শম্পা দাস ও সমরেশ রায়, কলকাতা থেকে :
বারে বারে স্কুল ছুটি বৃদ্ধি অর্থনৈতিক বদলি ৩২ হাজার শিক্ষককে বাতিলের বিরুদ্ধে,…. আজ বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতি বিক্রম মিছিল করলেন। আজ ২ জুন শুক্রবার, বঙ্গীয় প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির ডাকে, কলেজ স্কোয়ারে সমস্ত শিক্ষকেরা জমায়েত হন এবং সেখান থেকে বেলা দেড়টার সময় এক বিক্ষোভ মিছিল বের করেন এবং মিছিল এস এন ব্যানার্জি রোড হয়ে ধর্মতলা রানী রাসমণি রোডে এসে শেষ হয়।, অনেক আগেই থেকে প্রশাসন প্রস্তুত ছিল এবং মিছিলের সাথে সাথে পায়ে হাঁটেন, কোনরকম গন্ডগোল বা দুর্ঘটনা যাতে না ঘটে, প্রায় একশোরও বেশি শিক্ষকেরা এই মিছিলে অংশগ্রহণ করেন..। তাদের দাবী গরমের অজুহাতে দীর্ঘ বাহান্ন দিন স্কুল ছুটি, ছাত্র কম থাকার অজুহাতে হাজার হাজার শিক্ষককে বদলি, কোন তদন্ত ছাড়ায় নিয়োগ দুর্নীতিতে ৩২ হাজার শিক্ষককে বাতিলের মধ্য দিয়ে শিক্ষক সমাজকে কলঙ্কিত করা এবং শিক্ষা ব্যবস্থা ধ্বংসকারী নীতির বিরুদ্ধে আজকের এই মিছিল বিক্ষোভ, আজকের মিছিলে ও সভায় বক্তব্য রাখেন বঙ্গীয় শিক্ষক সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দা হান্ডা, বিকাশ নস্কর, দীপঙ্কর মাইতি, শতীস সাউ, সমীর বেরা প্রমুখ নেতৃবৃন্দ, পাশাপাশি মুখ্যমন্ত্রীকে একটি স্মারকলিপি দেন, তারা জানান এ বছরের গড়ায় সরকার ৮২৩৭টি বিদ্যালয় তুলে দেওয়ার তালিকা প্রকাশ করেছিল, তার আগে শিক্ষাক্ষেত্রে পিপিপি মডেল চালু করার পরিকল্পনা ঘোষণা করেছিল, প্রবল জমায়েত এর চাপে তার কোনটাই কার্যকরী হয়নি।। লক্ষনীয় যে সম্প্রতি নিয়োগ দুর্নীতি মামলায় হাইকোর্টে ১৫ দিন শুনানি হলেও, সরকার কোনো রকম সহযোগিতার না করে নিরত্তর থেকেছে,, অনুরূপভাবে গরমের অজুহাতে বারবার ছুটি বৃদ্ধি, নিশ্চিতভাবেই শিক্ষা সার্থবিরোধী এবং অর্থনৈতিক দীর্ঘ ছুটির ফলে ছাত্রছাত্রীরা পড়াশোনার অমনোযোগী হবে স্কুল ছুট বাড়বে এবং পরিণতিতে বিদ্যালয়ের ছাত্রের অভাব ঘটবে,, সমিতির সাধারণ সম্পাদক আনন্দা হান্ডা অভিযোগ করে বলেন, সরকার বদল হলেও শিক্ষা নীতির পরিবর্তন হয়নি সরকারের ভ্রান্ত শিক্ষানীতির জন্য আজ স্কুলগুলো ছাত্র বিনে ধুকছে আর তার সব দায় শিক্ষকদের ঘাড়ে চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে। তাই আজকের এই বিক্ষোভ সমাবেশ থেকে তিনি সরাসরি শিক্ষাব্যবস্থা এবং শিক্ষকদের মান মর্যাদা রক্ষায় সর্বোতরে শিক্ষক সমাজকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানান। এবং অবিলম্বে তাড়াতাড়ি এই সকল ভ্রান্ত নীতি দূর করতে হবে।