শনিবার, ১৯ অক্টোবর ২০২৪, ০৯:৩০ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার পিলখানা হত্যাকান্ড দেশের স্বাধীনতা সার্বভৌমত্ব ধ্বংস করে দিয়েছে-রাকিন আহমেদ পাঁচবিবিতে বিএনপির দুই গ্রুপের প্রতিবাদ সমাবেশ ঘিরে প্রশাসনের ১৪৪ ধারা জারি শেরপুর জেলা আ’ লীগের সিনিয়র সহ সভাপতি চন্দন কুমার পাল আটক পাবনায় মানবকল্যাণ ট্রাস্টের ৪ শিক্ষার্থী এইচএসসি পরীক্ষায় উত্তীর্ণ রাজশাহী মহানগরীতে বিপুল পরিমান গাঁজা-সহ মাদক কারবারী গ্রেফতার পুনাক ও রাজশাহীর ক্ষদ্র উদ্যোক্তাদের পণ্য বিক্রয় কেন্দ্রের উদ্বোধন পাবনায় সাদ্দামের নেতৃত্বে সন্ত্রাসী হামলায় ছুরিকাঘাতে ৩জন আহত একজনের অবস্থা আশংকাজনক সিরাজগঞ্জে ইজিবাইক চালককে হত্যা করে গাড়ি ছিনতাই আটক দুই কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে হত্যা মামলার আসামী গ্রেফতার

আমরা ন্যায়বিচার পেয়েছি:ড. তাহেরের মেয়ে

Reading Time: < 1 minute

মাসুদ রানা রাব্বানী,রাজশাহী:
রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) ভূ-তত্ত¡ ও খনিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ড. এস তাহের আহমেদ হত্যা মামলায় দুই খুনির ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় প্রথমেই মহান আল্লাহর কাছে শুকরিয়া আদায় করেছেন তার মেয়ে সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ।
তিনি বলেন, এই ফাঁসি কার্যকরের মাধ্যমে আমরা ন্যায়বিচার পেলাম।
এর জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর ছয় মাস অপেক্ষা করতে হয়েছে। দীর্ঘ এ প্রতীক্ষা আমাদের কীভাবে কাটতে হয়েছে তা আর কীভাবে বলবো! তবে এত বছর পরও আমার বাবার হত্যাকারীদের ফাঁসির রায় কার্যকর হওয়ায় আমরা সন্তুষ্ট।এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী, আইনজীবী, বিচারক এবং সর্বোপরি সরকারের কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই।সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বলেন, আমরা তো বাবাকে বাবা বলে ডাকতে পারিনি। বাবাকে স্পর্শ করতে পারিনি। এই চাপা কষ্ট আর কান্নার কথা কাউকে কীভাবে বলবো। এই নিদারুণ কষ্ট কোনো দিন ভুলবার নয়। আমার বাবাকে ২০০৬ সালে নির্মমভাবে হত্যা করে ম্যানহলের মধ্যে ফেলে দেওয়া হয়েছিল। কী দোষ ছিল আমার বাবার? কেন এমন নির্মমতা?ড. তাহেরের মেয়ে সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ বলেন, আমি এই দীর্ঘ বিচার প্রক্রিয়া কার্যকরে নিরপেক্ষভাবে সহযোগিতা করায় সংশ্লিষ্ট আইনজীবী, পুলিশ কর্মকর্তা, গণমাধ্যমকর্মীদের আন্তরিকভাবে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। আমি মনে করি, আইন, আইনের গতিতেই চলেছে। এজন্য দেরিতে হলেও ন্যায়বিচার বিচার প্রতিষ্ঠিত হয়েছে। আমরা এজন্য সংশ্লিষ্ট সবার কাছে কৃতজ্ঞতা জানাই। হয়তো এত দিনে আমার বাবার আত্মা শান্তি পাবে।সেগুফতা তাবাসসুম আহমেদ ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে প্রথম বর্ষের ছাত্রী ছিলেন। বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে পড়ার সময় স্বপ্ন ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থায় কাজ করবেন। বিশ্ব ভ্রমণ করবেন। তবে বাবার নির্মম হত্যার বিচারের জন্য দীর্ঘ ১৭ বছর ঘুরতে হয়েছে আদালত প্রাঙ্গণ। তিনি ২০০৫ সালে ব্র্যাক বিশ্ববিদ্যালয়ে আইনে ভর্তি হন। প্রথমে বাবাও সায় দেন। এরপর তার বাবাকে যখন হত্যা করা হলো, তখন তিনি প্রথম বর্ষের শিক্ষার্থী ছিলেন। মনে অনেক স্বপ্ন ছিল। ইচ্ছে ছিল আন্তর্জাতিক সংস্থা ইউএনডিপি বা অন্য কোথাও কাজ করবেন। শিক্ষক হবেন। কিন্তু শেষ পর্যন্ত বাবা হত্যার বিচারের জন্য লড়াই করতে হয়েছে দীর্ঘ সময়।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com