বুধবার, ৩০ অক্টোবর ২০২৪, ১০:১৮ অপরাহ্ন
Reading Time: 2 minutes
মাসুদ রানা রাব্বানী, রাজশাহী:
আসন্ন ঈদ আযহাকে সামনে রেখে সক্রিয় হয়ে উঠেছে রাজশাহী সীমান্ত এলাকার চোরা কারবারি ও মাদক ব্যবসায়ীরা।
মজুদ বাড়াতে সক্রিয় মাদক ব্যবসায়ীরা। সীমান্ত দিয়ে আসছে মাদকের বড় বড় চালান। প্রতিদিন ভারত থেকে কোটি টাকার হেরোইন, ফেন্সিডিল, গাঁজা ও বিভিন্ন ব্র্যান্ডের মদ আসার পর রাজধানী ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে তা সরবরাহ হচ্ছে। আর এ সকল মাদক বহন কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে, পণ্যবাহি ট্রাক, যাত্রীবাহি বাস, মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেল।
পদমার চরে এবং সিমান্ত এলাকায় কয়েক হাজার মাদক কারবারি মাদক পাচারে সক্রিয় রয়েছে।
মাদক কারবারিদের একটি সূত্র জানায়, মাদক পাচারের নিরাপদ রুট হিসেবে গোদাগাড়ী, সাহেবনগর, মানিকচক, কোদালকাটি, আলাতুলি বগচর, হাকিপুর, সুইজগেট, কামারপাড়া, সুলতানগঞ্জ, সারাংপুর, ভগবন্তপুর, হাটপাড়া, বারুইপাড়া, রেলবাজার, মাদারপুর, মাটিকাটা, সিএন্ডবি আঁচুয়া, গড়ের মাঠ, রেলগেট বাইপাস, বিদিরপুর, প্রেমতলী, ফরাদপুর, রাজাবাড়ী, খরচাকা, নির্মলচর, পবার সোনাইকান্দি, গহমাবোনা, হরিপুর, হাড়–পুরসহ অজানা অনেক গ্রামঞ্চলে হাত বাড়ালেই মেলে মাদক। তবে এই সকল মাদকের মূল হোতারা অজ্ঞাত কারনে থাকছে ধরা ছোয়ার বাইরে।
সূত্রে জানা যায়,মাদকের রাজধানী গোদাগাড়ী সীমান্তে শুধু হেরোইন পাচারের সঙ্গে ৫ শতাধিক চোরাচালানি জড়িত রয়েছে। এরা অল্প সময়ের ব্যবধানে কোটিপতি হয়েছে।
গোদাগাড়ীতে হেরোইন পাইকারি ছাড়াও খুচরাভাবে বিক্রি হয়। হেরোইন, ফেন্সিডিল ও গাঁজার কারবার চালাতে পুলিশ ও রাজনৈতিক নেতাদের সাথে রয়েছে তাদের গোপন আতাত। গোদাগাড়ী থানা পুলিশের পরোক্ষ মদতে মাদক কারবারিরা বেশি সক্রিয় বলে স্থানীয়দের অভিযোগ। তাদের দাবি নিয়মিত মাসোহারা দিয়ে ধরাছোঁয়ার বাহিরে থাকে মুলহোতারা। মাদক কারবারিদের বড় বড় চালান আটক করে র্যাব ও ডিবি পুলিশ। এ ক্ষেত্রে পুলিশের উল্লেখ যোগ্য অভিযান তেমন নেই বললেই চলে। তবে ভারসাম্য রক্ষার্থে মাঝে মাঝে ক্ষুদ্র মাপের মাদক কারবারিকে আটক করেন থানা পুলিশ। মাদকের রাজধানী গোদাগাড়ী সীমান্তের মাদকের বড় চালান ভারত থেকে চোরাই পথে এনে দেশের বিভিন্ন স্থানে পাচার কালে বিভিন্ন আইনশৃঙ্খলা বাহীনির হাতে আটক হয়। অথচ গোদাগাড়ী থানা সেই চালান ধরতে ব্যর্থ!
এই সকল মাদক কারবারিদের মধ্যে গোদাগাড়ী থানার মহিষাল বাড়ি গ্রামের রেলবাজারের মৃত আজিজুল হকের ছেলে তোফায়েল এখন লাগাম ছাড়া। প্রকাশ্যে চালাচ্ছে মাদকের কারবার। তার সহযোগীরা হলো: শুকুদ্দি, মারুফ, সাদ্দাম শাহীন, মিঠুন।এই সকল সহযোগীদের নিয়ে বড় একটি সিন্ডিকেল নিয়ন্ত্রণ করছে তোফায়েল। তারা তাদের মাদক কারবার এলাকার মধ্যে সিমাবদ্ধ রাখেনি। বিভিন্ন যানবাহন যোগে ঢাকা-সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে নিয়মিত পাঠাচ্ছে মাদকের চালান।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে স্থানীয়রা বলেন মাদকের কারবার করে অল্প সময়ের মধ্যে আঙ্গুল ফুলে কলা গাছ হয়েছে তোফায়েল। তার দাপটের ব্যাখা দিতে গিয়ে সাংবাদিকদের অনুরোধ করে বলেন আমাদের নাম প্রকাশ হলে নির্ঘাত মৃত্যু। তাই নাম প্রকাশ না করার জন্য অনুরোধ জানান স্থানীয় কয়েকজন ব্যক্তি।
জানতে চাইলে গোদাগাড়ী মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ কামরুল ইসলাম জানান, মাদক কারবারি তোফয়েল থানার তালিকাভূক্ত মাদক কারবারি। কিছুদিন আগে তাকে গ্রেফতার করে কারাগারে পাঠানো হয়েছিলো। জামিনে মুক্ত হয়ে আবারও মাদকের কারবার করছে শুনেছি। তাকে নজরদারীতে রাখা হয়েছে। মাদকসহ পেলে তাকে গ্রেফতার করা হবে বলেও জানান ওসি।