শুক্রবার, ২১ নভেম্বর ২০২৫, ০২:০১ অপরাহ্ন

News Headline :
পাবনায় “তারুণ্যের উৎসব ২০২৫”: আন্তঃকলেজ ফুটবল টুর্নামেন্টের মধ্য দিয়ে নবাগত জেলা প্রশাসকের কর্মদিবস শুরু!! গোবিন্দগঞ্জে ত্যাগী নেতাদের মাঝে বিএনপির চূড়ান্ত মনোনয়ন দেওয়ার দাবিতে বিক্ষোভ ১২০ শিক্ষার্থীদের পথচলা পুরাতন কাঠের তৈরি সাঁকো ভাঙ্গলেই সমস্যা হবে শেরপুরে নোবেল বিজয়ী প্রতিষ্ঠান গ্রামীণ ব্যাংকে দুর্বৃত্তদের আগুন লাগানোর চেষ্টা মাদক সমাজের ক্যান্সার এটা প্রতিরোধে প্রশাসনের অনিহা-শিমুল বিশ্বাস গণমাধ্যমে বিকৃত তথ্য প্রচার ইসলামপুরে বিএনপি মনোনীত প্রার্থীর পক্ষ থেকে প্রতিবাদী ব্রিফিং কৃষি অফিসের সামনে থেকে প্রণোদনার সার-বীজ পাচার রাজনৈতিক দলের পদধারী কেউ প্রেসক্লাবের কার্যনির্বাহী কমিটির কোনো পদে থাকতে পারবে না-সারজিস আলম গাবতলীতে এইচএসসি পরীক্ষা কেন্দ্রের দাবিতে শিক্ষার্থীদের রাস্তা অবরোধ এই জনপদকে যারাই পদদলিত করেছে বাঙ্গালি তাদের বিরুদ্ধে রুখে দাড়িয়েছে-শিমুল বিশ্বাস

কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল !

Reading Time: < 1 minute

মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ নীলফামারী :
নীলফামারী কিশোরগঞ্জের গ্রামীণ দৃশ্যপট থেকে হারিয়ে যাচ্ছে শরতের কাশফুল।রিমঝিম বর্ষার পরেই ভাদ্র-আশ্বিন জুড়ে শরৎ কালের রাজত্ব।বয়োজ্যেষ্ঠরা জানান,প্রাচীনকাল থেকে প্রকৃতির ইশারায় ঘাস জাতীয় ছন উদ্ভিদ শরৎকাল এলেই জেগে ওঠে গাঁয়ের নদী,ঝোপ,ঝাড়,রাস্তার আনাচে-কানাচে প্রভূতি স্থানে। তখন সাদা ধব ধবে কাশফুলের মন মাতানো হিল্লোল দোল দিয়ে যায় সবার মনে।কিন্তু কালের আয়নায় শরতের কাশফুল হারিয়ে যাচ্ছে।শরতের সুনিপুণ নীল আকাশের নিচে কাশ ফুলগুলো যখন দোল খায় একটার সঙ্গে আরেকটা,এমন মুহূর্তে কাশফুলের রোমাঞ্চকর নরম ছোঁয়ায় আবালবৃদ্ধবনিতাদের হৃদয়ের শিহরণ জাগে। নিকট ও অতীতেও গাঁও গ্রামে বিচ্ছিন্নভাবে থাকা যে, কয়টি কাশবন চোখে পড়ে সেগুলোও প্রকৃতি থেকে হারিয়ে যাচ্ছে।।সময়ের পরিক্রমায় সেখানে এখন বিভিন্ন ফসলের মাঠ,বড় বড় ইমারত,শহর বন্দর।প্রকৃতির প্রতি উদাসীন মানুষের রুচি যে, আজ অরুচিতে রূপান্তরিত হয়েছে। তাদের নির্মম আচরণের দরুন তপ্তজলে ভরে উঠেছে শরতের দুই চোখ।মানুষ যদি প্রকৃতির অনিষ্ট সাধনে আগ্রহী হতে থাকে তাহলে একদিন হয়ত শরতের সাদা ফুলের সঙ্গে আমাদের আর দেখা হবে না। হবে না কোন কথাও। আর শরৎ কে নিয়ে কবি সাহিত্যিকগণও হারিয়ে ফেলবে তাদের কাব্যিক ভাষা। তখন শরৎকে খুঁজতে হলে উল্টাতে হবে বইয়ের পাতা।আর এতে সাধারণ মানুষের বিনোদন-প্রকৃতিতে দেখার শখ-আহ্লাদও হারিয়ে যাবে। এ ছন গোত্রীয় উদ্ভিদ কাশবন চাষে বাড়তি পরিচর্যা ও সার প্রয়োগের প্রয়োজন হয়না।আপনা থেকে কাশবনের সৃষ্টি হয়ে থাকে।কাশফুল শুধু শুভ্রতার প্রতীকও নয়,কাশবনের চারাগাছ একটু বড় হলেই গরু-মহিষের খাদ্য হিসেবে ব্যবহার করা যায়। কাশ দিয়ে গ্রামের বধূরা ঝাটা, ডালি, দোন তৈরি করে। কৃষকের ঘরের ছাউনি হিসেবেও এর ব্যবহারের জুড়ি নেই। এ উপজেলার কিছু নদী, সেচ ক্যানেল,সড়কের ধারে কাশবন দেখা মিলে। তখন কাশফুলের নরম স্পর্শে মনের বাগিচায় হারিয়ে যায় অনেকে।ফিরে পায় চিরায়িত গ্রাম বাংলার অতীত ঐতিহ্য।

Please Share This Post in Your Social Media

Design & Developed BY Hostitbd.Com