সোমবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মিজানুর রহমান, কিশোরগঞ্জ নিলফামারী:
একমাত্র আগাম আলু চাষে চমকপ্রদ হিসেবে খ্যাত নীলফামারী কিশোরগঞ্জ উপজেলার মাঠের পর মাঠ উচুঁ সমতল ভূমিতে আগাম আলু চাষে চলছে বিশাল কর্মযজ্ঞ।জানা গেছে, চলতি বছর ৪ হাজার ১৪০ হেক্টর জতিতে আগাম আলু চাষের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হয়েছে।স্বল্পমেয়াদী আউশ,আগাম আমন ধান কাটা মাড়াই শেষ করে সেই জমিতে আগাম জাতের আলু রোপণের জন্য হিমাগার থেকে বীজ সংগ্রহ,জমি প্রস্তত,সুষম মাত্রায় সার প্রয়োগ,আলু রোপণে ব্যস্ত সময় পার করছেন প্রান্তিক ও মাঝারি চাষীরা। বিশেষ করে সময়ের আগে এ অঞ্চলে আগাম আলু রোপণকে ঘিরে যেন প্রাণচাঞ্চল্য ফিরে এসেছে কৃষকের মাঠজুড়ে।বৃহস্পতিবার সরেজমিনে বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা গেছে,কৃষকের উঠোনে ধানের স্তপ আর মাঠে মাঠে চলছে আলু রোপণ ও জমি প্রস্ততের কাজ।এ সময় রণচন্ডী ইউপি’র কুটিপাড়া গ্রামের আলু চাষী আঃ হাই জানান,গত বছর ধান কাটার পর ১ একর জমির আলু ৮০টাকা কেজি বিক্রি করে প্রায় অর্ধেক লাভ হয়েছে। এবারো ৮০শতাংশ জমিতে ৫৫ থেকে ৬০দিনে উত্তোলন যোগ্য সেভেন জাতের আলু রোপণ করছি বেশি লাভের আশায়।বাহাগিলী ইউপি’র উঃ দুরাকুটি গ্রামের আদর্শ আলু চাষী লাল বাবু বরাবরের মত এবারো ১২ বিঘা,শামীম হোসেন বাবু ২৪ বিঘা জমিতে আগাম আলু রোপন করছেন।তারা জানান,যার আলু যত আগে উঠবে সে কৃষক তত লাভবান হবেন।আর এ এলাকার মাটি উঁচু এবং বালু মিশ্রিত হাওয়ায় বড় ধরনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত না হলে আগাম আলু চাষে তেমন কোন ভয় থাকে না।ফলন কম হলেও রাজধানিসহ বিভিন্ন বিভাগীয় শহরে চড়া দামে আলু বিক্রি করে লাভবান হওয়া যায়। কৃষি অফিসার হাবিবুর রহমান জানান, এ উপজেলার মাটি আগাম চাষে খুবেই উপযাগী।আবহাওয়া অনূকুলে থাকায় চাষীগণ আগাম আলুর বাজার ধরার প্রতিযোগিতা মাঠে নেমে পড়েছেন।ধানে ভাল দাম পাওয়ার পাশাপাশি বরাবরের মত এবারো আগাম আলুতে ভাল লাভবান হবেন। আর মাঠ পর্যায়ে বিভিন্ন ব্লকের উপ-সহকারী কৃষি অফিসারগণ আলু চাষে কৃষকদের সার্বিকভাবে পরামর্শ দিচ্ছেন।