মোঃ ইকবাল হোসাইন, কয়রা:
মুজিব শতবর্ষে তিন ধাপে কয়রা উপজেলায় আশ্রয়ণ-২ প্রকল্পের ৯০ টি গৃহ নির্মাণ করা হয়। কিন্তু অধিকাংশ গৃহ খাল ও বিলের ভরাট খাস জমিতে। এতে বর্ষা মৌসুমে সংকীর্ণ নিচু রাস্তা ধসে পরিবারগুলোর যাতায়াতে ভোগান্তির সৃষ্টি হচ্ছে। উপজেলা প্রশাসন ও পরিষদে রাস্তা সংস্কার এবং নির্মাণের অনুরোধ করলেও নেয়া হয়নি কোন পদক্ষেপ।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, কয়রা সাত ইউপি চেয়ারম্যানের অনুকূলে পল্লী উন্নয়নে এলজিএসপি-৩ প্রকল্পে ১৬ লাখ টাকা এবং উপজেলায় গ্রামীণ অবকাঠামো সংস্কারে ১ কোটি ৩০ লাখ টাকা বরাদ্দ দিয়েছে সরকার। অথচ রাস্তা তৈরির আবেদন করলে উপজেলা পরিষদ তাতে ভেটো দেয়। বাধ্য হয়ে কাদা-পানিতে ডুবে হতদরিদ্র মানুষগুলো মানবেতর জীবনযাপন করছে।
ভুক্তভোগী নারী সুফিয়া খাতুন বলেন, বঙ্গবন্ধু কণ্যার ঘর পেয়ে আমি ভীষণ খুশি। কিন্তু একটু বৃষ্টি হলে সরু ভাঙা রাস্তা ডুবে কাঁদা সৃষ্টি হয়। রাস্তায় পড়ে আমার হাত ভেঙে গেছে। চেয়ারম্যানদের কাছে রাস্তার জন্য গিয়েছি। তারা বলে, নিজের রাস্তা নিজে করে নাও। এবিষয়ে প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা ইমরুল কায়েস বলেন, পাইকগাছায় মুজিব বর্ষ গৃহের রাস্তা করা হয়েছে। কয়রায়ও দ্রুত সময়ে রাস্তা নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে। খুলনা জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান শেখ হারুনর রশীদ বলেন, পরিবারগুলোর রাস্তা নির্মাণের ব্যবস্থা করা হবে। ইউনিয়ন ও উপজেলা পরিষদের উচিৎ মুজিব বর্ষের গৃহের রাস্তাগুলো করে দেয়া।