মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০৫:২৮ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
রাশেদুল ইসলাম, কুষ্টিয়া:
অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল সচেতনতা সপ্তাহ উপলক্ষ্যে বৃহস্পতিবার সকাল ১০ টায় কুষ্টিয়া জেলা প্রশাসকের সম্মেলন কক্ষে ঔষধ প্রশাসন অধিদপ্তরের কুষ্টিয়া কার্যালয়ে কর্মরত সহকারী পরিচালক মোঃ আব্দুল্লাহ আল মামুনের সভাপতিত্বে এক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন স্থানীয় সরকার বিভাগের উপ-পরিচালক আরিফ উজ জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট নাসরিন বানু। বক্তব্য রাখেন জেলা শিক্ষা অফিসার রমজান আলী আকন্দ, জেলা প্রাণী সম্পদ কর্মকর্তা ডা: সিদ্দিকুর রহমান, ড্রাগ ও কেমিষ্ট সমিতির সভাপতি হাজী রফিকুল আলম টুকু, কুষ্টিয়া প্রেসক্লাব কেপিসির সাধারণ সম্পাদক সোহেল রানা। আলোচনা সভায় বক্তারা অ্যান্টিবায়োটিকের যথেচ্ছা ব্যবহার, সামান্য জ্বর ঠান্ডাতে নিজের ইচ্ছায় অ্যান্টিবায়েটিক ব্যবহার করা, অ্যান্টিবায়েটিক কোর্স শেষ না করা, বিভিন্ন সোর্স থেকে যেমন হাঁস, মুরগি, মাছ, মাংস সহ নানাভাবে শরীরে অ্যান্টিবায়েটিক প্রবেশ করে তা শরীরে রেজিস্ট্যানস হয়ে যাওয়া এবং পরবর্তীতে শরীরে অ্যান্টিবায়েটিক কাজ না করা একটি বড় সমস্যা। যদি এখন থেকে সচেতনতা তৈরী না করা যায়, তাহলে ভবিষ্যতে সামান্য জ্বর ঠান্ডায় মানুষ মারা যাবে। কোন ঔষধ মানুষের শরীরে কাজ করবে না। তাই অ্যান্টিবায়েটিকের ব্যবহারে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়া এবং অ্যান্টিবায়েটিক শুরু করলে কোর্স শেষ করা জরুরী। ঔষধ ফার্মেসীর মালিকদের সচেতন হতে হবে। ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া অ্যান্টিবায়েটিক বিক্রি বন্ধ করতে হবে এবং হাঁস, মুরগি, গরু, ছাগলের ক্ষেত্রে অ্যান্টিবায়েটিক সেবন করা অবস্থায় তাদের বিক্রি এবং জবাই বন্ধ রাখতে হবে। সর্বোপরি সাধারণ মানুষদের সচেতন করে তুলতে হবে। আলোচনা সভায় বিভিন্ন ঔষধ কোম্পানীর প্রতিনিধি, ঔষধ ব্যবসায়ী, প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার সাংবাদিকরা উপস্থিত ছিলেন। আলোচনা সভার আগে সচেতনতা মূলক একটি র্যালি জেলা ঔষধ প্রশাসন কার্যালয় থেকে শুরু হয়ে তা ডিসি কোর্ট চত্বরে এসে শেষ হয়।