা আমন ধানের সবুজ ক্ষেত। রংপুরের তারাগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন ইউনিয়নে এই মনোরম দৃশ্য দেখা যাচ্ছে। উপজেলায় এবারের মৌসুমে আমন ধানের বাম্পার ফলনের আশা করছেন চাষিরা উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদফতর স্বাধীন মতকে জানিয়েছে, অনুকূল আবহাওয়া এবং রোগবালাই ও পোকামাকড়ের আক্রমণ না থাকায় সেই সম্ভাবনা জেগেছে। ধান চাষিরা উল্লেখ করেন, গত বছরের তুলনায় শুরুর দিকে এ বছর বৃষ্টিপাতের হার কম হওয়ায় ক্ষেতে সেচসহ অন্যান্য খরচ তুলনামুলক বেশি। তারপরও মৌসুমের শেষের দিকে একটু বৃষ্টি হওয়ায় শেষ মৌসুমে এসে একটু খরচ কমেছে। একইসঙ্গে বৃষ্টির পানির সুবাদে ধানের প্রবৃদ্ধি আশাব্যঞ্জক। ফলনের পর ভালো দাম পাওয়ার ব্যাপারেও আশাবাদী চাষিরা। উপজেলার ইকরচালী ইউপির সাতঘড়ি পাড়া গ্রামের ধান চাষি যতিন্দ্রনাথ রায় এবার ছয় বিঘা জমিতে আমন ধানের চাষাবাদ করেছেন। তিনি স্বাধীন মতকে বলেন, এবার ধান লাগার সময় আকাশের তেমন বৃষ্টি হয়নি। যার কারণে মটর (বিদ্যুৎ চালিত) পাম্প দিয়ে এবার ধান লাগাতে হয়েছে। তাতে করি বিঘা প্রতি ৪-৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে আমার। আশা করছি, প্রতি বিঘায় ১৮-২০ মণ ধান পাবো। কমরপাড়া গ্রামের ধান চাষি মো. আলোম মিয়া বলেন, ‘এবার সাড়ে তিন বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছি। আমি নিজেই ক্ষেতের পরিচর্যা করি। পাশাপাশি কিছু শ্রমিক নেওয়া লাগে। এ বছর আবহাওয়া আমাদের অনুকূলে থাকায় ধান যথেষ্ট ভালো। আশা করছি, ফলনও ভালো হবে। ধান চাষি মাসুদ রানা বললেন, এবার তিন বিঘা জমিতে ধানের আবাদ করেছেন। তিনিও একই আশার কথা শোনালেন, ‘আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় ধানের চেহারা বেশ ভালো। উপজেলার রামপুরা গ্রামের ধান চাষি আনছার আলী পাঁচ বিঘা জমিতে আমন ধানের আবাদ করেছেন। এবার ভালো লাভের আশা আছে তার। তিনি উল্লেখ করেন, ‘ধান চাষে আমার বিঘাপ্রতি খরচ হয়েছে প্রায় সাড়ে চার হাজার টাকা। আশা করছি, এবার প্রতি বিঘা থেকে ১৫-২০ মণ করে ধান পাবো। উপজেলা কৃষি অফিসার উর্মি তাবাসসুম বলেন, তারাগঞ্জে এবার ৯ হাজার ৯শত ৪২ হেক্টর জমিতে আমন ধানের আবাদ হয়েছে। যা শতভাগ লক্ষ্যমাত্রা পূরণে সক্ষম হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘এবার মাঠের অবস্থা বেশ ভালো। পোকা মাকড়ের আক্রমণ কম। তাই ধানের তেমন কোনও রোগবালাই নেই। ফলে এবার ধানের ফলন ভালো হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে। ধানের বর্তমান অবস্থা দেখে মনে হচ্ছে, কৃষকরা এবার অত্যন্ত লাভবান হবে।