শনিবার, ২৩ নভেম্বর ২০২৪, ০২:৩৩ অপরাহ্ন
Reading Time: < 1 minute
মোঃ শহিদুল ইসলাম খুলনা জেলা:
বৃহস্পতিবার ডুমুরিয়ায় মৎস্য অধিদপ্তর এবং জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা (এফএও) এর আয়োজনে জলবায়ু সহনশীল বাগদা চিংড়ি উৎপাদন শীর্ষক অভিজ্ঞতা বিনিময় সফর অনুষ্ঠিত হয়েছে। কমিউনিটি বেইজড ক্লাইমেট রেজিলিয়েন্ট ফিশারিজ অ্যান্ড অ্যাকুয়াকালচার ডেভেলপমেন্ট ইন বাংলাদেশ প্রজেক্ট এর আওতায় ডুমুরিয়া উপজেলার রোদাঘরা ইউনিয়নের বিল তাওয়ালিয়ার হরি নদী সংলগ্ন জলবায়ু পরিবর্তন জনিত কারনে ক্ষতিগ্রস্ত ২৫ জন বাগদা চিংড়ি চাষি নিয়ে একটি গ্রুপ গঠন করা হয়। গঠনকৃত গ্রুপের ২০ জন সদস্য কে উপজেলার বারইকাঠি গ্রামে বাগদা চিংড়ি ক্লাস্টারে আধুনিক চাষ পদ্ধতি হাতে কলমে দেখানো হয়। সরেজমিনে দেখা যায় বারইকাঠি ক্লাস্টার পূর্বে সনাতন চাষপদ্ধতিতে চাষ করতো। তাদের ঘের আগে জোয়ারে ভেসে যেত, তারা নার্সারি করতো না। বর্তমান উপজেলা মৎস্য দপ্তরের পরামর্শে তারা ঘেরের পাড় মেরামত ও উঁচু করেছেন, বায়োসিকিউরিটির জন্য ব্লু নেট ব্যবহার করছেন। ব্লিচিং, চুন সার প্রয়োগের মাধ্যমে ঘের প্রস্তুত করছেন। তারা প্রত্যেকে মাইক্রোনেট দিয়ে ছেঁকে ঘেরে পানি প্রবেশ করান। নার্সারিতে রেনু প্রতিপালন করে চাষ করছেন। ফলে পূর্বের তুলনায় উৎপাদন ৩-৪ গুন বৃদ্ধি পেয়েছে। বারইকাঠি গ্রামের বাগদা চিংড়ি চাষিদের জলবায়ু পরিবর্তনের সাথে সংগ্রামের মাধ্যমে টিকে থাকার অভিজ্ঞতা হাতে কলমে শেখার জন্য সফরটির আয়োজন করা হয়। বারইকাটি ক্লাস্টারের সভাপতি সঞ্জিত কুমার গাইন চাষিদের তাদের সংগ্রামের সার্বিক বিষয়ে ব্রিফ করেন। সফরের শেষ দিকে আগত চাষিদের জলবায়ু পরিবর্তনের বিভিন্ন দিক, আধুনিক চাষপদ্ধতি ও বারইকাঠি ক্লাস্টারের উপর মাল্টিমিডিয়া প্রজেক্টরের মাধ্যমে ভিডিও ডকুমেন্টারি দেখানো হয়। সফরে কো-অরডিনেট করেন ডুমুরিয়ার সিনিয়র উপজেলা মৎস্য অফিসার মো. আবুবকর সিদ্দিক। উপস্থিত ছিলেন মৎস্য অধিদপ্তর, ঢাকা হতে আগত উক্ত প্রকল্পের প্রকল্প পরিচালক সমীর সরকার, মৎস্য অধিদপ্তর, খুলনা বিভাগের সহকারি পরিচালক রাজকুমার বিশ্বাস। জাতিসংঘের খাদ্য ও কৃষি সংস্থা(FAO) এর পক্ষ থেকে ন্যাশনাল ক্লাইমেট চেঞ্জ এন্ড রিস্ক ম্যানেজমেন্ট এক্সপার্ট উম্মে কুলসুম উপস্থিত ছিলেন।