রবিবার, ২৭ অক্টোবর ২০২৪, ১১:২৬ অপরাহ্ন

News Headline :
ডিমের মূল্যের ঊর্দ্ধগতিতে মধ্যস্বত্ব ভোগীরা বড় সমস্যা- মৎস্য ও প্রাণি সম্পদ উপদেষ্টা কুষ্টিয়ায় বাউল সম্রাট ফকির লালন শাহ এর ১৩৪তম তিরোধান দিবস ২০২৪ উদযাপনের আজদ্বিতীয় দিন ইবিতে পরীক্ষা দিতে এসে তোপের মুখে ছাত্রলীগ নেতা কুষ্টিয়ায় র‌্যাবের অভিযানে লালন মেলা হতে চুরি হওয়া ১৬টি মোবাইল ফোন উদ্ধার ন্যায় বিচার পেলে আওয়ামী লীগের জীবনের স্বাদ মিটে যাবে-নওগাঁ জামায়াত আমির রাবি’তে পরীক্ষা দিতে এসে ছাত্রলীগের ২ নেতা গ্রেফতার ফুলবাড়ীতে বিএনপি‘র দুই গ্রুপের সংঘর্ষে আহত ২ পাবনার ঈশ্বরদীতে সন্ত্রাসীদের গুলি ল্যাংড়া বিপু গুলিবিদ্ধ পাবনায় স্বপনের অফিস ভাংচুর করলেন শিমুল সমর্থক হামলা-পাল্টা হামলা পাবনা র‌্যাবের অভিযানে পর্নগ্রাফি মামলার পলাতক আসামী গ্রেফতার

ইজারাদার পরিচ্ছন্নকর্মী! কৌশলে ভোগ করেন ইউএনও

Reading Time: 2 minutes

নিজস্ব  সংবাদদাতা, রাজশাহী
রাজশাহীর পুঠিয়া উপজেলা পরিষদের আম বাগান ইজারা ঘিরে নানা অনিয়ম ও দূর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। খাতা-কলমে পরিষদের একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর নামে তিন বছরের জন্য ফলজ বাগান ইজারা দেখালেও ভোগ দখল করছেন নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ। পরিষদের সংশ্লিষ্ঠরা বলছেন, সরকারি নিয়মকে বৃদ্ধাগুলি দেখিয়ে ইউএনও কৌশলে নামমাত্র মূল্যে তা ভোগ দখল করছেন। যা সরকারি বিধি পরিপন্থী। এতে করে প্রতিবছর সরকার কয়েক লাখ টাকা রাজস্ব বঞ্চিত হচ্ছে। উপজেলা পরিষদের তথ্যমতে, পরিষদের মধ্যে প্রায় ৫ একর আম বাগান রয়েছে। এছাড়া আবাসিক এলাকায় আরো শতাধিক আমের গাছ রয়েছে। সেই সাথে ডাব-নারিকেলের গাছও রয়েছে শতাধিক। গত বছর সকল ফলের বাগান মাত্র ৭০ হাজার টাকায় সুনিল চন্দ্র নামের একজনকে তিন বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়েছে। নিজাম উদ্দীন নামের একজন মৌসুমি আম ব্যবসায়ি বলেন, পরিষদের মধ্যে আম বাগানসহ যত ফলজ গাছ রয়েছে এগুলো প্রকৃত ডাক হলে তিন বছরে ইজারা ম্যূ হবে কমপক্ষে ৬-৭ লাখ টাকা। অথচ এগুলো প্রকাশ্যে ডাকে ইজারা দেন না। অফিসাররা বাগানের আমগুলো নিজেদের কর্মচারি দিয়ে ভেঙ্গে সেগুলো বাজারে বিক্রি করেন। নাম প্রকাশ না করা শর্তে উপজেলা পরিষদের একজন কর্মকর্তা বলেন, বিগত সময়ে পরিষদের ফল বাগানগুলো সরকারি বিধি মোতাবেক প্রকাশ্যে ডাকের মাধ্যমে ইজারা দেয়া হতো। তবে বর্তমান ইউএনও এখানে যোগদানের পর থেকে তিনি অনিয়ম করে কৌশলে সকল ফল বাগান নিজে ভোগ করছেন। আর গোপনে একজন পরিচ্ছন্নকর্মীর নামে তিন বছরের ইজারা দেখিয়েছেন। আবার খাতা-কলমে ইজারা মূল্য দেখিয়েছেন অর্ধলক্ষ টাকার কিছু বেশী। ওই কর্মকর্তা বলেন, যে পরিচ্ছন্নকর্মীর নামে বাগান ইজারা দেয়া হয়েছে হয়তো তিনি নিজেই জানেন না। ফল বাগান ইজারদার ও পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মী সুনিল চন্দ্র বলেন, শুনেছি বাগানগুলো আমার নামে নাকি ডাক হয়েছে। তবে এর চেয়ে বেশী কিছু বলতে পারবো না। আম বাগানসহ বিভিন্ন ফলগুলো কে ভোগ দখল করছে এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ‘আমি পরিষদে ছোট পদে চাকুরি করি’ আর এ বিষয়ে কোনো জবাব দিতে চাচ্ছি না।
তবে এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নুরুল হাই মোহাম্মদ আনাছ পিএএ বলেন, বিগত সময়ে এই ফল বাগানগুলো বারোভূতে খেত। তিনি যোগদান করার পর নিয়মানুসারে সরকার রাজস্ব পাচ্ছেন। নামে পরিষদের পরিচ্ছন্নকর্মী আর ভোগ করছেন ইউএনও এমন প্রশ্নে তিনি বলেন, ওই পরিচ্ছন্নকর্মী পরিষদের কেও না। সে অস্থায়ী একজন কর্মী।
এ ব্যাপারে পুঠিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জি এম হিরা বাচ্চু বলেন, যদ্দুর জানি নিয়মানুসারে ইজারা প্রক্রিয়া করা হয়েছে। পরিষদের কর্মকর্তা বা কর্মচারিরা গোপনে বা কৌশলে ইজারা নিতে পারেন কিনা জানতে চাইলে তিনি বলেন, এ বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com