# অপরাধ ঢাকতে সাংবাদিকের ক্যামেরা কেড়ে নিয়ে তথ্য মুছে দিলেন যুগ্মকর কমিশনার উৎপল কুমার দাশ
নিজস্ব সংবাদদাতা, কুষ্টিয়া:
কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কর কমিশন অফিস এখন দূর্নীতির অভয়ারন্য। এমন তথ্যের ভিত্তিত্বে সংবাদ সংগ্রহে গেলে সাংবাদিককে লাঞ্চনাসহ ক্যামেরা কেড়ে রাখলেন পরিদর্শক, যুগ্মকর কমিশনার, রেঞ্জ-৪, কুষ্টিয়ার উৎপল কুমার দাস। পরবর্তিতে পুলিশের সহযোগীতার ক্যামেরা ফেরৎ পেলেও তথ্য গুলো মুছে ফেলে দেন অফিস কর্মকর্তারা। ঘটনাটি মঙ্গলবার দুপুর ১.৩০ নাগাদ কুষ্টিয়া বাবরআলী গেল সংলগ্ন চামড়া পট্টিতে অবস্থিত আঞ্চলিক কর কমিশন অফিস কুষ্টিয়াতে ঘেটেছে। এই বিষয়ে কুষ্টিয়া মডেল থানাতে একটি অভিযোগ দ্বায়ের হয়েছে। তারা হলেন, ১) মোঃ ওয়াসিউর রহমান (৩৫), উপ-করকমিশনার, সার্কেল-১৮, কুষ্টিয়া জেলা আয়কর অফিস, কুষ্টিয়া বিবাদী ২) উৎপল কুমার দাস (৪৫),পরিদর্শক, যুগ্মকর কমিশনার, রেঞ্জ-৪, কুষ্টিয়া, সুত্রে জানা যায়, মোঃ আরিফ বিল্লাহ অন্নম(২৭), পিতা-মৃত আনিসুর রহমান, সাং-চাঁদ মোহাম্মদ রোড, থানাপাড়া, থানা ও জেলা কুষ্টিয়া। কুষ্টিয়া থেকে প্রকাশিত দৈনিক সুত্রপাত পত্রিকার স্টাফ রিপোর্টার তার কাছে তথ্য আসে কুষ্টিয়া আঞ্চলিক কর কমিশন অফিসে কোন সার্টিফিকেট নিতে হলে গুনতে হচ্ছে ৫০০ থেকে ৭০০ টাকা। বিষয়টি দৈনিক সুত্রপাত পত্রিকার ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক শেখ নাজমুল হোসেনকে জানালে তার আদেশক্রমে উক্ত অফিসে যান। গিয়ে একজন প্রার্থী হিসেবে সমস্থ ডকুমেন্ট সংগ্রহ করেন। এরপর তথ্য প্রমানসহ পরিদর্শক, যুগ্মকর কমিশনার, রেঞ্জ-৪, কুষ্টিয়ার উৎপল কুমার দাস এর কাছে বক্তব্য নিতে গেলে হয়রানির সিকার হতে হয় তাকে। অভিযোগ সুত্রে জানা যায় যে, ১০/০১/২০২৩ ইং তারিখ সময় অনুমান দুপুর ১.৩০ ঘটিকায়আমি কুষ্টিয়া-১৮ সার্কেল, আয়কর অফিসে একটি প্রত্যয়ন পত্র নেওয়ার জন্য যায়। তখন ১নংবিবাদী বলে প্রত্যয়নপত্র নিতে হলে ৫০০/= টাকা দিতে হবে, নইলে প্রত্যয়নপত্র দেওয়াযাবে না। তখন তিনি ১০০/= টাকা রাজি হয় এবং ১০০/= টাকা বিবাদী তার কাছ থেকে গ্রহণকরার পর বলে প্রত্যয়নপত্র নিতে হলে ৩দিন সময় লাগবে। টাকা নেওয়ার দৃশ্যক্যামেরায় ধারণ করা হয় এবং তার পরিচয় দেওয়ায় বিবাদী বলে প্রত্যয়নপত্র বিষয়ে ২নং বিবাদীরকাছে যেতে বলে। ২নং বিবাদীর কাছে গেলে তিনিসাংবাদিকের সাথে কথা বলতে রাজি হয় না। এক পর্যায়ে ২নং বিবাদী সাংবাদিকের ক্যামেরা জোরপূর্বক কেড়ে নিয়ে অন্যান্য ষ্টাফদের বলে শালাকেবেঁধে রাখ, এ কথা বললে অন্যান্য বিবাদীসহ অফিসের ষ্টাফগণ সাংবাদিক ও তার ক্যামেরাম্যান সাকিবকে ঘর বন্দি সহ কিল-ঘুষি মারে এবং অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ ও তাদের সাথে খারাপ আচণর সহ মারমুখী আচরণ করে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে থানাকে অবগত করিলে পুলিশ যেয়ে তাদের ক্যামেরাটি উদ্ধার করে এবং ক্যামেরাটি হাতে নিয়ে দেখেন যে ধারণকৃত ফুটেজগুলো মুছে দিয়েছে। পরে আরও গণমাধ্যম কর্মীরা সেখানে উপস্থিত হলে বিবাদীগণ তাদের সাথে খারাপ আচরণ করে এবং অফিস ত্যাগ করেন তারা। শুধু তাই নয় বর্তমানে উক্ত বিবাদীগণবিভিন্ন ভয়ভীতি অব্যাহত রেখেছে। সেই সাথে উক্ত বিবাদীগণ যেকোন সময় বড় ধরনের ক্ষতিসাধন করতে পারে বলে আশংখ্যা করছে সাংবাদিকেরা।