মঙ্গলবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৪, ০১:৫০ পূর্বাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি: সিপিসি-১ (কুষ্টিয়া), র্যাব-১২ এর অভিযানে কুষ্টিয়া জেলার দৌলতপুর উপজেলায় দুই ভাই হত্যা মামলার যাবজ্জীবন কারাদন্ড সাজাপ্রাপ্ত পলাতক আসামি সুমন (৩৯) গ্রেফতার।
গত ০৪ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখ বিকেলে কুষ্টিয়া জেলার সদর উপজেলার জগতি এলাকার দুই ভাই মনিরুল (২৪) ও মাসুম (২০)কে অপহরন করে দুবর্ৃৃত্তরা। পরদিন মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার কোদালকাটি মাঠের একটি হলুদ ক্ষেত থেকে মাথায় গুলিবিদ্ধ অবস্থায় দুই ভাইয়ের মরদেহ উদ্ধার করে পুলিশ।
উক্ত হত্যাকান্ডের প্রেক্ষিতে নিহতদের মা বাদী হয়ে কুষ্টিয়ার দৌলতপুর থানায় গ্রেফতারকৃত সুমনকে প্রধান আসামি সহ সাতজনের নাম উল্লেখপূর্বক অজ্ঞাতনামা আসামিদের বিরুদ্ধে হত্যা মামলা দায়ের করে, যার মামলা নং-০৩, তারিখ-০৫/০১/২০০৭, ধারা ৩৬৪/৩০২/৩৪, পেনাল কোড-১৮৬০, জিআর নং-০৩/০৭। উক্ত মামলার তদন্ত শেষে তদন্তকারী কর্মকর্তা আসামিদের বিরুদ্ধে ২০০৭ সালের ১৪ মে আদালতে ধৃত আসামিসহ অন্যান্য আসামিদের বিরুদ্ধে অভিযোগপত্র দাখিল করেন। মামলার বিচারিক কার্যক্রম শেষে ২০২২ সালের ১৯ অক্টোবর কুষ্টিয়ার অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ আদালত-১ এর বিজ্ঞ বিচারক ০৫ জন আসামিকে যাবজ্জীবন কারাদন্ড এবং ২০,০০০/-টাকা জরিমানা করে রায় প্রদান করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই জন আসামি আসাদুল ও মিনাল আদালতে উপস্থিত ছিলেন। সুমন সহ অপর তিন আসামি জামিন হওয়ার পর থেকে পলাতক ছিল। পলাতক সাজাপ্রাপ্ত আসামিদের গ্রেফতারের ব্যাপারে র্যাব উদ্যোগী হয়ে গোয়েন্দা নজরদারি অব্যাহত রাখে।
এরই ধারাবাহিকতায় মোঃ মারুফ হোসেন পিপিএম, অধিনায়ক র্যাব-১২, সিরাজগঞ্জ মহোদয়ের দিকনির্দেশনায় এবং র্যাব সদর দপ্তরের গোয়েন্দা শাখা ও সংশ্লিষ্ট ব্যাটালিয়নের সহযোগিতায় সিপিসি-১, কুষ্টিয়া ক্যাম্প, র্যাব-১২ এর অভিযানে গত রাত ১১.০০ ঘটিকায় আশুলিয়ার কুরগাঁও এলাকা হতে উক্ত হত্যা মামলার ১নং পলাতক আসামি সুমন (৩৯), পিতা-আনারুল ইসলাম পাইলট, সাং-খলিসাকুন্ডি বাজারপাড়া, থানা-দৌলতপুর, জেলা-কুষ্টিয়া’কে আত্মগোপনে থাকা অবস্থায় গ্রেফতার করা হয়। উক্ত হত্যা মামলার বাকি পলাতক আসামিদের গ্রেফতারে র্যাবের অভিযান অব্যাহত আছে। গ্রেফতারকৃত আসামিকে আদালতে প্রেরণ করতঃ পরবর্তী আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের কার্যক্রম প্রক্রিয়াধীন।
স্বাক্ষরিত-মোহাম্মদ ইলিয়াস খান, স্কোয়াড্রন লীডার. কোম্পানী কমান্ডার, র্যাব-১২, সিপিসি-১, কুষ্টিয়া।